প্রশ্ন : ইদানিং অনেকেই চল্লিশা/কুলখানী করতে নিষেধ করেন, বলেন অবৈধ। তাহলে আমরা মৃত ব্যক্তিদের রূহে সওয়াব পৌঁছাবো কী করে?
১৮ মে ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৮ মে ২০২৪, ১২:০১ এএম

উত্তর : মৃত ব্যক্তির রূহে সওয়াব পৌঁছানোর সবচেয়ে উত্তম উপায় তার জন্য দোয়া করা। সর্বোত্তম দোয়া, হে আল্লাহ তুমি আমাকে, আমার বাবা-মা ও সকল ঈমানদার নারী পুরুষকে ক্ষমা করে দাও। কেবল পিতা-মাতার জন্য বলা হয়, হে আল্লাহ আমার বাবা-মাকে রহম করো, যেমন তারা আমাকে ছোটবেলা লালন করেছিলেন। এছাড়া যতরকম নফল ইবাদত আছে যেমন, কোরআন পড়া, নফল নামাজ-রোজা, দোয়া-দুরুদ, দান-খয়রাত ইত্যাদি করে তাদের রূহে সওয়াব পৌঁছানোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা যায়। এজন্য তিনদিন, চল্লিশদিন বা বছর শেষে মৃত্যুর দিন ধার্য করে আমল করা জরুরী নয়। বরং এভাবে না করাই উত্তম। সওয়াব পৌঁছানোর এ প্রক্রিয়া বছরের প্রতিটি দিন নিজের অভ্যাসে পরিণত করে নেওয়ায় সন্তান ও আত্মীয় স্বজনের কর্তব্য। যারা নিষেধ করেন তারা আনুষ্ঠানিকতাকে নিষেধ করেন, সওয়াব পৌঁছানোকে নয়। ইসলামে বিষয়টি এমনই।
প্রশ্ন : নিষিদ্ধ লটারীর বা অপর কোনো হারাম উপায়ে টাকা পেয়ে কেউ যদি ব্যবসা-বানিজ্য, জমি-খেতি করে প্রচুর সম্পদের মালিক হয় তবে এসব সম্পত্তি তার জন্যে কি রূপে হালাল হতে পারে? যদি হালাল না হয় তাহলে এ অপরাধ থেকে তার মুক্তির উপায় কি?
উত্তর : হারাম উৎস বা পন্থা থেকে আগত অর্থ সম্পদের মাধ্যমে যত সম্পদই আসুক, সবই হারাম। গোটা জিন্দেগী কেটে গেলেও এ সম্পদ হালাল হতে পারে না। এ ধরনের আর্থিক অপরাধ থেকে মুক্তির উপায় হারাম সম্পত্তি বর্জন করে হালাল উপায়ে জীবিকার সংগ্রামে লিপ্ত হওয়া। আল্লাহর নিকট তওবা, ক্ষমা প্রার্থনার দ্বারা সকল গোনাহই মাফ হয়ে যায় তবে অন্য মানুষের হক সরাসরিভাবে আল্লাহ মাফ করেন না। অতএব, অপরের অধিকার যে কোনো মূল্যে পৌঁছে দেয়ার পর আল্লাহর নিকট কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ মাফ করবেন। হারাম সম্পত্তির অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্যে কোনো বিজ্ঞ মুফতি বা ইসলামী আইনবিদের পরামর্শ গ্রহণ করলে পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারেন।
প্রশ্ন : কারও গচ্ছিত অর্থ ফেরত দেওয়ার আগেই ব্যক্তিটির মৃত্যু হল। দুনিয়াতে তার কোনো ওয়ারিশ নাই, তাহলে এ সম্পদ এখন কি করবো?
উত্তর : স্মরণ করে দেখবেন, আমানতকারী (যিনি গচ্ছিত রেখেছিলেন) এ বিষয়ে কোনো ওসিয়ত করেছিল কি না। যদি না করে থাকে, তাহলে আপনার শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে যে, তার কোনো ওয়ারিশ নেই। ওয়রিশের বহু ধাপ রয়েছে। পুত্র, কন্যা, স্ত্রী, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, চাচা, ফুফু ইত্যাদি কেউই যদি না থাকে তাহলে এ সম্পত্তির প্রাপক ইসলামী শরীয়তি সরকার। এমন ব্যবস্থা যেহেতু বর্তমান মুসলিম সমাজ চালু করতে পারছেনা, অতএব এসব কোনো সওয়াবের কাজে লাগাতে হবে। যার সম্পূর্ণ নেকী ওই মৃত আমানতকারী ব্যক্তি প্রাপ্ত হবেন।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

প্রশ্নফাঁস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

জকিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল : নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রফতানির পরিকল্পনা বাংলাদেশের

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যাবোধ করছি না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আটঘরিয়ায় তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২৪৩৩ জন

কলাপাড়ায় মোটর সাইকেল ও অটোরিক্সা মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত -১

ওবায়দুল কাদেরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির চিঠি

শ্রীনগরে শান্তিপুর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো এসএসসি,দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা

পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে গুইন লুইসের বৈঠক

কুষ্টিয়ায় ট্রেন থেকে ২৩ লাখ টাকার হেরোইন উদ্ধার করল বিজিবি

বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা মামলায় রাজবাড়ীতে সাবেক পৌর মেয়র কারাগারে

কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

আইন নিজের হাতে তুলতে চাইলেই অ্যাকশনে যাবে পুলিশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ বছরের অপেক্ষা শেষে আসছে চিরকুটের নতুন অ্যালবাম

শেরপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন চায় চরমোনাইর পীরের দল

এবার বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

চীন ও ভারত থেকে পাঁচ বিমানে আইফোন স্থানান্তর, যেভাবে শুল্ক থেকে বাঁচল অ্যাপল

রামুতে সা,কা চৌধুরীর বিরোদ্ধে মানবতা বিরোধী সাজানো মামলায় স্বাক্ষ্যদানকারী আটক

রাজবাড়ীতে ছেলে-পুত্রবধূর নির্যাতন ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে মায়ের আত্মহননের চেষ্টা