প্রশ্ন : আমার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে আমি মহিলা ও কিছুটা অসুস্থ। পরিবারের ছেলেমেয়েরা কোরবানি করার মতো সাহস রাখে না। ঝামেলা সামলানোর মতো কেউ নেই। এখন কি পশু কোরবানি না করে টাকা দান করে দিলে চলবে?
২৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০১ এএম
উত্তর : যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব, তাকে পশু কোরবানিই করতে হবে। টাকা দান করলে কোরবানি আদায় হবে না। ঝামেলা সামলানোর মতো কেউ না থাকলে কোনো আত্মীয় স্বজনকে দায়িত্ব দিয়ে দিতে পারেন। সুযোগ থাকলে শরিক কোরবানি দিলে নিজেদের ঝামেলা পোহাতে হয় না। এরপরও ইচ্ছে করলে কোনো মাদরাসায় কোরবানির পশু পাঠিয়ে দিতে পারেন। সব ঝামেলা তারাই করবে। আপনার চাহিদা মতো গোশতও আপনার কাছে পৌঁছে দেবে তারা। এসবও যদি কঠিন মনে হয়, তাহলে কোনো গরিব মানুষ, গ্রামবাসী দরিদ্র বা এতিমখানায় পশুটি উপহার হিসেবে দিয়ে দিন। দান করবেন না, তাহলে কোরবানি হবে না।
প্রশ্ন : কোনো ব্যক্তি জেনে শুনে হারাম অর্থ মসজিদ নির্মাণে ব্যয় করছে, আখেরাতে তার এ দিয়ে কোনো ফায়দা হবে কিনা, জানতে চাই।
উত্তর : হারাম অর্থ দিয়ে কোনো সওয়াব আশা করা যায় না। জেনে শুনে সওয়াব আশা করলেও ঈমানের ক্ষতি হয়। অতএব, এ ক্ষেত্রে আখেরাতে ফায়দা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যায় না।
প্রশ্ন : আমি একজন শিক্ষিকা হিসাবে অফিস সময়ের মধ্যে গ্যাপ পিরিয়ডে যদি ব্যক্তিগত কাজ করি, বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নেই বা ঘুরাফিরা করি, তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিতে সঠিক হবে কি না?
উত্তর : আপনার এই বিশ্রাম, ব্যক্তিগত কাজ এবং ঘুরাফিরায় যদি বিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃংখলা বা আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি না হয়, তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে তা কোনো দোষ বলে বিবেচিত হবে না।
প্রশ্ন : একটি ছেলে একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেছে। দু’জন অমুসলিম এ বিয়েতে সাক্ষী ছিল। এটা শরীয়ত মোতাবেক সঠিক হলো কিনা, জানতে চাই।
উত্তর : গোপনে কোনো বিয়ে হওয়াই ঠিক নয়। কেননা, বিয়ের ঘটনাটিকে যথাসম্ভব ফলাও প্রচার করার নির্দেশ ইসলামে রয়েছে। যাতে গোপনে কোনো দুষ্কর্মকে কেউ বিয়ের নামে চালিয়ে দিতে না পারে। আর এ ধরনের গোপন বিয়ে এড়ানোর জন্যেই কমপক্ষে দু’জন সাক্ষীর শর্ত বিয়ে সঠিক হওয়ার জন্য জুড়ে দেয়া হয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে অমুসলিমদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিয়েটি শুদ্ধ হয়নি। যথাসম্ভব দ্রুত তাদের মুসলিম সাক্ষীর উপস্থিতিতে মোহরানা ঠিক করে বিয়ে করতে হবে।
প্রশ্ন : ফেরাউন শব্দের অর্থ কি? বিভিন্ন নবীর সময় ফেরাউনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তারা কি সবাই একই ব্যক্তি না ভিন্ন ভিন্ন?
উত্তর : প্রাচীণ মিসরের কিবতি বা মৎসজীবী সম্প্রদায়ের শাসক বংশের উপাধি ফেরাউন। ইংরেজিতে এদের ফারাও বলা হয়। ফেরাউন শব্দটি ফারউন শব্দ থেকে নির্গত। এর অর্থ শাখা-প্রশাখা। ফেরাউন শব্দের মর্মগত অর্থ রাজবংশের শাখা তথা উত্তরাধিকারী। পরিভাষায় : প্রাচীন মিসরের রাজপুরুষ। ইতিহাসে যতজন ফেরাউনের উল্লেখ রয়েছে এরা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি। বলা হয়, হজরত মূসা আ. এর জীবনেই দু’জন ফেরাউনের সাথে তার সংগ্রাম করতে হয়েছিল। প্রাচীন ইতিহাস গ্রন্থে ফেরাউনদের নামের একটি তালিকা পাওয়া যায়, তবে এসবের ওপর পূর্ণ নির্ভর করা যায় না। কারণ এ পর্যায়ে ইতিহাস অনেকাংশেই জনশ্রুতি বা কিংবদন্তি নির্ভর হয়ে থাকে।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ