ফিলিস্তিনি বিতাড়ন পদক্ষেপ মানবে না মিসর-জর্ডান
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর চলমান অভিযানে ঘরবাড়ি হারানো বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেবে না মিসর এবং জর্ডান। বুধবার কায়রোতে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি এক বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দু’দেশের দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার কায়রোতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিসরের প্রেসিডেন্টের ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আজকের বৈঠকে দুই নেতা এই মর্মে একমত হয়েছেন যে গাজায় যে যুদ্ধ চলছে— তা কেবল কোন দেশ বা ভৌগলিক অঞ্চলের নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্য একটি সমস্যা এবং এই সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’ ‘পাশাপাশি গাজায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে আশ্রয় না দেওয়ার ইস্যুতেও ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দুই নেতা। সেই সঙ্গে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তৎপর হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।’ ইসরাইলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু,অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরাইলের ভূখ- থেকে ২৪২ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সেদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরাইলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৬ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন; এবং রয়েছেন শিশু, নারী, তরুণ-তরুণী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা— সব বয়সী মানুষ। আরব নিউজ, দ্য ন্যাশনাল।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল গ্রেফতার।
জাল স্টাম্প-কোর্ট ফি তৈরি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করতো চক্রটি
উত্তরায় শিকলে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ২ কিশোরকে নির্যাতন, আটক ২
শৈলকুপায় চাঞ্চল্যকর ‘ফাইভ মার্ডার’ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন
চাঁবিপ্রবি’র ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল হলেও দীপু মনির চাপে গোপন রাখা হয়
ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খুলতে চায় জাতিসংঘ : সমকামিতা প্রসারের আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে নারী প্রতারক আটক
গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের বেতন-টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত
জর্জির ১০০, দ. আফ্রিকার ২০০
আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার
ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে কাশ্মিরে গেরিলা যোদ্ধা নিহত ১
দুদকের চেয়ারম্যান মইনুউদ্দীনসহ দুই কমিশনারের পদত্যাগ
সৎ ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা, সৎ মা নিজেই হত্যার শিকার হয়
ফিলিপাইনের মাদকবিরোধী অভিযানে ‘ডেথ স্কোয়াড’, দুতার্তের স্বীকারোক্তি
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস র্যাগিং ও মাদক মুক্ত ঘোষনা
রাজবাড়ীতে অস্ত্র মামলায় এক সন্ত্রাসীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জর্জি-স্টাবসের শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
মহেশপুরে অসুস্থ্য গরুর মাংস বিক্রয়ের অপরাধে কসাই আটক, জেল-জরিমানা
ব্যবসা নয় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে হাজীদের সেবা করা
কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত