প্রশ্ন : ১০১ টা কবর খনন করতে পারলে নাকি আল্লাহ তায়ালা মানুষের জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন?
০৮ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম

উত্তর : আল্লাহ তায়ালা মানুষের বড়-ছোট, প্রকাশ্য-গোপন সকল গোনাহই মাফ করে থাকেন। জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ করাও আল্লাহ তায়ালারই কাজ। কোরআন-হাদীসে অনেক আমল এমন বর্ণিত হয়েছে যার ফলে জীবনের সব গোনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু ১০১ টা কবর খনন সম্পর্কিত এমন তথ্য আমরা কোরআন-কিতাবে পাইনি। মানুষের কবর খনন করে দেয়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। কিন্তু ১০১ এর পরিমাণ নির্ধারণ করে তা খনন করা এবং জীবনের সব গোনাহ মাফের সাথে একে শর্তরূপে জুড়ে দেয়ার চেতনাটি শরীয়তের মর্ম বিরোধী। এটা প্রচলিত লোককথা বা মনগড়া তথ্য। যা সম্ভবত ধর্মীয় কুসংস্কারের ভিত্তিতে রচিত হয়ে থাকবে।
প্রশ্ন : আমার বড় ভাইয়ের কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। এখন আমি একটি কিডনি দিতে চাচ্ছি। শরীয়তের বিধান জানতে চাই।
উত্তর : শরীয়তে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মালিক সে নিজে নয়। এর মালিক আল্লাহ তায়ালা। সে জন্য কারো নিজের রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রয় করা জায়েজ নয়। দান করা বা মৃত্যুর পর অপরকে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়ে যাওয়াও নিঃশর্তভাবে জায়েজ নয়। বিশেষ ক্ষেত্রে বিজ্ঞ মুফতি সাহেবের সুনির্দিষ্ট ফতোয়া নিয়ে দান করা যায়। আপনার ভাইয়ের ক্ষেত্রে যদি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরামর্শ দেন, আপনার জীবনের কোনো বড় আশঙ্কা না থাকে, আপনার বড় ভাইয়ের সুস্থতা ও ম্যাচিং যদি সন্দেহমুক্ত হয়, তাহলে আপনি তাকে একটি কিডনি দিতে পারবেন।
প্রশ্ন : মৃত্যুর আগে আমার পিতা তার সম্পত্তির বিরাট এক অংশ দান করে যান। যে বিষয়ে আমরা ভাই-বোন অবগত ছিলাম না। আমাদের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। এখন আমরা কি সবাই একমত হয়ে সে সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে পারব?
উত্তর : আপনার পিতা যদি নিজ সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ বা এর কম দান করে গিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি কোনো ভুল করেননি। কারণ, এক তৃতীয়াংশ দান বা ওসিয়ত করে যাওয়া শরিয়তে অনুমোদিত রয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের অবহিত করাও তার জন্য জরুরি ছিল না। ইসলামে এক তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ দান বা ওসিয়ত করে যাওয়া নিষিদ্ধ। তবে বেশি দান করে ফেললে সেটি দান বলেই সাব্যস্ত হয়ে যায়, ওয়ারিশানরা ফেরত নিতে পারে না। তবে আপনাদের অবস্থা যদি সচ্ছল না থেকে থাকে, তাহলে এতটুকু দান করাও তার জন্য জরুরি ছিল না। তার জন্য বরং আপনাদের জন্য সম্পত্তি রেখে যাওয়াই অধিক সমীচীন ছিল। সাধারণত সন্তানদের প্রতি কোনো কারণে বিরক্ত হয়েও মানুষ সম্পত্তি অন্যকে দিয়ে দেয়। বর্তমানে আপনাদের যে সম্পত্তি আছে তাই আপনারা সঠিক হারে বণ্টন করে ভোগদখল করতে পারবেন। দানকৃত সম্পত্তি ফিরিয়ে নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। তবে দান যদি কোনো ব্যক্তিকে করে থাকেন, আর তিনি যদি দয়াপরবশ হয়ে আপনাদের তা ফিরিয়ে দেন তাহলে অন্য কথা। তবে ধর্মীয় বা জনকল্যাণমূলক কোনো প্রতিষ্ঠানে দান করলে তা আর কেউ ফিরিয়ে দিতে বা নিতে পারে না।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিনয় থেকে বাদ অঞ্জনা

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে যে আহ্বান করলো সিলেট বিএনপি

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হেফাজতের

সরকার-ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই : আলী রীয়াজ

উল্লাপাড়ায় ৭ বিএনপি নেতার পদ স্থগিতঃ ৩ নেতার বিরুদ্বে ব্যবস্থা নিতে জেলা বিএনপির নির্দেশনা

নির্বাচন হবেই কেউ ঠেকাতে পারবেনা: এ এম এম বাহাউদ্দীন

ইমাম রইস উদ্দিনকে গাজীপুরে হত্যার বিচারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন

সরকারের প্রথম এবং প্রধান সংস্কার হতে হবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা: হাসনাত আবদুল্লাহ

টঙ্গীতে ভাঙ্গারী গোডাউনে আগুন

ঝিনাইদহে বোরো ধানের বাম্পার ফলন ঝড়-বৃষ্টির শংকায় কৃষক লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে উৎপাদনে

কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোন আইন বাংলার জমিনে পাশ হতে পারবে না: মাওলানা মির্জা নুরুর রহমান

অস্ট্রেলিয়ায় ভোট উৎসব চলছে, ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি

মেয়র ঘোষনার দাবী মুফতি ফয়জুল করিমের

প্রকাশিত হলো আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহালের রায়

স্বাধীন কণ্ঠের আহ্বান: বিভক্ত বিশ্বের বিপরীতে মুক্ত গণমাধ্যম

সখিপুরে দুইজনের অপমৃত্যু

কুষ্টিয়ার খোকসায় প্রধান সড়ক বেহাল দশা; ১৫ বছরেও হয়নি সংস্কার

তালপাতার পাখা: প্রয়োজন কমেছে, আবেদন কমেনি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে দুই পুলিশকে হাতুড়িপেটা করলো আসামি

অগ্নি দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন সংগীতশিল্পী জিল