প্রশ্ন : বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখা জায়েজ কি না? মুসলমানদের পক্ষে অমুসলিম দেশ কিংবা মুসলিম বিদ্বেষী দেশকে সমর্থন করা কেমন? অনেকে তাদের সমর্থিত দল বা পছন্দের খেলোয়াড়ের সাফল্য কামনা করে দান করেন বা রোজা রাখেন, এসব কি জায়েজ আছে?
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম
উত্তর : ইসলামে নির্দোষ খেলাধুলা জায়েজ। শরীর গঠন, দুনিয়া বা আখেরাতের কোনো লাভ আছে এমন খেলা নাজায়েজ নয়। তবে খেলার সাথে জুয়া, মাদকদ্রব্য, অশ্লিলতা, যিনা-ব্যাভিচার, অপচয় ইত্যাদি মিশ্রিত হলে তখন আর সেটি জায়েজ থাকে না। বিশ্বকাপ ফুটবলের ক্ষেত্রে এ বিবেচনাগুলো সামনে রেখে বুঝে নিতে হবে। খেলা হিসাবে অমুসলিম বা মুসলিম বিদ্বেষী দেশকেও সহজ অর্থে সমর্থন করা যায়। তবে ধমীয় ও রাজনৈতিক সিরিয়াস চিন্তা-ভাবনা একে সমর্থন করে না। অমুসলিম দেশ বা দল অথবা পছন্দের খেলোয়াড়ের সফলতার জন্য ইসলামী বিধান ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এতে শরীয়তের সাথে হালকামি পূর্ণ আচরণ করা হয়। খেলাকে খেলা হিসাবেই নেওয়া উচিত। এ সীমারেখা পর্যন্ত জায়েজ হওয়ার সুযোগ থাকতে পারে। কিন্তু মুসলমানের ঈমানী চেতনা ও বৈশ্বিক রাজনীতির আলোকে বিচার করলে ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইত্যাদি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
প্রশ্ন : অনলাইনে/ফোনে কোনো ছেলে বা মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে এবং পরে তা অস্বীকার করলে কি গোনাহ হবে?
উত্তর : শুধুমাত্র বিবাহের উদ্দেশ্য থাকলেই শরীয়ত সম্মত ও ভদ্রোচিত উপায়ে ছেলে মেয়ে প্রপোজ করতে পারে। এক্ষেত্রে অভিভাবক জড়িত থাকা বাঞ্ছনীয়। একা একা দু’টি ছেলে মেয়ে সামনাসামনি (এখন যাকে লোকেরা ‘অফলাইন’ বলে), অনলাইনে, ফোনে বা অন্য কোনো উপায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিজেই একটি বড় গোনাহের কাজ। এরপর আসে তা অস্বীকার করার প্রশ্ন। এখানে তো নতুন আরেকটি অনৈতিকতা পাওয়া গেল। মিথ্যা বলা, বিশ্বাসঘাতকতা করা, প্রতারণা করা। নিজেই ভেবে দেখুন এখানে কী পরিমাণ গোনাহর সমাবেশ ঘটেছে। যে কাজটি গোনাহ দিয়ে শুরু এর শেষও গোনাহ দিয়েই হয়। যদি না কেউ আল্লাহর ভয়ে এটিকে নেকীর দিকে পরিচালিত করে।
প্রশ্ন : বিধবাদের ক্ষেত্রে গহনার যাকাতের মাসআলা কি? হীরার তৈরী গহনার যাকাত দিতে হবে কি?
উত্তর : বিধবা যদি যাকাতের নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হন, তাহলে তারও যাকাত দিতে হবে। এক্ষেত্রে গহনাও শামিল। হীরার তৈরী গহনারও বাজার মূল্য ধরে যাকাত দিতে হবে।
প্রশ্ন : আমি একজন তালাকপ্রাপ্তা, আমার পূর্বের স্বামী হতে পাওয়া অনেক সোনা-গহনা আছে। যাকাত দিতে হবে কি না?
উত্তর : আপনি যেই হোন, আর যেখান থেকেই প্রাপ্ত হন, যদি আপনার মালিকানায় নেসাব পরিমাণ সোনা-গহনা থাকে তাহলে যাকাত বর্ষ পূর্ণ হলে আপনার যাকাত দিতে হবে।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু