প্রশ্ন : চাকরির সুবাদে কুয়েতে থাকি। বাবা-মায়ের সাথে দেখা হয় না কয়েক বছর। মন কান্দে, মায়ের কথা মনে পড়লে কাজে মন বসে না। মন ঠাণ্ডা করার জন্যে কী দোয়া পড়তে পারি?
০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
উত্তর : মায়ের জন্য মন কাঁদবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব সন্তান সারা জীবন মায়ের সাথে থাকতে পারে না। নানা কারণে তাকে দূরে যেতেই হয়। ধীরে ধীরে অভ্যাসও হয়ে যায়। আপনি কাজকর্ম ও ইবাদতে মনোযোগী হন। সুযোগ হলে মাকে এসে দেখে যাবেন। এখন তো সহজে কথাও বলা যায়। অনলাইনে সুযোগ থাকলে মাকে দেখবেন। এমনিতে মায়ের জন্য আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা চেয়ে বেশি বেশি দোয়া করবেন। তসবিহ, জিকির ও দরূদ যখন যেটা ভালো লাগে পড়তে থাকবেন। আল্লাহ মন শান্ত করে দেবেন।
প্রশ্ন : আমার বাবার বিভিন্ন বদভ্যাসের কারণে আমি প্রায়ই তার সাথে কথা কাটাকাটি করি। মাঝে মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। আমি চাকরি করি, কিন্তু অভিভাবকের কষ্ট হবে বলে আলাদা হতে পারছি না। এমতাবস্থায় কি করণীয় বলবেন প্লিজ।
উত্তর : পিতার যত বদভ্যাসই থাকুক, তার সাথে কথা কাটাকাটি করা চলবে না। সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। সন্তানের জন্য এটাই আল্লাহর বিধান। আল্লাহর সাথে যেরকম গোলামির সম্পর্ক কোনো কারণেই ছিন্ন করা যায় না। বান্দাদের মধ্যে পিতা-মাতাও এমন যে, তাদের সাথে সন্তানের সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা আমার সাথে কাউকে শরিক করো না। আর পিতা-মাতার সাথে সর্বোচ্চ সদাচরণ করো।’ আপনি ধৈর্য নম্র আচরণ ও দোয়ার মাধ্যমে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়ে যান। আপনার আব্বার (আপনার ভাষায়) বদভ্যাসগুলো দূর হওয়ার জন্য। তিনি খারাপ ব্যবহার করলেও আপনি মাটির মতো শয়ে যান। কথা কাটাকাটি করবেন না। নিজে চাকরি করলেও তাদের ছেড়ে যাবেন না। প্রয়োজনে দূরে থাকতে হলেও তাদের সাথে সদাচরণ করতে থাকবেন। এভাবে চলাই আপনার জীবনের স্বার্থকতা।
প্রশ্ন : পবিত্র কোরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা নিজেকে বেশিরভাগ জায়গায় ‘আমরা’ বলে সম্বোধন করেছেন। কিন্তু আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তাহলে তিনি নিজেই নিজেকে ‘আমরা’ বলছেন কেন? বুঝিয়ে বলবেন কি?
উত্তর : এটি আরবী বাক রীতির অংশ। সেখানে এক ব্যক্তি ‘আমি’ বলে। মহান অর্থে ‘আমি’র জায়গায় ‘আমরা’ও বলে। এটা কেবল কোরআন শরীফে নয়, আরবী সাহিত্যে প্রচুর দেখা যায়। যেমন, একজনকে বলা হয় ‘আলাইকা’ কিন্তু আমরা সালামের সময় বলি ‘আলাইকুম’। যার অর্থ ‘আপনাদের ওপর’। বাংলায় তরজমার সময় কোরআনের আল্লাহ যেভাবে বলেছেন সেভাবেই করা কর্তব্য। যেখানে আল্লাহ নিজেকে ‘আমি’ বলেছেন, সেখানে আমি। যেখানে ‘আমরা’ বলেছেন, সেখানে ‘আমরা’ বলাই শুদ্ধ। এই ‘আমরা’ বহু বচনের জন্য নয়। মহত্বের জন্য।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যবিপ্রবিতে ১০ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আ’লীগের দোসর আখ্যায়িত করে অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি
দেশজুড়ে অপুষ্টি প্রতিরোধে সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে আইএসডি’র অংশীদারিত্ব
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, সংসদের মেয়াদ কমিয়ে ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে হবে- নোয়াখালীতে নুরুল হক নুর
মসজিদে একাকী নামাজ পড়ার সময় দ্বিতীয় জামাত শুরু হলে করণীয় প্রসঙ্গে?
ডোনাল্ড ট্রামই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট!
উ. কোরীয় সেনারা কি পারবে যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে
‘কোনো আপস করবেন না মোদি’
ইসরাইলের সঙ্গে ফের বাণিজ্য চালুর সম্ভাবনা নাকচ তুরস্কের
রক্তমাখা বিছানা পরিষ্কাররত গর্ভবতীর ভিডিও ভাইরাল
বিএনপি অপরাজনীতি পছন্দ করেনা - শামীম তালুকদার
সুইং স্টেটে ভোট চাইতে ট্রাম্প ও কমলার কথার লড়াই
লেবাননে মসজিদ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী
সস্তা শ্রমের অভিবাসী ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হবে অচল
আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনাদের গোলাম হয়ে থাকতে চাই : টুকু
এক ঘণ্টা পিছিয়ে যাচ্ছে ঘড়ির কাঁটা যুক্তরাষ্ট্রে
ইসরাইলে পাল্টা হামলার নির্দেশ খামেনির
সোনাইমুড়ীতে পাঁচবাড়িয়া মডার্ন ড্রিম ভিলেজের আত্মপ্রকাশ
ইরাকি মিলিশিয়াদের সহায়তা নিতে পারে ইরান, সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে ইসরাইল
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান
শিশুর পা কামড়ে বিতর্কে বাইডেন