প্রশ্ন : আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের একটা অ্যামাউন্ট জমা করা আছে। যা আমি কোনো কাজে লাগানোর জন্য জমা করেছি। এখন প্রশ্ন হলো, আমরা জানি যে, নগদ টাকা যদি এক জাকাতবর্ষ অতিক্রম করে তাহলে জাকাত ফরজ হয়। এখন উল্লিখিত টাকা যদি বিশেষ প্রয়োজনে এক বছর অতিবাহিত হওয়ার আগেই আমার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা করে দেই তা হলেও কি আমার জাকাত ফরজ হবে?
২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
উত্তর : যদি টাকাগুলো সে সময় সম্পূর্ণরূপে স্ত্রীকে মালিক বানিয়ে দিয়ে দেন, তাহলে আপনার ওপর জাকাত আসবে না। আর যদি শুধু জাকাত না দেয়ার জন্য স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন, তা হলেও জাকাত আসবে। অবশ্য জাকাত না দেয়ার উদ্দেশ্যে জাকাতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে টাকা অদল বদল করে নেয়ার নাম হিলা। যা এক ধরনের গোনাহের কাজ। এমন কবিরা গোনাহের চেয়ে জাকাত দিয়ে দেয়া শতগুণ উত্তম। কেননা, জাকাত-সাদাকায় মাল কমে না। বরকত হয়ে অন্যদিক দিয়ে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সুদ কিংবা হিলা করলে মাল একসময় চলে যায়। যদি জাকাতকে চাপ মনে হয়, তাহলে জাকাত আসে না এমন খাতে টাকা বিনিয়োগ বা ব্যয় করার হুকুম রয়েছে। এতে কোনো গোনাহ নেই। কিন্তু জাকাত না দেয়া বা হিলা করা গোনাহের কাজ।
প্রশ্ন : খেলাকে কেন্দ্র করে আমরা বন্ধুরা প্রায়ই বাজি ধরি টাকার বিনিময়ে। যা নিছক মজা করার জন্য। এটা কি ঠিক?
উত্তর : বৈধ ব্যবসায়িক লেনদেন, কর্জ, দান ও নির্দোষ হাদিয়া ছাড়া শরিয়তে অনিশ্চয়তাপূর্ণ কোনো লেনদেন জায়েজ নেই। মজার জন্য বা লাভের জন্য বাজি ধরা এক ধরনের জুয়া। যা থেকে একপক্ষ বিনা কারণে লাভবান হয়, অপরপক্ষ সর্বস্ব হারায়। ফলে অনেক ধরনের শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, কর্মবিমুখতা, মারামারি, খুন এমনকি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, সহায়-সম্পত্তি উজাড় হওয়ার নজিরও দেখা যায়। যে জন্য ইসলাম ছোট-বড় সকল জুয়াকে চিরতরে হারাম সাব্যস্ত করেছে। জুয়া আগুনের মতো। সিগারেটের ছোট্ট আগুন বা ফুলকি যেমন বিশাল অগ্নিকা- ঘটাতে পারে, তেমনই নিছক মজার জুয়া বা শখের জুয়া পারে শান্তিপূর্ণ জীবনে অশান্তির আগুনের দাবানল জ্বালতে। জাহান্নামের আগুন তো পরকালে আছেই।
প্রশ্ন : বাইরে হোটেলে মুরগি/খাসি/গরু ইত্যাদি খাচ্ছি। জানি না এগুলো কতটা হালাল। এগুলো খেয়ে কি গোনাহের ভাগী হচ্ছি?
উত্তর : যদি সন্দেহ প্রবল হয়ে নিশ্চয়তার কাছাকাছি চলে যায়, তাহলে না খাওয়াই ভালো। তবে সন্দেহ প্রবণতা প্রশংসনীয় নয়। মানুষকে, সমাজকে ও পরিবেশকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। মুসলিম দেশে, মুসলিম প্রধান এলাকায় জবাই করা হালাল পশু খাওয়া জায়েজ। সন্দেহ পোষণ করাই বরং বাড়াবাড়ি। বাংলাদেশে হোটেল রেস্তোরাঁয় গোশত খাওয়া গোনাহের কাজ বলে বিবেচিত হবে না। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকবেন।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বেনাপোলে গৃহবধূকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক -৪
এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম
বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর
গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত
প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি
নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’
ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম
মারাত্মক শব্দদূষণ
তারেক রহমানের ঐতিহাসিক দায়
দলে গণতন্ত্র চর্চা অপরিহার্য
বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি
রফতানির বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে
আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা
মাওবাদীদের আত্মসমর্পণে আল্টিমেটাম দিলো মোদি সরকার