দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম

প্রশ্ন : (ক) দুধভাই ওয়ারিশের কোনো ভাগ পাবে কি? (খ) তারাবীহ পড়িয়ে, কোরআন খতম করে হাদিয়া গ্রহন করা জায়েজ আছে নাকি? (গ) মসজিদে দেরিতে এসে কাতার ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া ঠিক কিনা? (ঘ) নামাযের শেষ বৈঠকে দরূদ, দুআয়ে মাছুরা না পড়লে গোনাহ হবে নাকি?
উত্তর : (ক) দুধ ভাই বোন কিছুই পাবে না। (খ) শর্ত ছাড়া, হাত পাতা ছাড়া, পাওয়ার আশা ছাড়া প্রাপ্ত সব টাকা-পয়সা, খাদ্য, জামা-কাপড়, ঈদের উপহার, হাদিয়া ইত্যাদি তারাবীহ পড়ানো সম্মানিত হাফেজ সাহেব নিতে পারেন। (গ) কাতার পূরণের জন্য অন্যকে কষ্ট না দিয়ে যাওয়া যায়। তবে নিজেকে বড় মনে করে দম্ভ নিয়ে অন্যদের কষ্ট দিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। (ঘ) গোনাহ হবে না, কারণ এসব ফরজ ওয়াজিব নয়। তবে নামাজ অপূর্ণাঙ্গ ও অসুন্দর হবে।
প্রশ্ন : একজন স্বামীর প্রতি একজন স্ত্রীর কি দায়িত্ব রয়েছে ইসলামের আলোকে জানালে মুসলিম নারী সমাজ উপকৃত হবে। জানাবেন আশা করি।
উত্তর : স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব তিনটি: ১. স্বামীর দৈহিক, মানসিক সংগ দেওয়া। ২. তার বিশ্বাস, আস্থা, সংসার, সন্তান ও সহায়-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করা। ৩. শরীয়তসম্মত ও সামাজিক বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা।
প্রশ্ন : কারো মোবাইলে যদি অজ্ঞাত ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক আসার পর সে ওই ওয়াইফাই নেটওয়ার্ককে নিজ মোবাইলে কানেক্ট করে নেট ব্যবহার করতে থাকে, তাহলে এটা তার জন্য জায়েজ হবে কি না? যদি জায়েজ না হয়ে থাকে, তা হলে যতটুকু গই ব্যবহার করেছে এর মূল্য ফেরত দেয়া লাগবে কি না?
উত্তর : উত্তম হলো অজ্ঞাত মালিকের ওয়াইফাই লাইন পেলেও ব্যবহার না করা। তবে যতদূর জানা যায়, একটি ওয়াইফাই লাইনের খরচ অধিক ব্যবহারেও কমবেশি হয় না। নির্দিষ্ট টাকা দিলেই চলে। মালিকের যে সমস্যাটা হতে পারে সেটি হচ্ছে, তার নিজের ওয়াইফাই ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হতে পারে। অতএব, বিনা অনুমতিতে অপরের জিনিস ব্যবহারের মতোই এমন ওয়াইফাই ব্যবহারও শরিয়তে অনুমোদিত নয়। অবশ্য মালিক জানা থাকলে, তার সাথে কথা বলে সম্মতি নিয়ে ব্যবহারে কোনো দোষ নেই। যদি কেউ ব্যবহার করে থাকে, তা হলে সুযোগে এর বিনিময় বা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ইচ্ছা মনে পোষণ করতে হবে। সম্ভব না হলে আন্দাজ করে কিছু টাকা ওই মালিকের নামে আল্লাহর রাস্তায় দান করে দেয়া ভালো। কোনো পাবলিক প্লেসে বা যে কোনো কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থায় ওয়াইফাই ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই। যদি নিজের ঘরেও ব্যাপক আকারে অন্য কারো লাইন এভেইলেবল থাকে, মনে হয় মালিকের কোনো অসুবিধা হবে না, বা জানলেও তারা কিছু বলবে না, তা হলে মাকরূহ পর্যায়ে (শরিয়তে অপছন্দনীয় ও অনুত্তম কাজ হওয়া সত্ত্বেও) এর ব্যবহার অনুমোদিত হতে পারে।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

মতলবে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মাফিয়া শেখ তাপসের অবস্থান জানালেন ডিবি হারুন!

নিকলীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার আসামি গ্রেফতার

নাটোরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিডিআর জওয়ানদের জামিনের আদেশ ফের পেছাল

ঘোড়াঘাটে এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৩৩ জন

পানামা খাল চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে না : যুক্তরাষ্ট্র

সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম রিজার্ভ মেটাল ক্রেডিট কার্ড-বাংলাদেশের প্রথম আমেরিকান এক্সপ্রেস মেটাল কার্ড

ইনভেস্টমেন্ট সামিটে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি ঘোষণা বিএনপির

দেশের সব মাদরাসায় দুই দিনব্যাপী বাংলা নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশ

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর বাংলাদেশি পণ্যবাহী ৪ ট্রাক ফেরত পাঠাল ভারত

রাজনগরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শিলাবৃষ্টির আশংকায় দুশ্চিন্তায় কৃষক

রাবির ভর্তি ফরম বিক্রিতে রেকর্ড আয়: এক মৌসুমেই ৩১ কোটি টাকা!

নীলফামারীর বিএনপি নেতা তুহিনের নির্দেশে তিস্তার বালুর বাধ পরিদর্শনে ডিমলা উপজেলা বিএনপি

পাঁচবিবিতে এসএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ৫৫ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত

টাঙ্গাইলে ৮৫টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা চলছে

দিনাজপুরে এলজিইডি ভবনে আগুন, আটকে পড়া দুজন উদ্ধার

মোমবাতি জ্বালিয়ে বীরগঞ্জে এসএসসি ও সমমানের প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রশ্নফাঁস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

জকিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু