কবি জীবনানন্দ দাশ

Daily Inqilab জোবায়ের আলী জুয়েল

২০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

কবি জীবনানন্দ দাশ ছিলেন একজন কাল সচেতন ও ইতিহাস সচেতন কবি। আধুনিক কাব্য কলার বিচিত্র ইজম প্রয়োগ ও শব্দ নিরিক্ষার ক্ষেত্রে ও তার অনন্যতা বিস্ময়কর। বিশেষতঃ কবিতার উপমা প্রয়োগে জীবনানন্দের নৈপূন্য তুলনাহীন। কবিতাকে তিনি মুক্ত আঙ্গিকে উর্ত্তীন করে গদ্যের স্পন্দন যুক্ত করেন, যা’পরবর্তী কবিদের প্রবল ভাবে প্রভাবিত করেছে। জীবন বোধকে নাড়া দিয়েছে।

কবি জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফ্রেব্রæয়ারী বরিশালে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুল শিক্ষক ও সমাজ সেবক। তিনি “ব্রাহ্মবাদী” পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। মাতা কুসুম কুমারী ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি। জীবনানন্দ দাশের বাল্য শিক্ষার সুত্রপাত হয় মায়ের কাছেই। তারপর তিনি বরিশালের ব্রজমোহন স্কুলে ভর্তি হন। ১৯১৫ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন জীবনানন্দ দাশ। ১৯১৭ সালে ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই, এ প্রথম বিভাগে এবং ১৯১৯ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজীতে অনার্স সহ বি, এ পাশ করেন। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম, এ পাশ করেন। ১৯২২ সালে কলকাতা সিটি কলেজে ইংরেজী ভাষা সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। জীবনানন্দ দাস ১৯৩৫ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের কিছু আগে তিনি স্বপরিবারে কলকাতায় চলে যান।

জীবনানন্দের কাব্য চর্চার শুরু অল্প বয়স থেকেই। স্কুলে ছাত্রাব¯’ায় তাঁর প্রথম কবিতা “বর্ষ-আবাহন” ব্রাহ্মবাদী পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩২৬/এপ্রিল ১৯১৯ খ্রি:) প্রকাশিত হয়।

১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্র¯’ “ঝরাপালক”। ১৯৩০ সালের ৯ মে বিয়ে করেন রোহিনী কুমার গুপ্তের মেয়ে লাবন্য গুপ্তকে। বিবাহিত জীবন তার মোটেই সুখের ছিলনা। বিয়ের পর অনেকদিন কর্মহীন জীবন কেটেছে জীবনানন্দ দাশের। দুটি সন্তান ছিল তাঁর মেয়ে মঞ্জুশ্রী ও ছেলে সমরানন্দ। জীবনানন্দ দাশ বৈষয়িক জীবনে কখনো সফলতা পান নাই। বার বার ভাবতেন আতœহত্যার কথা। ভেবেছিলেন স্ত্রী, পুত্র, কন্যা নিয়ে সাগরের জলে ডুবে মরবেন। সারাটা জীবন তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ¯’ান মনে করতেনা আমাদের এই বাঙলাদেশ কে। জীবনানন্দ দাশ কবি হলেও অসংখ্য ছোটগল্প কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধ গ্রš’ রচনা করেছেন। জীবদ্দশায় তিনি এগুলি প্রকাশ করেন নাই। ঔপন্যাসিক ও গল্পকার হিসেবে জীবনানন্দের স্বতন্ত্র প্রতিভা ও নিভৃত সাধনার উম্মোচন ঘটে মৃত্যুর পরে প্রাপ্ত তাঁর অসংখ্য পান্ডুলিপিতে। জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল, সতেন্দ্রনাথ ও মোহিতলালের কাব্য ধারার প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।

তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ’ গুলি হচ্ছে ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬ খ্রি:), বনলতা সেন(১৯৪২ খ্রি:), মহাপৃথিবী (১৯৪৪ খ্রি:) সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮ খ্রি:) রূপসী বাংলা (১৯৫৭খ্রি:), বেলা অবেলা কাল বেলা, (১৯৬১ খ্রি:) এ ছাড়াও বহু অগ্রšি’ত কবিতা, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে মাল্যবনে (১৯৭৩ খ্রি:), সুতীর্থ (১৯৭৭খ্রি:) জলপাই হাটি (১৯৮৫ খ্রি:) জীবন প্রনালী (অপ্রকাশিত), রাসমতির উপাখ্যান (অপ্রকাশিত) ইত্যাদি। তাঁর রচিত গল্পের সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। কবিতার কথা (১৯৫৫ খ্রি:) নামে তাঁর একটি মননশীল ও নন্দন ভাবনা মূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ’ আছে। স¤প্রতি কলকাতা থেকে তার গদ্য রচনা ও অপ্রকাশিত কবিতার সংকলন রূপে ‘জীবনানন্দ সমগ্র’ (১৯৮৫ খ্রি:) নামে বারো খন্ড রচনাবলী প্রকাশিত হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি:) নিবিড় প্রকৃতি চেতনা তাঁর কবিতায় গভীর দ্যোতনা লাভ করেছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা- পুরাণের জগৎ তাঁর কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্র রূপময়। বিশেষতঃ “রূপসী বাংলা” কাব্যগ্রন্থে’ যে ভাবে আবহমান বাংলার চিত্ররূপ ও অনুসুক্ষè সৌন্দর্য্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে তিনি রূপসী বাংলার কবি হিসেবে খ্যাত হয়েছেন।

জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা কবিদের মধ্যে সর্বাগ্রগন্য। তাঁর কবিতার চিত্রময়তা, যার সঙ্গে আমরা অনায়াসে ঘনিষ্ঠ বোধ করি। এটি তাঁর জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারন। যে প্রকৃতির বর্ণনা জীবনানন্দ করেন, বাস্তবে তাকে আমার আর খুঁজে পাই না। পাইনা বলেই হয়তো হারানো সেই সৌন্দয্যকে আমরা নিজের ভেবে আর ও প্রবল ভাবে আকড়ে ধরি। অনেক সময় তাঁর উ”চারিত শব্দ চিত্র আমাদের ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েগেছে। সম্রাট বিম্বিসার কে, বির্দভ নগর কোথায়, তা’না জেনেই মনে মনে নিজের মতো এক চিত্র ও ধ্বনির জগৎ আমরা গড়ে নেই। আগাগোড়া তাঁর কবিতার সুর বিষন্ন, সবচেয়ে উজ্জ্বল যে রং তাও ধূসর, অথচ তা’ সত্তে¡ও জীবনানন্দ দাশের কবিতায় আমারা ব্যক্তিগত প্রনোদনার উৎস খুঁজে পাই। তবে প্রকৃতির পাশাপাশি জীবনানন্দের শিল্প জগতে মূর্ত হয়েছে, বিপন্ন মানবতার ছবি এবং আধুনিক নগর জীবনের অবক্ষয়, হতাশা, নিঃসংঙ্গতা ও সংশয়, রোধে জীবনানন্দ ছিলেন একজন সমাজ সচেতন কবি। তিনি ইতিহাস চেতনা দিয়ে অতীত ও বর্তমান কে অচ্ছেদ্য সস্পর্ক সুত্রে বেঁধেছেন। তার কবি স্বভাব ছিল অর্ন্তমূখী, দৃষ্টিতে ছিল চেতনা থেকে নিশ্চেতনা ও পরচেতনার শব্দ রূপ আবিস্কারের লক্ষ্য। এ সুত্রে তিনি ব্যবহার করেছেন ই¤েপ্রশনিস্টিক রীতি, পরাবাস্তবতা, ইন্দ্রিয় বিপর্যাস ও রঙের অত্যাশ্চর্য টেকনিক। জীবনানন্দ বাংলা কাব্য সাহিত্যের যে অজ্ঞাত পূর্ব ধারা আবিষ্কার করেছিলেন তা’ জীবনানন্দের সমকালীন সময়ে খুব কম কাব্য রসিক কিংবা নন্দন তাত্তি¡করা বুঝতে পেরেছিলেন।

জীবনানন্দের গল্প-উপন্যাসে অভিব্যক্ত হয়েছে দাম্পত্য জীবনের সষ্কট, নরনারীর মনস্তত্ত¡ ও যৌন সম্পর্কের জটিলতা এবং সমকালের আর্থ সামাজিক কাঠামোর বিপর্যয়। তাঁর প্রায় গল্প উপন্যাস আতœ জৈবনিকতার প্রকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে জীবনানন্দের কবিতার ভুমিকা ঐতিহাসিক। ষাটের দশকে বাঙালির জাতি সত্তা বিকাশের আন্দোলনে এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগ্রামী চেতনায় বাঙালি জনতাকে তাঁর “রূপসী বাংলা” তীব্রভাবে অনুপ্রাণিত করে। জীবনানন্দ ছিলেন আধুনিক যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর বিখ্যাত কাব্য গ্রš’ “বনলতা সেন” নিখিল বঙ্গ রবীন্দ্র সাহিত্য সম্মেলনে ১৯৫৩ সালে পুরস্কৃত হয়। জীবনানন্দের “শ্রেষ্ঠ কবিতা” গ্রš’টি ১৯৫৪ সালে ভারত সরকারের সাহিত্য আকাডেমী পুরস্কার লাভ করে। ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় এক ট্রাম দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে জীবনানন্দ দাশ অকালে মৃত্যুবরণ করেন।

জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে আমাদের আগ্রহ ও বিস্ময় প্রায় অন্তহীন। তাঁর ব্যবহৃত শব্দের ভেতর থেকে ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য এবং ইন্দ্রিয়াতীত সমস্ত অনুভ‚তির সন্ধান পাওয়া সম্ভব। সেই সব শব্দ থেকে বিচ্ছুরিত হয় একই সাথে আলো আর অন্ধকার।

বিশ শতকের অন্য কোনো বাঙালি কবি আমাদের কল্পনায় এমন প্রবল ভাবে দাগ কাটে নি। আজও তাঁর কবিতার অলঙ্কার শব্দ ব্যবহার এবং অধূনা আবিস্কৃত গদ্যের ভাষা আমাদের ক্রমেই বিস্মিত করে চলেছে। জীবনানন্দের মৃত্যুর ৬৪ বছর পরও তিনি সমকালীন বাংলা কাব্য সাহিত্যের প্রধান কবি হিসেবে আজও অধিষ্টিত।


বিভাগ : সাহিত্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ফায়ার সার্ভিস ও আবহাওয়া অধিদপ্তরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ স্থায়ী কমিটির

ফায়ার সার্ভিস ও আবহাওয়া অধিদপ্তরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ স্থায়ী কমিটির

বিএনপি তাদের শাসনামলে পাকিস্তানের দালাল হয়ে জনগণকে শোষন ও অত্যাচার করত-আইনমন্ত্রী

বিএনপি তাদের শাসনামলে পাকিস্তানের দালাল হয়ে জনগণকে শোষন ও অত্যাচার করত-আইনমন্ত্রী

সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

আখাউড়ায় শঙ্কায় থাকা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর আকুতি

আখাউড়ায় শঙ্কায় থাকা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর আকুতি

বসুন্ধরায় নান্দনিক বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে জেসিএক্স

বসুন্ধরায় নান্দনিক বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে জেসিএক্স

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় ফিল ফোডেন

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় ফিল ফোডেন

স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করছে সরকার : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করছে সরকার : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

যে কোন মূল্যে জীবন দিয়ে দেশ বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : নাছিম

যে কোন মূল্যে জীবন দিয়ে দেশ বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : নাছিম

দালালীকে পেশা হিসাবে নেওয়া প্রসঙ্গে।

দালালীকে পেশা হিসাবে নেওয়া প্রসঙ্গে।

ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক বেলায়েত হোসেনের দাফন সম্পন্ন

ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক বেলায়েত হোসেনের দাফন সম্পন্ন

সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা

যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা

ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার

ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার

বিএনপি ভোট বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপি ভোট বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : শামসুজ্জামান দুদু

বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন সমঝোতা

স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন সমঝোতা

প্রোটিন উদ্ভাবনে নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিচ্ছে ইউএসএসইসি-এর পিচ-টু-ফর্ক

প্রোটিন উদ্ভাবনে নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিচ্ছে ইউএসএসইসি-এর পিচ-টু-ফর্ক

ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

বর্তমান সরকার নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন টেকসই নগরায়নে বদ্ধপরিকর : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

বর্তমান সরকার নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন টেকসই নগরায়নে বদ্ধপরিকর : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

পরিবেশ নৈতিকতা চর্চা না হলে পরিবেশের  মূল্যবান উপাদানগুলো হারিয়ে যাবে সেমিনারে বক্তারা

পরিবেশ নৈতিকতা চর্চা না হলে পরিবেশের মূল্যবান উপাদানগুলো হারিয়ে যাবে সেমিনারে বক্তারা