প্রশ্ন : কোনো মেয়েকে পাত্রী হিসেবে দেখার আগে তার ছবি দেখা কি জায়েজ হবে?
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ এএম

উত্তর : শরীয়তে তো নি:শর্তভাবে জায়েজ নেই। সমাজে প্রচলিত অনেক ভুল কাজের মধ্যে এটিও একটি ভুল কাজ। অনেকে মেয়ে দেখার প্রাক: প্রস্তুতি বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ছবি দেখেই প্রাথমিক ধারণা নেয়। সে জন্য মেয়ে অভিভাবকরা ছবি দেখতে পারবেন। প্রয়োজনে বরও একনজর দেখে নিতে পারে। যে জন্য মেয়ে দেখা অনুমোদিত, তার কাছাকাছি কারণে এই ছবিও দেখা জায়েজ হতে পারে।
প্রশ্ন : এনজিওতে চাকরি করলে বেতনের টাকা হারাম হবে নাকি হালাল হবে?
উত্তর : এনজিও মাত্রই হারাম কার্যক্রম করে এমন তো নয়। যদি এনজিওটি বৈধ কাজ ও হালাল লেনদেন করে, তাহলে তাতে চাকরি করাও জায়েজ হবে। আর যদি এনজিওর কাজ ও লেনদেন হারাম হয়, তাহলে এতে চাকরি করে অর্জিত টাকাও এইরকমই হবে। বিস্তারিত না জেনে এক কথায় উত্তর দেওয়া ঠিক হবে না।
প্রশ্ন : আমি অষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। নির্দিষ্ট কিছু প্রটেনশিয়াল ডাক্তারদের কে চু্ক্িত ভিক্তিক আমাদের কোম্পানির নির্দিষ্ট কিছু অষুধ রোগীর প্রেসক্রিপশনে লেখে দেওয়ার জন্য মাসিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে সম্মাননা স্বরূপ কোম্পানি আমার মাধ্যমে ব্যাংক চেক /নগদ টাকা দিয়ে থাকে। এছাড়াও সপ্তাহে ২/৩ দিন ডাক্তারের নির্দিষ্ট ভিজিটবারে কোম্পানির প্রদত্ত বিভিন্ন আকর্ষণীয় গিফট, ক্যাশ/গিফট ভাউচার, অষুধের ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ইত্যাদি দিয়ে ডাক্তারদেরকে আমার কোম্পানির মানসম্মত অষুধ রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনে লেখার জন্য অনুরোধ করে থাকি। এছাড়াও অষুধের দোকান/ ফার্মেসীতে আমার কোম্পানির অষুধদের অর্ডার নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বড় ফার্মেসীতে কোম্পানির নির্দিষ্ট ডিসকাউন্ট ছাড়াও অনেকটা ব্যাধ্য হয়ে আমার নিজের থেকে চুক্তিভিত্তিক অর্ডারের পরিমাণের উপর নির্দিষ্ট শতকরা পারসেনটেন্স টাকা দিতে হয়। প্রশ্ন হলো আমার চাকুরির উপরোক্ত কার্যক্রমগুলো কি ঘুসের মধ্যে পড়ে বা ইসলামের বিধানে আমার ইনকাম হালাল উপার্জন হবে কি?
উত্তর : এসব সরাসরি ঘুষের অন্তর্ভূক্ত নয়। কারণ, কোনো চিকিৎসক এসব অষুধ লেখতে বাধ্য বা ওয়াদাবদ্ধ নন। তারা ইচ্ছা করলে এই অষুধ লেখতেও পারেন, নাও লেখতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি রোগীর হক নষ্ট না হয়, তাহলে আর্থিক লাভ, উপহার বা কমিশন নামে প্রণোদনা নিয়ে অষুধ লেখা জায়েজ। আপনি নিজেও এবং আপনার কোম্পানি নিজের খুশিমতো পন্য বিক্রির স্বার্থে মূল্যছাড় বা বৈধ সুবিধা দিতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, এসব লাভ ও আকর্ষণে রোগীর যেন অপচিকিৎসা, ঠকা কিংবা যে কোনো প্রকারের হক নষ্ট না হয়।
প্রশ্ন : আমার ছেলে সন্তানের নাম আবদুল্লা আল মাহিন রাখতে চাই। মাহিন নামের অর্থ কি? মাহিন নাম রাখা কি ঠিক হবে?
উত্তর : ঠিক হবে না। মাহিন শব্দের অর্থ হীন ও বাজে জিনিষ। এ শব্দটি নামের জন্য শোভনীয় নয়।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

আড়াইহাজারে জায়গা নিয়ে বিরোধের জের হামলায় আহত ৬

পাবিপ্রবিতে গুচ্ছের বি ইউনিটে উপস্থিতি ৯২.৩৫ শতাংশ

দ্রুতই দেশে নির্বাচন হবে এর বিকল্প নাই- এ এম এম বাহাউদ্দীন

১৫ বছরে সাংবাদিকদের ভূমিকা মূল্যায়নে জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হবে: প্রেস সচিব

কলাপাড়ায় মাহেন্দ্র -মোটর সাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিক্ষকের মৃত্যু

টাঙ্গাইলে মাওলানা রহিস উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় মানববন্ধন

কর্ণফুলীতে এক শিক্ষার্থীর হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

জিএসটি গুচ্ছভূক্ত ১৯টি বিশ^বিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত

গাজায় 'নজিরবিহীন' মানবিক বিপর্যয় থামাতে আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা করুন

মোরেলগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের যৌথ সভা

মুন্সীগঞ্জে দুই পরিবারের বিরোধে প্রতিপক্ষের গণপিটুনিতে ১ জন নিহত

আনোয়ারায় বিএনপির মিছিলে হামলার মামলায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেফতার

শারজাহতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

নির্বাচিত সরকার অবশ্যই স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে : তারেক রহমান

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

গাজার জন্য ত্রাণ বহনকারী জাহাজে হামলা ইসরায়েলের

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মে দিবসে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক

পেহেলগামে হামলার নেপথ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ : পাকিস্তানের গণমাধ্যম