নিশ্চিত করল ইসরাইলি সেনা

শিশুদের শিরচ্ছেদ করেনি হামাস

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

বন্দিদের ছেড়ে না দেয়া পর্যন্ত গাজায় খাবার-পানি-জ্বালানি বন্ধ থাকবে : ইসরাইল
গাজায় ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে ইসরাইল, বললেন এরদোগান
রাশিয়া সবসময় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করে : পুতিন
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ১২ কর্মচারী নিহত
ইসরাইলের সমর্থনে আরেকটি নৌবহর পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
শনিবার থেকে শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষের সময় হামাস যোদ্ধারা কাফার আজা কিবুতজ অঞ্চলে শিশুদের শিরñেদ করেছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গত কিছুদিন ধরেই এমন একটি মিথ্যা দাবি সামাজিক মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং এমনকি কিছু মূলধারার সংবাদ ওয়েবসাইট দ্বারাও প্রচারিত হয়েছিল।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের সশস্ত্র আক্রমণের নিন্দা করার জন্য এ অভিযোগটি ব্যবহার করা হয়েছে, মঙ্গলবার প্রথম এটি প্রকাশ্যে আসে যখন ইসরাইল সরকারের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টটি আই ২৪ নিউজ রিপোর্টার নিকোল জেডেকের কাছ থেকে কেফার আজা কিবুটজে ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ভিডিওটিতে ক্যাপশন দেয়া হয়েছে যে, ‘৪০ শিশু খুন’। অন্য একটি ভিডিওতে, প্রতিবেদক বলেছেন, ‘কেউ আশা করতে পারে না যে এটি এমন হবে, আমি এই সৈন্যদের কাছ থেকে যে ভয়াবহতা শুনছি।’ সিবিএস এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়া সহ বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট, তিন ডজনেরও বেশি শিশুর শিরচ্ছেদের অভিযোগের খবর প্রচার করে।

সিবিএস ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র মেজর লিবি ওয়েইসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে একাধিক ইসরাইলি সৈন্য ‘বিভিন্ন বয়সের শিশুদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছেএবং প্রাপ্তবয়স্কদেরও কেফার আজায় টুকরো টুকরো করা হয়েছে’ বলে জানিয়েছে। তবে, আনাদোলু এজেন্সি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে স্পষ্ট করে বলেছে যে, তাদের দাবির কোনো নিশ্চিতকরণ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুখপাত্র এজেন্সিকে বলেছেন, ‘আমরা খবরটি দেখেছি, কিন্তু আমাদের কাছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।’ ইন্ডিপেনডেন্ট নিউজ আউটলেট ৯৭২ ম্যাগের সাথে সম্পৃক্ত সাংবাদিক ওরেন জিভও বিষয়টি তুলে ধরে জানিয়েছেন, ‘(আক্রমণের স্থানে) সফরের সময় আমরা এর (শিশুদের শিরচ্ছেদ) এবং সেনাবাহিনীর কোন প্রমাণ দেখতে পাইনি। মুখপাত্র বা কমান্ডাররাও এ ধরনের কোনো ঘটনার উল্লেখ করেননি।’

বন্দিদের ছেড়ে না দেয়া পর্যন্ত গাজায় খাবার-পানি-জ্বালানি বন্ধ থাকবে : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন হামাসের কাছে থাকা বন্দিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত গাজা উপত্যকার সব সুবিধা বন্ধ থাকবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, হামাস সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বা মানবিক সহায়তাসহ কোনো মৌলিক সংস্থানের অনুমতি দেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবিক সাহায্য? অপহৃত ইসরাইলিরা বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করা হবে না; পানির কোনো কল খোলা হবে না এবং কোনো জ্বালানি ট্রাক প্রবেশ করবে না।

ইসরাইল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ভয়াবহ পানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে গাজার অন্তত সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবিক কার্যালয় বলছে, গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণের কারণে গত শনিবার থেকে ১ হাজার ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এ অঞ্চলে অনেকেই পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সেবা সরবরাহে মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় আরও বলছে, হামলার ঘটনায় আরও ৫৬০টি আবাসন ইউনিট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত; এগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইসরাইলি বিমান হামলার কারণে কমপক্ষে ১২ হাজার ৬০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অঞ্চলের ১৩টি হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু রয়েছে।

জ্বালানি ও গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরবরাহের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। উপত্যকায় অবরোধ কঠোর করায় পানি সরবরাহ প্রায় বন্ধ। ২৩ লাখ জনগণের গাজায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ তীব্র পানির সংকটে পড়েছে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ভ্র‚ণ-বর্জ্য পড়ে আছে। এটি গাজার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিশাল বিপদ। জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে দুই পক্ষের হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি। ২ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ মানুষ গাজা উপত্যকায় ইউএনআরডবিøইএ’র ৯২টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকে সরকারি স্কুল ও অন্যান্য ভবনে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত শনিবার ইসরাইলে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকে টানা ছয়দিনের এই সংঘাতে নিহত ইসরাইলিদের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে বহু সেনাসদস্য, নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও হাজার হাজার ইসরাইলি। জবাবে শনিবার থেকে গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ১২০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। গাজা ভ‚খÐে ২৩ লাখ মানুষ বাস করেন এবং সেখানে খাদ্য ও জ্বালানি পৌঁছানোর পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল।

গাজায় ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে ইসরাইল : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অবরোধ ও বোমাবর্ষণের নিন্দা করে এটিকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। বুধবার পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন একে পার্টির সদস্যদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, এমনকি যুদ্ধেরও একটি ‘নৈতিকতা’ আছে কিন্তু চলমান সংঘাতে সেটি ‘খুব মারাত্মকভাবে’ লঙ্ঘন করা হয়েছে।

গাজা ভ‚খÐে ইসরাইলের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি ইসরাইলি হামলায় গাজার অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘মানুষকে তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে বাধা দেওয়া এবং বেসামরিক লোকজনের বাসস্থানে বোমা হামলা করা কোনও যুদ্ধ নয়, এটি গণহত্যা।’ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা প্রকাশ্যে ইসরাইলি ভ‚খÐে বেসামরিক হত্যার বিরোধিতা করছি। একইভাবে, আমরা কখনোই গাজায় নির্বিচারে, অবিরাম বোমা হামলার মাধ্যমে অরক্ষিত নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যা মেনে নিতে পারি না।’

যদিও গাজা ভ‚খÐের অনেক মানুষ দরিদ্র এবং তারা সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া বুধবার গাজা প্রশাসন জানিয়েছে, ভ‚খÐটির একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেখানে আর বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের নিপীড়নমূলক নীতিই চলমান সংঘাতের কারণ। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, রাষ্ট্র হিসাবে কাজ না করে তারা কেবল একটি সংগঠনের মতো কাজ করলে তাদেরকে সেভাবেই দেখা হবে।’ এরদোগান গাজায় ইসরাইলের ‘অসমতুল্য’ আক্রমণকে ‘নৈতিক ভিত্তি বর্জিত’ বলে সমালোচনা করেছেন এবং বিশ্বকে ‘অন্ধভাবে’ একটি পক্ষ না নেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন। তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, সংকটের অন্তর্নিহিত সমস্যাটিকে অমীমাংসিত রেখে নতুন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা উভয়পক্ষকে আরও সহিংস সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবে।

রাশিয়া সবসময় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করে : রাশিয়া সর্বদা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পক্ষে বলেছে, রাশিয়ান এনার্জি উইকের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন। ‘আমরা সর্বদা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকে সমর্থন করেছি, আমি বলতে চাচ্ছি, প্রথমত, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা। এটিই সকল সমস্যার মূল,’ উল্লেখ করেন পুতিন।

তিনি আরও বলেন যে, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের নিষ্পত্তির বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান সাম্প্রতিক মর্মান্তিক ঘটনার ফলে উঠে আসেনি, তবে গত কয়েক দশক ধরে এটি গঠিত হয়েছিল। ‘এবং এই অবস্থানটি ইসরাইলি পক্ষ এবং ফিলিস্তিনে আমাদের বন্ধুদের উভয়ের কাছেই সুপরিচিত,’ রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট যোগ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ কয়েকটি দেশের ‘মধ্যস্থতা কার্যক্রম’ দ্বারা সংসর্গী এবং উত্তপ্ত হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের মতে, আজও এই দেশগুলোতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশেষজ্ঞরা আছেন যারা বিশ্বাস করেন যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পথ অনুসরণ করা প্রয়োজন। ‘এবং ইসরাইলেও এই ধরনের মানুষ আছে। কিন্তু যারা কয়েক দশক ধরে জোর করে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছে তারাই ক্ষমতায় রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, এটি এমন দুঃখজনক ঘটনার দিকে নিয়ে যায় যেটা আমরা এখন প্রত্যক্ষ করছি,’ পুতিন বলেন।

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ১২ কর্মচারী নিহত : গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিন শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থার (ইউএনআরডাবিøউএ) ১২ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক গতকাল (বুধবার) এ তথ্য জানিয়েছেন।

এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নিহত ১২ জন কর্মীর সকলেই গাজা অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা। দুজারিক আরও জানান, ৭ অক্টোবরের পর গাজা অঞ্চলে ইউএনআরডাবিøউএ-পরিচালিত স্কুলগুলোতে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী নিহত এবং ৮ শিক্ষার্থী ও ৩ জন শিক্ষক আহত হয়। তিনি জানান, বর্তমানে মোট ২ লাখ বাস্তুচ্যুত গাজার বাসিন্দা ইউএনআরডাবিøউএ-পরিচালিত ৮৮টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। তার ভাষ্যমতে, ইসরাইলি বিমান হামলা অব্যাহত থাকায় শরণার্থীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কয়েকটি স্কুলে ইতিমধ্যে ব্যাপক ভিড় হয়েছে এবং সেখানে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

ইসরাইলের সমর্থনে আরেকটি নৌবহর পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগের সমন্বয়কারী জন কিরবি সাংবাদিকদের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বিমানবাহী রণতরী ডোয়াইট আইজেনহাওয়ারকে ভ‚মধ্যসাগরে স্থাপন করা হবে। ‘আপনি যেমন জানেন, বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড এবং তার বহর (স্ট্রাইক গ্রæপ) এখন পূর্ব ভ‚মধ্যসাগরে রয়েছে। তারা গতকাল পৌঁছেছে। কোনো শক্তি, সংগঠন, গোষ্ঠীর কাছে এটি পরিষ্কার করার জন্য তারা সেখানে অবস্থান করছে। সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, জাতি-রাষ্ট্র - ইসরাইলের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ অভিপ্রায় নিয়ে যারা এ দ্ব›দ্বকে প্রসারিত করতে চায়, তাদের দেখাতে চাই যে, আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে গুরুত্ব সহকারে নেব,’ তিনি বলেছিলেন।

‘আমি আরও লক্ষ্য করব যে ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার বিমানবাহী রণতরী এবং তার স্ট্রাইক গ্রæপ একটি পূর্বনির্ধারিত - দীর্ঘ-নির্ধারিত মোতায়েনের জন্য ইউরোপীয় কমান্ডের দায়িত্বের এলাকায় রওনা হবে। তারা আগামী সপ্তাহে বা তারও বেশি সময়ে সেই স্থাপনা শুরু করবে। তারা প্রাথমিকভাবে আটলান্টিক পেরিয়ে ভ‚মধ্যসাগরে যাবে, যেখানে প্রয়োজন হলে তাদেরকে ব্যবহার করা যাবে,’ তিনি এগিয়ে গেলেন। ‘আমরা ইতিমধ্যেই কিছু চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে একটি দ্বিতীয় নৌ-বহর ইস্টার্ন মেডে স্থাপন করা হবে। এখনও কোনও অপারেশনাল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, তবে পরিস্থিতি সেই দিকে অগ্রসর হলে, তার জাহাজগুলো তার সাথে থাকবে, এবং প্রয়োজনে এগুলো অবশ্যই একটি উপলব্ধ সম্পদ হবেন,’ কিরবি যোগ করেছেন।

‘আমরা একটি উচ্চস্বরে এবং স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছি: ইসরাইলের প্রতি বিদ্বেষী কোনো শক্তি যদি এই যুদ্ধ বাড়ানো বা প্রসারিত করার চেষ্টা করার কথা বিবেচনা করে তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত,’ তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন। পেন্টাগন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহী রণতরী ডোয়াইট আইজেনহাওয়ারকে ইসরাইলের উপক‚লে পাঠানোর কথা ভাবছে। সূত্র : ডন, আল-জাজিরা, তাস।


বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গাজায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান আরব লিগের

গাজায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান আরব লিগের

আর‌ও এক বিরল রোগের ঝুঁকি, ফের কাঠগড়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা

আর‌ও এক বিরল রোগের ঝুঁকি, ফের কাঠগড়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা

‘অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা’ তত্ত্ব একেবারে ভিত্তিহীন: চীন

‘অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা’ তত্ত্ব একেবারে ভিত্তিহীন: চীন

উখিয়া টেকনাফের সীমান্ত এলাকা অবৈধ অস্ত্র, মাদক চোরাচালানের রোডম্যাপে পরিণত হচ্ছে

উখিয়া টেকনাফের সীমান্ত এলাকা অবৈধ অস্ত্র, মাদক চোরাচালানের রোডম্যাপে পরিণত হচ্ছে

এদেরসনকে হারানোর ধাক্কা সিটির, ব্রাজিলের জন্যও যা দুর্ভাবনার

এদেরসনকে হারানোর ধাক্কা সিটির, ব্রাজিলের জন্যও যা দুর্ভাবনার

জার্মানির ইউরো দলে ৪ গোলরক্ষক, নেই নাব্রি-হুমেলস

জার্মানির ইউরো দলে ৪ গোলরক্ষক, নেই নাব্রি-হুমেলস

আয়ে রোনালদো শীর্ষেই, পেছালেন মেসি

আয়ে রোনালদো শীর্ষেই, পেছালেন মেসি

ফের্মিন লোপেজের জোড়া গোলে জাভির শততম ম্যাচ জয়ে রাঙাল বার্সা

ফের্মিন লোপেজের জোড়া গোলে জাভির শততম ম্যাচ জয়ে রাঙাল বার্সা

১৫ কবি ও সাহিত্যিক পাচ্ছেন রাইটার্স ক্লাব পুরস্কার

১৫ কবি ও সাহিত্যিক পাচ্ছেন রাইটার্স ক্লাব পুরস্কার

ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভারতীয় হাইকমিশনার

ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভারতীয় হাইকমিশনার

হাতে চোট নিয়েও মেয়েকে নিয়ে কানে ঐশ্বরিয়া

হাতে চোট নিয়েও মেয়েকে নিয়ে কানে ঐশ্বরিয়া

ঢাকায় তিনদিনের কোল্ড চেইন ও অবকাঠামো প্রদর্শনী শুরু

ঢাকায় তিনদিনের কোল্ড চেইন ও অবকাঠামো প্রদর্শনী শুরু

ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন

ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন

মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও ভালোবাসা বিরল : নাছিম

মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও ভালোবাসা বিরল : নাছিম

দেশকে আরো এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশকে আরো এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সোনালিকে ‘অপহরণ’ করতে চেয়েছিলেন শোয়েব আখতার!

সোনালিকে ‘অপহরণ’ করতে চেয়েছিলেন শোয়েব আখতার!

সরকারের লুটপাটে দেশের অর্থনীতি খাদের কিনারায়: এমরান সালেহ প্রিন্স

সরকারের লুটপাটে দেশের অর্থনীতি খাদের কিনারায়: এমরান সালেহ প্রিন্স

রাবিতে গাঁজা সেবনে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি

রাবিতে গাঁজা সেবনে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি

বাসে জাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানিতে জড়িতদের শাস্তির দাবি

বাসে জাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানিতে জড়িতদের শাস্তির দাবি

পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাড়ানোর সুপারিশ

পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাড়ানোর সুপারিশ