প্রশ্ন: চার তরিকা (২) বনাম ইসলামের চার পরিভাষা বলতে কি বুঝায়?
০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম

উত্তর: তরিকতের পরিচয় : আভিধানিক অর্থে শরিয়ত আর তরিকতের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পরিভাষায় শরিয়তের অর্থ তরিকতের চেয়ে ব্যাপক। অর্থাৎ জাহেরি ও বাতেনি সব আহকামকে একত্রে বলা হয় শরিয়ত আর শুধুমাত্র বাতেনি আহকামকে বলা হয় তরিকত। তরিকতের আহকামের করণীয় বিষয়গুলো হলোÑ দিলের মধ্যে তাওবা-ইস্তিগফার, শোকর, সবর, তাওয়াক্কুল, সততা, দুনিয়া বিমুখতা, অল্পেতুষ্টি, আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি মহব্বত, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সৃষ্টির প্রতি দয়া, লৌকিকতা পরিহার ইত্যাদি সৎগুণগুলো আনয়ন করা। আর বর্জনীয় বিষয়গুলো হলোÑ দিল থেকে হতাশা, লোভ-লালসা, কৃপণতা, হারামের প্রতি আসক্তি, পরনিন্দা, মিথ্যা, হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার ইত্যাদি বদ খাসলতগুলো দূর করা। সুতরাং একজন মানুষ যখন কলবের এসব ভালো গুণাবলির চর্চা ও খারাপ অভ্যাসগুলোর পরিহার পদ্ধতি অবলম্বন করে চলবে তখন তাকে বলা হবে সে একজন তরিকত বা সুলুকের লাইনের লোক। তবে এ পথে একা একা চলাটা খুবই মুশকিল। তাই একজন আধ্যাত্মিক রাহবার প্রয়োজন। সেই রাহবারকেই বলা হয় মুরশিদ বা পীর। সহজ কথায় বলা চলে তিনি একজন শিক্ষাগুরু।
শরিয়ত-তরিকত নিয়ে দ্বন্দ্ব: শরিয়ত ও তরিকত সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবে জাহেল সুফিরা যেমন এ দু’টিকে আলাদা আলাদা রাস্তা মনে করে; তেমন একশ্রেণির দূরদর্শীহীন শুকনো মগজের আলেমও নানাকথা বলে নিজের অজ্ঞানতা প্রকাশ করে। মতবাদের দিক থেকে তাদেরকে ৩টি দলে ভাগ করা যায়।
প্রথম দল : এ দলে আছে জাহেল সুফিরা। তারা বলেÑ ‘শরিয়ত আর তরিকত এক নয়।
তাই তরিকতের লাইন শরিয়তের লাইন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এ লাইনে চলতে গেলে অজু, গোসল, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত কোনো কিছুরই ধার ধারতে হয় না। পর্দা-পুশিদারও দরকার হয় না। ‘মনের পর্দা বড় পর্দা’ ইত্যাদি অবান্তর কথাবার্তা তারা বলে বেড়ায়। তরিকত বলতে তারা বোঝে কিছু হালত-কাইফিয়ত (অবস্থা)। যা জিকির-আজকারের ফলে সৃষ্টি হয়। যেমনÑ জিকির করার সময় শরীর কাঁপা, জিকিরের তাছিরে লাফিয়ে ওঠা, আজব আজব স্বপ্ন দেখা, গায়েব থেকে কোনো আওয়াজ শোনা বা গায়েবি কোনো খবর জানা, কোনো নুর দেখা ইত্যাদি ইত্যাদি। মূলত তরিকতের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এসব নয়। এবং এর সঙ্গে এগুলোর কোনো সম্পর্কও নেই। এসব হালত বা অবস্থা শুধু জিকির দ্বারা নয় বরং অন্য যেকোনো সাধনার দ্বারাও হওয়া সম্ভব। এবং এর জন্য মুসলমান হওয়ারও দরকার হয় না। এমনকি হিন্দু সাধকদের থেকেও এসব ঘটতে পারে। এগুলোকে শরিয়তের পরিভাষায় ‘ইসতিদরাজ’ বলা হয়।
উত্তর দিচ্ছেন: আবদুল আউয়্যাল, কবি ও কলামিষ্ট।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

প্রশ্নফাঁস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

জকিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল : নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রফতানির পরিকল্পনা বাংলাদেশের

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যাবোধ করছি না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আটঘরিয়ায় তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২৪৩৩ জন

কলাপাড়ায় মোটর সাইকেল ও অটোরিক্সা মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত -১

ওবায়দুল কাদেরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির চিঠি

শ্রীনগরে শান্তিপুর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো এসএসসি,দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা

পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে গুইন লুইসের বৈঠক

কুষ্টিয়ায় ট্রেন থেকে ২৩ লাখ টাকার হেরোইন উদ্ধার করল বিজিবি

বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা মামলায় রাজবাড়ীতে সাবেক পৌর মেয়র কারাগারে

কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

আইন নিজের হাতে তুলতে চাইলেই অ্যাকশনে যাবে পুলিশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ বছরের অপেক্ষা শেষে আসছে চিরকুটের নতুন অ্যালবাম

শেরপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন চায় চরমোনাইর পীরের দল

এবার বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

চীন ও ভারত থেকে পাঁচ বিমানে আইফোন স্থানান্তর, যেভাবে শুল্ক থেকে বাঁচল অ্যাপল

রামুতে সা,কা চৌধুরীর বিরোদ্ধে মানবতা বিরোধী সাজানো মামলায় স্বাক্ষ্যদানকারী আটক

রাজবাড়ীতে ছেলে-পুত্রবধূর নির্যাতন ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে মায়ের আত্মহননের চেষ্টা