প্রশ্ন : আশারায়ে মুবাশশরাহ অর্থাৎ বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ব্যক্তির কে কখন কি কারণে এ সুসংবাদ পেলেন? জানালে খুশি হবো।
৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৩ এএম | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৩ এএম
উত্তর : আমাদের বুঝতে হবে যে, প্রিয় নবীজি সা. এর সাহাবীগণের সকলেই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে সুসংবাদ রয়েছে। এদের মধ্যে হজরত আবু বকর রা., হজরত ওমর রা., হজরত ওসমান রা., হজরত আলী রা., হজরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রা., হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা., প্রমুখ ১০ জন সাহাবী সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে এ মর্মে সুসংবাদ দিয়েছিলেন যে, এরা জান্নাতি। সে সব উপলক্ষ্যের বিবরণ দীর্ঘ আলোচনাসাপেক্ষ। শুধু এতটুকু বলা যায় যে, এদের সম্পর্কে প্রি নবীজি সা. যেহেতু সরাসরি নাম উচ্চারণ করে এ কথা বলেছেন যে, অমুক জান্নাতি, আর এরূপ সাহাবীর সংখ্যা যেহেতু ১০ জন, এ জন্য এদেরকে একসাথে আশারায়ে মুবাশশারাহ বা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন বলে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন : একটি ক্লিনিকে আমার বাবার চিকিৎসা করিয়েছিলাম। মোট বিল সাত কি আট হাজার টাকা হয়েছিল। যেটা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছিল এবং অনেকটা অমানবিকও। রিলিজ নেয়ার সময় দুই হাজার টাকা কম ছিল। তখন একজনকে জামিন রেখে মানে যে ডাক্তার দেখিয়েছি, তাকে জামিন রেখে চলে আসি। সে টাকা আজো দেয়া হয়নি। এখন টাকাটা ডাক্তারকে দেবো, নাকি ক্লিনিককে দেবো বুঝতে পারছি না । তবে এখনো রাগ হয়, কারণ এক রাত ক্লিনিকে থেকে এত বিল হওয়ার কথা নয়। শুধুমাত্র হাতভাঙা ব্যান্ডেজ করেছিল। তাই এতদিন টাকাটা দেয়া হয়নি। দয়া করে জানাবেন।
উত্তর : যতই অমানবিক মনে হোক, পাওনাদারের টাকা দিতেই হয়। বিশেষ করে কাউকে জামিন বানালে তাকে উদ্ধার করতে হয়। ওয়াদা দিলে তার বরখেলাপ করা যায় না। আপনার ও আপনার মতো শত শত লোকের কষ্ট আমি বুঝি, কিন্তু শরীয়ত অনুযায়ী আগে দরদাম না করে কোনো কাজ করলে তখন পাওনাদারের চাহিদা পূরণ করতে মানুষ বাধ্য থাকে। বিশেষ করে যেখানে কোনো সুবিচার ও বিবেচনার কর্তৃপক্ষ না থাকে। যারা মানুষকে জিম্মি করে বা তাদের বেকায়দা অবস্থার সুযোগ নিয়ে অধিক উপার্জন করে তাদের ওপর লা’নত এসেছে। তবে আপনি সেই ডাক্তারকে দুই হাজার টাকা দিতে বাধ্য। ডাক্তারকে আপনি আপনার কষ্টের কথা নরম ভাষায় বোঝান। এতে যদি তিনি ক্লিনিককে কম নিতে বা টাকা ছেড়ে দিতে রাজি করাতে পারেন, তাহলে আপনার সুবিধা হবে। যদি এমন না হয় তাহলে ধৈর্য ধরে টাকা পরিশোধ করে দিন। অন্যায় করলে তারা করুক, আপনি কেন গুনাহর ভাগি হবেন?
প্রশ্ন : নিজ বাসস্থান থেকে ৪৮ মাইল দূরত্বে সফরে গেলে নামায কসর করতে হয়। আমি সিলেট থেকে ঢাকা এসেও কি কসর পড়বো? এ যুগে তো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগে ৪/৫ ঘন্টায় এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া যায়। এমন সুবিধাজনক সফরেও কি কসর পড়া যায়?
উত্তর : সফরের ক্লান্তি বা কষ্টের সাথে কসরের সম্পর্ক নেই। শরীয়ত নির্ধারিত তিন মনযিল বা ৪৮ মাইলের দূরত্বে সফরের শুরু থেকেই সফরের অন্যান্য শর্ত পাওয়া গেলে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাযগুলো অর্ধেক পড়া শরীয়তের হুকুম। এটা সর্বকালের জন্যই মহান আল্লাহপাকের দেয়া একটি সুবিধা। বর্তমান যুগের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার দরুন এ হুকুম রহিত হয়ে যাবে না।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ