দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
১৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৬ এএম
প্রশ্ন : কি কি কারণে জামাআত ত্যাগ করা যায়?
উত্তর : অসুস্থতা। বৃষ্টি এবং রাস্তায় কাদা জমা। প্রচুর শীত। তীব্র অন্ধকার। রাতে ঝড় আসলে। চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের আশংকা। অসুস্থ ব্যক্তির সেবায় নিয়োজিত থাকলে। ক্ষুধার সময় খানা হাজির হলে। ফিক্হের মাসআলাহ নিয়ে আলোচনারত থাকলে। বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ও অসুস্থতা। ঘুম, অজ্ঞানতা ও ভুলে যাওয়া। মসজিদে যাওয়ার পথে শত্রুর সম্মুখীন হওয়ার আশংকা। পেশাব-পায়খানার বেগ বেশি হলে। সফরে রওনার সময় সঙ্গী-সাথী বা যানবাহন ফেল করার আশংকা থাকলে।
প্রশ্ন : এক ব্যক্তির অন্তরে যোহর নামাজের খেয়াল ছিল এবং মুখে উচ্চারণের সময় আসর নামাজের কথা বলে ফেলল; তার নিয়ত শুদ্ধ হবে কি?
উত্তর : এ ক্ষেত্রে মুখের উচ্চারণ ধর্তব্য নয়, বরং অন্তরের ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে এবং যোহরের নিয়ত সঠিক বলে বিবেচিত হবে।
প্রশ্ন : নামাজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সীমারেখা কী? কতটুকু দূর দিয়ে অতিক্রম করা যায়?
উত্তর : বড় মসজিদ বা ময়দানে নামাজরত ব্যক্তির সিজদার স্থানের দিকে নজর রাখা অবস্থায় স্বাভাবিক দৃষ্টি যে পর্যন্ত যায়, সে সীমার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করা নিষেধ। আর ছোট মসজিদ বা ঘরের ভেতর সুতরাহ বা যথাযথ আড়াল ছাড়া নামাজের সামনে দিয়ে যাওয়া গোনাহের কাজ।
প্রশ্ন : মুরব্বিদের মুখে শোনা যায়, সন্তানের ওপর মা-বাবার নজর বেশি লাগে। ইসলামের দৃষ্টিতে এ কথার সত্যতা কতটুকু?
উত্তর : নজর লাগার বিষয়টি ইসলামে স্বীকৃত। হাদিস শরীফে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, আল আইনু হাক্কুন। অর্থাৎ নজর লাগার বিষয়টি সত্য। এ জন্য নিজের দায়িত্ব হচ্ছে, ভালো কিছু দেখলে মনকে হিংসা-বিদ্বেষ বা শত্রুতামুক্ত মন নিয়ে দেখতে হয়। মাশাআল্লাহ বলতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। খুশি প্রকাশ করে ইতিবাচক দোয়া ও মন্তব্য করতে হয়। বিরূপ মনোভাব বা মন্তব্য সুন্দর জিনিসটির ক্ষতি করে। মা-বাবার বিষয়টিও এর বাইরে নয়। তারা যখন সন্তানকে দেখে মুগ্ধ হন তখন তাদের উচিত আল্লাহর শোকর করা। মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ বলা। এর কৃতিত্ব যে নিজেদের নয়, সর্বশক্তিমান আল্লাহর এ কথাটি মনে জাগরুক রেখে আল্লাহর প্রশংসা করা। তার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া। সন্তানের সৌন্দর্য বা কৃতিত্ব নিজের মনের তৃপ্তি ও মুগ্ধতার দ্বারা বিনষ্ট ও বাধাগ্রস্ত হয়। এখানে অসৎ উদ্দেশ্য হিংসা শত্রুতা বা কুটিল দৃষ্টি থাকে না বটে, তবে মুগ্ধতা ও আত্মপ্রসাদ থাকে, যা সন্তানের ক্ষতি টেনে আনে। এটাকে মুরব্বিরা বাবা-মায়ের নজর বলে থাকেন। এটি সামাজিক বিষয়। মনস্তত্ত্বের সাথেও এর সম্পর্ক আছে। হাদিস শরীফে এর প্রতিই ইশারা করা হয়েছে। যে জন্য সকাল-সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসির আমল ও সূরা ফালাক ও নাস পাঠের মাধ্যমে নিজের ও সন্তানের হেফাজত কামনা করার নিয়ম ইসলামে আছে। দিনরাত অন্যান্য দোয়া-দরুদ ও জিকির অজিফা এসব উদ্দেশ্যেই করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : নামাজের সামনে দিয়ে কেউ চলে গেলে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় কি?
উত্তর : না, নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীর মারাত্মক গোনাহ হয়।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেষ বিকেলে লুইস-অ্যাথানেজের 'আক্ষেপে' ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশে
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়