ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

প্রশ্ন : আশারায়ে মুবাশশরাহ অর্থাৎ বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ব্যক্তির কে কখন কি কারণে এ সুসংবাদ পেলেন? জানালে খুশি হবো।

Daily Inqilab ইনকিলাব

৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৩ এএম | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৩ এএম

উত্তর : আমাদের বুঝতে হবে যে, প্রিয় নবীজি সা. এর সাহাবীগণের সকলেই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে সুসংবাদ রয়েছে। এদের মধ্যে হজরত আবু বকর রা., হজরত ওমর রা., হজরত ওসমান রা., হজরত আলী রা., হজরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রা., হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা., প্রমুখ ১০ জন সাহাবী সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে এ মর্মে সুসংবাদ দিয়েছিলেন যে, এরা জান্নাতি। সে সব উপলক্ষ্যের বিবরণ দীর্ঘ আলোচনাসাপেক্ষ। শুধু এতটুকু বলা যায় যে, এদের সম্পর্কে প্রি নবীজি সা. যেহেতু সরাসরি নাম উচ্চারণ করে এ কথা বলেছেন যে, অমুক জান্নাতি, আর এরূপ সাহাবীর সংখ্যা যেহেতু ১০ জন, এ জন্য এদেরকে একসাথে আশারায়ে মুবাশশারাহ বা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন বলে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন : একটি ক্লিনিকে আমার বাবার চিকিৎসা করিয়েছিলাম। মোট বিল সাত কি আট হাজার টাকা হয়েছিল। যেটা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছিল এবং অনেকটা অমানবিকও। রিলিজ নেয়ার সময় দুই হাজার টাকা কম ছিল। তখন একজনকে জামিন রেখে মানে যে ডাক্তার দেখিয়েছি, তাকে জামিন রেখে চলে আসি। সে টাকা আজো দেয়া হয়নি। এখন টাকাটা ডাক্তারকে দেবো, নাকি ক্লিনিককে দেবো বুঝতে পারছি না । তবে এখনো রাগ হয়, কারণ এক রাত ক্লিনিকে থেকে এত বিল হওয়ার কথা নয়। শুধুমাত্র হাতভাঙা ব্যান্ডেজ করেছিল। তাই এতদিন টাকাটা দেয়া হয়নি। দয়া করে জানাবেন।
উত্তর : যতই অমানবিক মনে হোক, পাওনাদারের টাকা দিতেই হয়। বিশেষ করে কাউকে জামিন বানালে তাকে উদ্ধার করতে হয়। ওয়াদা দিলে তার বরখেলাপ করা যায় না। আপনার ও আপনার মতো শত শত লোকের কষ্ট আমি বুঝি, কিন্তু শরীয়ত অনুযায়ী আগে দরদাম না করে কোনো কাজ করলে তখন পাওনাদারের চাহিদা পূরণ করতে মানুষ বাধ্য থাকে। বিশেষ করে যেখানে কোনো সুবিচার ও বিবেচনার কর্তৃপক্ষ না থাকে। যারা মানুষকে জিম্মি করে বা তাদের বেকায়দা অবস্থার সুযোগ নিয়ে অধিক উপার্জন করে তাদের ওপর লা’নত এসেছে। তবে আপনি সেই ডাক্তারকে দুই হাজার টাকা দিতে বাধ্য। ডাক্তারকে আপনি আপনার কষ্টের কথা নরম ভাষায় বোঝান। এতে যদি তিনি ক্লিনিককে কম নিতে বা টাকা ছেড়ে দিতে রাজি করাতে পারেন, তাহলে আপনার সুবিধা হবে। যদি এমন না হয় তাহলে ধৈর্য ধরে টাকা পরিশোধ করে দিন। অন্যায় করলে তারা করুক, আপনি কেন গুনাহর ভাগি হবেন?
প্রশ্ন : নিজ বাসস্থান থেকে ৪৮ মাইল দূরত্বে সফরে গেলে নামায কসর করতে হয়। আমি সিলেট থেকে ঢাকা এসেও কি কসর পড়বো? এ যুগে তো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগে ৪/৫ ঘন্টায় এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া যায়। এমন সুবিধাজনক সফরেও কি কসর পড়া যায়?
উত্তর : সফরের ক্লান্তি বা কষ্টের সাথে কসরের সম্পর্ক নেই। শরীয়ত নির্ধারিত তিন মনযিল বা ৪৮ মাইলের দূরত্বে সফরের শুরু থেকেই সফরের অন্যান্য শর্ত পাওয়া গেলে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাযগুলো অর্ধেক পড়া শরীয়তের হুকুম। এটা সর্বকালের জন্যই মহান আল্লাহপাকের দেয়া একটি সুবিধা। বর্তমান যুগের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার দরুন এ হুকুম রহিত হয়ে যাবে না।

 


বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সিলেট জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেলেন যারা

সিলেট জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেলেন যারা

শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদের পাহাড়, অনুসন্ধানে দুদক

শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদের পাহাড়, অনুসন্ধানে দুদক

শুরুতেই হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাত

শুরুতেই হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাত

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার

অরুণাচলে লালফৌজের রসদ পৌঁছতে সীমান্তে হেলিপোর্ট! অস্বস্তিতে ভারত

অরুণাচলে লালফৌজের রসদ পৌঁছতে সীমান্তে হেলিপোর্ট! অস্বস্তিতে ভারত

ব্যালন দ’র জিততে পারেন মার্তিনেস: গুয়ার্দিওলা

ব্যালন দ’র জিততে পারেন মার্তিনেস: গুয়ার্দিওলা

নিউইয়র্কে হচ্ছে না ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক : হিন্দুস্তান টাইমস

নিউইয়র্কে হচ্ছে না ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক : হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘নারী ডন’ গ্রেফতার

ভারতে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘নারী ডন’ গ্রেফতার

মঙ্গলে কিলবিল করছে মাকড়সা! অবশেষে রহস্যের সমাধান

মঙ্গলে কিলবিল করছে মাকড়সা! অবশেষে রহস্যের সমাধান

বৈদেশিক মুদ্রা আইনের মামলায় সালমান-আনিসুল ৫ দিনের রিমান্ডে

বৈদেশিক মুদ্রা আইনের মামলায় সালমান-আনিসুল ৫ দিনের রিমান্ডে

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরো চারটি হত্যা মামলা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরো চারটি হত্যা মামলা

ভারতে পুলিশ সদস্যের গুলিতে ২ সহকর্মী নিহত

ভারতে পুলিশ সদস্যের গুলিতে ২ সহকর্মী নিহত

কাজ করবে না অ্যান্টিবায়োটিক, প্রাণ হারাবে ৪ কোটি মানুষ!

কাজ করবে না অ্যান্টিবায়োটিক, প্রাণ হারাবে ৪ কোটি মানুষ!

ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ

ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ

বিদেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

শেরপুরের পাঁচ থানার ওসি বদলি

শেরপুরের পাঁচ থানার ওসি বদলি

রাজধানীতে বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা

রাজধানীতে বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা

২০৩৫ সালের মধ্যে আধুনিক স্মার্ট বন্দর তৈরি করবে চীন

২০৩৫ সালের মধ্যে আধুনিক স্মার্ট বন্দর তৈরি করবে চীন

লেবাননে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ, নিহত ২০

লেবাননে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ, নিহত ২০

এস আলমের গৃহকর্মীর নামে ১৫ কোটি টাকার সম্পদ!

এস আলমের গৃহকর্মীর নামে ১৫ কোটি টাকার সম্পদ!