বাধ্য হয়ে গর্ভপাত করানো সন্তানদের হাশরের দিনে ফিরে পাওয়া প্রসঙ্গে।

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৪ মে ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম | আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম

জসিম উদ্দিন
ইমেইল থেকে

প্রশ্নের বিবরণ : আমার স্ত্রী ২য় বার গর্ভধারণ করলে দূরে ভ্রমণজনিত কারণে রক্তক্ষরণ হয়ে গর্ভপাত হয়ে যায়। যদিও বাচ্চার আকৃতি ধারণ করেছিল। আবার ৩য় বার ৩মাসের বেশি সময় গর্ভধারণ করে সে সময় বাচ্চা পেটেই অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রথমবার পরীক্ষায় হার্ডবিটসহ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও পরবর্তীতে আল্ট্রা করলে দেখা যায় বাচ্চার হার্ডবিট পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিক আল্ট্রা করে পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শমতে গর্ভপাত করাতে বাধ্য হই। এই দুইজন সন্তানের জন্য আমরা এখনও কাঁদি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি। প্রশ্ন হলো, কেয়ামতের দিনে এই দু’জন সন্তানকে আল্লাহ ফিরিয়ে দিবে কিনা? বা তাদের দেখা পাওয়া যাবে কিনা?

উত্তর : হাদীসের আলোকে প্রাণ সঞ্চারিত ভ্রæণ, গর্ভপাত করা ভ্রæণ বা গর্ভে মৃত্যুবরণ করা ভ্রæণ সবার ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের জন্য আখেরাতে বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে। দুনিয়াতে গর্ভপাত বা স্বাভাবিক প্রসব সবক্ষেত্রেই প্রাণ সঞ্চারিত সন্তান, সন্তান বলেই বিবেচিত হবে। সুতরাং আপনার বর্ণিত দু’টি প্রাণই মৃত সন্তানের সমান সওয়াব ও বিনিময় পাওয়ার কারণ হতে পারে। যারা মা বাবার জান্নাতের জন্য সুপারিশ করবে। সন্তান মারা যাওয়ার পর ধৈর্যধারণের সওয়াব এক্ষেত্রেও পাওয়া যেতে পারে। কেননা, এমন ভ্রæণ নষ্ট হওয়া বা মৃত্যুবরণ করার কারণেও মা বাবা কাঁদে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com


বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পাওনা টাকা জাকাত হিসাবে কাটিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে?
প্রশ্ন: রোজার কাফফারা, ফিদিয়া ও কাযা আদায়ের সঠিক মাসয়ালা কী?
পুরুষ মানুষের জন্য রূপার ব্রেসলেট পরা প্রসঙ্গে?
শর্ত সাপেক্ষে মাদরাসায় জমি ওয়াকফ করা প্রসঙ্গে?
পুরুষ মানুষ না থাকায় মহিলাদের বাহিরের সব কাজ করা প্রসঙ্গে?
আরও
X

আরও পড়ুন

দাউদকান্দিতে মাদ্রাসায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল

দাউদকান্দিতে মাদ্রাসায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল

করতোয়া নদীর ১০.৭৫ একর জমি উদ্ধার

করতোয়া নদীর ১০.৭৫ একর জমি উদ্ধার

ভিলাকে হারিয়ে সেমিতে এক পা পিএসজির

ভিলাকে হারিয়ে সেমিতে এক পা পিএসজির

টঙ্গী মাজার বস্তিতে র‍্যাবের অভিযানে শীর্ষ সন্রাসী সৈকত গ্রেফতার

টঙ্গী মাজার বস্তিতে র‍্যাবের অভিযানে শীর্ষ সন্রাসী সৈকত গ্রেফতার

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী তিন বহুজাতিক কোম্পানি

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী তিন বহুজাতিক কোম্পানি

ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে সেমির দুয়ারে বার্সা

ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে সেমির দুয়ারে বার্সা

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী তিন বহুজাতিক কোম্পানি

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী তিন বহুজাতিক কোম্পানি

কামরাঙ্গীরচরে গণপিটুনিতে দুই ‘চাঁদাবাজ’ নিহত, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

কামরাঙ্গীরচরে গণপিটুনিতে দুই ‘চাঁদাবাজ’ নিহত, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

রাণী রূপে মায়ের চরিত্রে আসছে দীপিকা পাড়ুকোন

রাণী রূপে মায়ের চরিত্রে আসছে দীপিকা পাড়ুকোন

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স

ইহুদিবিরোধী পোস্ট দিলেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা, গ্রিনকার্ড আবেদন বাতিল

ইহুদিবিরোধী পোস্ট দিলেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা, গ্রিনকার্ড আবেদন বাতিল

সদরপুরে জাটকা রক্ষার অভিযানে ৪০০ মিটার অবৈধ বাঁশের বাঁধ উচ্ছেদ

সদরপুরে জাটকা রক্ষার অভিযানে ৪০০ মিটার অবৈধ বাঁশের বাঁধ উচ্ছেদ

সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০

সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও’র সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও’র সাক্ষাৎ

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস

চীন ছাড়া সব দেশের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প

চীন ছাড়া সব দেশের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের শুল্কে বাংলাদেশে কমবে প্রবৃদ্ধি, বাড়বে শঙ্কা-অনিশ্চয়তা

ট্রাম্পের শুল্কে বাংলাদেশে কমবে প্রবৃদ্ধি, বাড়বে শঙ্কা-অনিশ্চয়তা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে শীর্ষে সউদী

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে শীর্ষে সউদী

দাঁত ভাঙ্গা জবাব চীনের

দাঁত ভাঙ্গা জবাব চীনের