প্রশ্ন : আমি পরিবারের বড় ছেলে। বাবা আমাদের সাথে থাকেন না এবং পরিবারের ভরণপোষণও দেন না। আমার উপার্জিত টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এমতাবস্থায় বাবাকে কোনো প্রকার খরচ দিতে পারছি না।আমি কি কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হবো? পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে?
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
উত্তর : আপনি খুব কষ্ট করে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। নিজের ও ভাইবোনের পড়ালেখার খরচও যোগান দিচ্ছেন। এটি খুবই নেকির কাজ। হাদিস শরীফে এমন ব্যক্তিকে বলা হয়েছে যে, সে আল্লাহর পথে আছে। যদি তার প্রয়োজন থাকে তাহলে যতদূর সম্ভব আপনার আব্বাকেও সামান্য কিছু দিতে পারলে খুবই ভালো হয়। সবার চাহিদা তো আপনার একার পক্ষে পুরোপুরি মেটানো সম্ভব নয়। সব যখন পারছেন তাহলে আব্বাকেও একটু স্মরণ করবেন। একান্তই যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত সদাচরণের দ্বারা তাকে সন্তুষ্ট রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এতে আপনার দুনিয়া ও আখেরাতে অফুরন্ত বরকত ও সওয়াব হবে। তবে আপনার আব্বা তার সংসার ও সন্তানদের প্রতি এমন কেন হলেন সেটিও একটি প্রশ্ন। তিনি কি অপারগ না উদাসীন? নাকি এখানে তার কোনো ত্রুটিও আছে। এসব বিষয় নিকটস্থ কোনো বড় আলেম ও বিজ্ঞ মুফতি সাহেবই বিচার বিশ্লেষণ করে মতামত দিতে পারবেন। আমি শুধু আপনাকে ভালোর চেয়ে ভালো সন্তান হওয়ার পথ বাতলে দিয়েছি। মাসয়ালার ক্ষেত্রে আপনার দায় আরো কমতে পারে।
প্রশ্ন : বেতের নামাজ না পড়লে কি গোনাহ হবে, জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর : এশাসহ বাকি পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজ না পড়লে যেমন গোনাহ, বেতের না পড়লেও তেমন গোনাহ। কারণ এটি সর্বসম্মতভাবে স্থায়ী ওয়াজিব। কারণ, এ নামাজেরও কাযা আছে। কেউ কাফফারাহ দিলেও বেতেরসহ দিতে হয়।
প্রশ্ন : বর্তমান আধুনিক জামানায় মুসলমান কী পরিমাণ আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা করতে পারবে?
উত্তর : এ যুগে মুসলমানরা ঠিক ততটুকু আরাম-আয়েশ করতে পারবে, যতটুকু তারা আগের যুগে করতে পেরেছে। নিজে নিজের হালাল উপার্জন থেকে আল্লাহর হক ও বান্দার হক দিয়ে দেয়ার পর আল্লাহর নেয়ামত প্রয়োজন পরিমাণ ভোগ করতে পারবে। বিলাসিতা না করাই ভালো। ভদ্রতা, সৌজন্য ও সুরুচি যতটুকু দাবি করে ততটুকু (গোনাহর বাইরে থেকে সুন্নতের অনুসরণ করে) করতে পারবে। এর মধ্যে বৈধ আরাম-আয়েশ করাও জায়েজ। শরীয়তে নিজের প্রয়োজন পূরণের তিনটি ধাপ বলা আছে। ১. প্রয়োজন। ২. আরাম ও সুবিধা, এ দু’টি বৈধ ও অনুমোদিত। ৩. লোক দেখানো ও বিলাসিতা, এটি শরীয়তে হারাম। এই নীতির আলোকে যতটুকু আরাম আয়েশ করা যায়। তবে খুব সাদাসিধা সরল-সহজ জিন্দেগি ইসলামে পছন্দনীয়।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার