প্রশ্ন : আমি ছোট থাকতেই আমার বাবা মারা যান। বর্তমানে তার কবরের কোনো চিহ্ন নেই। কবর বাঁধিয়ে রাখলে আমি তা দেখতে পেতাম, জিয়ারত করতে পারতাম। কবর না জানার বিষয়টি আমাকে খুবই পীড়া দেয়। আমি এখন কী করব?
০১ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম
উত্তর : আপনার মরহুম আব্বার জন্য আপনি দোয়া করবেন। আল্লাহর হুকুম এটিই। এছাড়া দান-খয়রাত, নফল ইবাদত ইত্যাদি করে তার রূহে সওয়াব পৌঁছানোর জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করবেন। যে কবরস্থানে তিনি আছেন সম্ভব হলে সেখানে গিয়ে জিয়ারত করবেন। নির্দিষ্ট করে কবর না চিনলেও সওয়াব হবে। কবর চিহ্নিত করে রাখার জন্য মাথার দিকে কোনো পাথর বা চিহ্ন রেখে দেয়া হয়। অনেকে গাছও লাগিয়ে রাখেন। এর বেশি কিছু করা শরীয়ত উৎসাহিত করে না। কারণ যদি সবাই কবর বাঁধাই করে রাখে তাহলে পরবর্তীতে নতুন কবর দেয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে। অথচ কবরস্থান প্রজন্মের পর প্রজন্ম চালু রাখার জন্য সকল কবর বাঁধাইবিহীন থাকাই অধিক সমীচীন। আপনার মনের কষ্ট সওয়াব আকারে আপনি পাবেন, ধৈর্য ও দোয়ার মাধ্যমে। আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকার মাধ্যমে। আপনি আব্বার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দয়া লাভের দোয়া করে যান। এতেই আপনার আব্বা উপকৃত হবেন। আপনারও অনেক সওয়াব হবে। কবর না থাকার কষ্ট মনে পুষে রাখবেন না।
প্রশ্ন : মনের অবসাদ/হতাশা/ভয়-ভীতি দূর করার জন্য কোন দোয়াটি পড়তে পারি। কোরআন শরীফে বিশেষ কোনো আয়াত এমন আছে কি?
উত্তর : আল্লাহর নাম ও তার কালাম যেটিই পড়–ন, মনের ওপর প্রভাব পড়বেই। হতাশা, ভয়-ভীতি, অবসাদ দূর হবেই। তবে মৌখিক পাঠের চেয়ে নিজে অন্তরে আল্লাহর ওপর আস্থা, বিশ্বাস, নির্ভরতা ও সর্বাত্মক আত্মসমর্পণ সৃষ্টি করতে হবে। মনের এই ভাব অনুশীলন করতে হবে। এর পাশাপাশি মুখের দোয়া ও জিকির চালিয়ে গেলে বর্ণিত কষ্ট দূর হবে, ইনশা আল্লাহ। দোয়া হিসাবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ ও ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান নাসির’ পড়া উত্তম। পেরেশানীর সময় আল্লাহর রাসূল সা. নিজেও এ দোয়া দু’টি পড়তেন। আরও বিস্তারিত জানার জন্য নারীরা পুরুষ অভিভাবকের মাধ্যমে আর পুরুষরা নিজে কোনো কামেল শায়েখের পরামর্শ নিতে পারেন।
প্রশ্ন : নিজ বাড়ী থেকে ব্যবসার কাজে প্রায় দু’শত কিলোমিটার দূরে যাতায়াত করতে হয়। এমতাবস্থায় মুসাফিরের জন্যে সুন্নত, নফল ইত্যাদি পড়তে হয় কি না, জানতে চাই।
উত্তর : শরীয়ত নির্ধারিত দূরত্বে নিয়মিত যাতায়াত করলেও মানুষ মুসাফির হয়ে থাকে। এ সময় ফরজ নামায ‘কসর’ পড়তে হয়। সুন্নতে মোয়াক্কাদা একান্তভাবেই ঐচ্ছিক পর্যায়ে চলে যায়। যারা সারা বছরই দূরদূরান্তে সফর করেই কাটায়, যেমন: পাইলট, নাবিক, জাহাজ ও বিমানের ক্রু প্রভৃতি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্যে সারা বছরই মুসাফিরের হুকুম।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম