পাহাড়ি ফুল

Daily Inqilab অরূপ পালিত

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৮ এএম | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৮ এএম

দীপু বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছেন কয়েকদিন হলো। আজকাল শরীরটা তেমন ভালো যাচ্ছে না। মনে হয় ওপর থেকে হাতছানি দিয়ে ডাকছেন তিনি। অফিসে প্রচুর ঝামেলা। প্রতিদিন বন্দর হতে পণ্য খালাস দিতে গিয়ে রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে যায়। সময়ের অভাবে বাসায় ফেরা হয় না প্রতিদিন। পিছুটান নেই বলেই বাসাতে আর ফিরতে মনও চাই না দীপুর।

দিপুর বাসাটি অফিস থেকে অনেক দূরে বদ্দারহাট এলাকায়। সকালে বাসায় গিয়ে অফিসে আসতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। তখনি মনে-মনে চিন্তা করেন ভোরবেলায় বাসায় যাবার সময়ে রাস্তাঘাটে অনেক বিপদ হতে পারে। তার চেয়ে বাসায় না গিয়ে ফকিরহাটের ওরিয়েন্টাল রেষ্টুরেন্টে বসে একটি নান-রুটি দিয়ে চা-তে চুবিয়ে চুবিয়ে খেতে খেতে সকাল হয়ে যাবে। সকাল-সকাল চা দিয়ে নান-রুটিতে চুবিয়ে খাবার মজাটাই আলাদা। চা খেতে-খেতে একটা সিগারেটে সুখ-টান দিতেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মনে মনে চিন্তা করেন দীপু সকাল-সকাল কেউ আসার আগে অফিসে গিয়ে গোসলটা সেরে একটু বিশ্রাম নিলে শরীর-মন দুটোই ফ্রেশ হয়ে যাবে।

দীপু এই চাকরিতে আসার আগে নগরীর এক গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সারা মাস পরিশ্রম করে মালিক মাস শেষ হলে টাকা দেয় কিস্তি কিস্তি করে। সেই টাকাতে সংসার চালাতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায় সবসময়। বেঁচে খাকার তাগিদে চাকরিটা ছেড়েই দেন। এরপর বন্ধুর সাথে পণ্য খালাসের চাকরি নেন বন্দরে।

দীপু প্রায় রাতদিন শুধু কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে ভালবাসেন। এক সময় তারুণ্যে উচ্ছাস ছির তার মনে। কালের বিবর্তনে মনোবল আর ভালোবাসা সব হারিয়ে গেছে সেই কবে। কয়েক বছর হয়েছে জীবনের সবচাইতে মূল্যবান উপহারটি হারিয়ে ফেলেছেন। ভেঙ্গে গেছে মন। তাই এখন আর কোন কিছুতে তাড়াহুড়ো নেই। লেখাপড়া অবস্থায় দীপু সবার আদরের ছিল বলে ঘুম থেকে ওঠতে অনেক বেলা হয়ে যেত। মায়ের বকুনি ছিল রোজ, আর বড়ভাইয়ের স্ত্রীর ছিলো আদর ও সোহাগ। বড় ভাবীর জন্য দীপুকে বাসায় কেউ কিছু বলতে পারতো না। কেউ বকা দিলে উল্টো ওদের সাথে লেগে যেত। কারন বড় ভাবীর কোন ভাই নেই। উনারা পাঁচবোন। উনার ভাই না থাকায় বেশি আদর পেত দিপু। দিপুও উনাকে সেই সন্মান দিয়ে চলেন। কোন সময় ভাবীকে ভাবী বলে সম্বোধন করে নাই। সব সময় বড়বোন মনে করে দিভাই বলে ডাকতেন। এদের সম্পর্কটি দেখলে আত্মীয়স্বজনের চোখ ছানাবরা হয়ে যেত। সবাই মনে করতো এরা মা-ছেলে।

রাঙামাটি তবলছড়ি বাজারে দিপুর বাবার বেশ নামডাক আছে। সেখানে ওর বাবার হোটেল এবং বোর্ডিংয়ের ব্যবসা। আর বড়ভাই সরকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা।

দীপুদের বোর্ডিংয়ের এর ম্যানেজার ছিলেন শিউলির বাবা কনক চাকমা। কনক বাবুকে বাজারের সবাই শিউলির বাবা বলে সম্বোধন করেন। হঠাৎ করে শিউলির বাবা বোর্ডিংয়ে আসা বন্ধ করে দেন। দিপুর বাবা চিন্তায় পড়ে যান। কনকবাবু ছিলেন দীপুদের খুব বিশ্বস্ত লোক। অনেক দিন থেকে উনাদের ব্যবসা গুলো কনকবাবু একাই সামাল দিচ্ছেন। তিন-চার দিন দেখার পর দীপুর বাবা দীপুকে পাঠায় কনকবাবুর খোঁজ খবর নিতে। দুর্গম আঁকা-বাঁকা পথে প্রায় দুইঘন্টা হেঁটে পাহাড়ের উঁচুনিচু পথ বেয়ে শিউলিদের বাড়িতে পৌঁছেন দীপু।

শিউলির বাবা মাচার উপরে বসে মুখ কালো করে আকাশের পানে চেয়ে আছেন। ওনাকে দেখে মনে হলো পৃথিবীতে ওনার কেউ নেই। দীপুকে দেখে দৌড়ে নেমে আসেন কনকবাবু, কোথায় বসতে দেবে ছোট বাবাকে, অস্থির হয়ে ওঠেন কনকবাবু।

ছোটবাবা, আপনি এখানে কী করে আসলেন ?
আঙ্কেল আপনি বোর্র্ডিংয়ে এ যাচ্ছেন না কেন? তাই বাবা আমাকে পাঠালেন আপনাকে নিয়ে যেতে।
আপনার কী শরীর খারাপ?

দিপুর কথায় কনকবাবুর ক’ফোটা চোখের জল আচমকা গড়িয়ে পড়লো। বাবারে শিউলির মা আজ চারদিন হলো মারা গেছে। ঘরে এখন আমার উপযুক্ত মেয়ে। তাকে একা রেখে আমি জাজে যাই কী করে। মনে হয় না ছোটবাবা, আর যেতে পারবো। তোমার বাবাকে বলো উনি যেন আমাকে মাপ করে দেন। কনকবাবুর কথায় দীপুর মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। কনকবাবু শিউলিকে ডেকে বললেন। মা আমার ছোটবাবা আসছেন, একটু চা-টা দে-রে মা। শিউলি ভেতর থেকে চা নিয়ে এসে দীপুর সামনে দাঁড়ায়। সাদাসিদে লাবণ্যময় চেহারা। মায়াবী চোখ যেন দেবী অষ্পরী ইকোকে হার মানায়।

শিউলিকে দেখে দীপুর চোখ আটকে যায়, চোখ ফেরাতে পারছে না। অপরূপা বললে ভুল হবে শিউলিকে। পাহাড়ি মেয়ে নাকি বনপরি। মনে হয় সদ্য কলি ফুটে বেরিয়েছে ফুল। যেন কোন রূপকথার রাজকন্যা। দীপু মনে মনে বলে, বিধাতা আমার জন্ম যেন সার্থক হয়ে গেছে এমন পাহাড়ি ফুল দেখে। শিউলিকে দেখার পর চা-টা আর মুখে তুলতে পারছে না দীপু। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন শিউলির মুখের দিকে। জীবনে কতো পাহাড়ী মেয়ে দেখেছেন, এমন সুন্দর মেয়েতো কখনো দেখিনি।

দীপু শিউলির বাবাকে বলেন, আঙ্কেল, আপনি অজপাড়া গ্রামের মধ্যে মেয়েকে নিয়ে একা কী করে থাকবেন। তার চেয়ে ওকে নিয়ে শহরে চলেন। এখানে থেকে মেয়ের নিরাপত্তা দেবেন কী করে, আপনাকে তো চাকরি করে খেতে হবে, তাই না। ছোটবাবা আমি একটু চিন্তা করে দেখি। আপনাদের অফিসে আমি যে বেতন পাই, সেগুলো দিয়ে শহরে দু’জন মানুষ চলতে পারবো কি না। একটু ভেবে দেখতে হবে। ঠিক আছে বলে দীপু মাথা নাড়েন। কিন্তু শিউলিকে ফেলে আসতে দীপুর মন কিছুতেই চায় না। ইচ্ছে করছে মেয়েটাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসতে।
দীপু যতক্ষণ ছিল ততক্ষণ শিউলিকে প্রাণ ভরে দেখেছে। আসার সময় বারে বারে শিউলির দিকে তাকাচ্ছে দিপু। ইচ্ছে করছে শিউলির হাতটি একবার ছুঁয়ে দেখতে, আসলে সে ঠিক দেখছে কি না।

শিউলি গতবছর এইচএসসি পাস করেছে। অসুস্থ হয়ে মা বিছানায় পড়ে যাওয়ায় বিএ ক্লাসে ভর্তি হতে পারেনি। আর এখন প্রতিবেশী ছেলেদের জন্য বাড়িতে একা থাকাটা খুব রিস্কি হয়ে গেছে মেয়েটার জন্য।

শিউলির বাবার কথাগুলো দীপুর বুকের মধ্যে তিরের মতো বিঁধে গেছে। চলে আসার সময় দীপু শিউলির বাবাকে বলে আসে, যে কয়েকদিন আমার বাবা-মা এখানে আসছেন না, আপনাকে চাকরিতে আপাতত যেতে হবে না। আমি কি করতে পারি আপনাকে এসে জানাবো।

বাসায় এসে দীপু ভাবীকে সব বুঝিয়ে বলেন, বাবার থেকে অনুমতি নিয়ে দীপু দুদিন পর ভাবীসহ উপস্থিত হন শিউলিদের বাড়িতে।

ভাবিও বুঝতে পারলেন, এমন সুন্দরী মেয়েকে দেখে দীপুর মনে কি যেন চলছে। দীপুর কথা রাখতে ভাবী নিজ দায়িত্বে তবলছড়ি বাজারে ছোট একটি বাসা ঠিক করে দেন শিউলির বাবাকে।

শিউলিদের বাসাটা দীপুর বাসার কাছে হওয়াতে দীপুর জন্য বিষয়টা যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো। কয়েকদিন হতে দীপুর ভাবী খেয়াল করলেন দিপুর যেন সবকিছুতে পরিবর্তন এসে গেছে। সে এখন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ে। প্রায় সময় কিছু না খেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কলেজ না থাকা অবস্থায়ও দেরি করে বাসায় ফিরছে। ভাবীর মনে সন্দেহ জাগে।

দীপুকে রাতের বেলায় ভাবী দিলারা ডেকে বলে, দীপু তুই তো জানিস। তোকে আর তোর ভাতিজাকে আমি কোনো সময় আলাদা করে দেখেনি। তোরা দুজন আমার সন্তান। আমি চাই না আমার সন্তান বিপথে চালিত হোক। ইদানিং তোর চলাফেরা আমার ভালো ঠেকছে না। আমিও একজন মা। আমার চোখ এড়াতে তোর কষ্ট হবে। তোর ভাই যদি তোর এইসব কিছু জানতে পারে, তাহলে তোকে কিছু বলার আগে আমাকে শেষ করে দেবে। দেখ শিউলিকে আমি আমার জান-প্রাণ দিয়ে আগলিয়ে রাখবো। তুই অন্তত মাস্টার্স কমপ্লিট করে নে। তুই আমাদের সবার আদরের ছোটভাই। তোর দাদাভাইয়ের স্বপ্ন তোকে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠাবেন। লেখাপড়া শেষ করে একটা পজিশনে দাঁড়ালে বাবা-মাকে আমি বুঝালে বুঝবেন। তোদের এই বয়সটা ভুল করার বয়স। পা সাবধানে ফেলতে হবে। তোর দাদাভাইয়ের সাথে আমি কথা বলে রাখবো। সে যে ধর্মের হোক না কেন, আমি মেয়েটিকে তোর জন্য নিয়ে আসবো। আর মেয়েটিকে আমাদের ঘরের জন্য উপযুক্ত করে তোলার জন্য যা যা দরকার আমি করবো। তোকে আমি কথা দিলাম। তুই আমাকে কথা দে তুই উল্টোপাল্টা কিছু কররার চিন্তা করবি না। (অসমাপ্ত)


বিভাগ : সাহিত্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

পাঠাগার ছেড়ে মাঠে বই পড়ে পুরষ্কার পেলেন ১২ শিক্ষার্থী

পাঠাগার ছেড়ে মাঠে বই পড়ে পুরষ্কার পেলেন ১২ শিক্ষার্থী

সিলেটে প্রতিদিন উৎপাদন ৪ লাখ, ঘাটতি রয়েছে ২৫ লাখ ডিমের

সিলেটে প্রতিদিন উৎপাদন ৪ লাখ, ঘাটতি রয়েছে ২৫ লাখ ডিমের

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রহস্যজনক লুকোচুরি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রহস্যজনক লুকোচুরি

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিশাল শোভাযাত্রা করলো সিলেট স্বেচ্ছাসেবক লীগ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিশাল শোভাযাত্রা করলো সিলেট স্বেচ্ছাসেবক লীগ

নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব দায়িত্ব নিচ্ছেন

নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব দায়িত্ব নিচ্ছেন

জাবিতে নিয়োগ বোর্ড ঘিরে ছাত্রলীগের 'শোডাউন', চাপে ভিসি!

জাবিতে নিয়োগ বোর্ড ঘিরে ছাত্রলীগের 'শোডাউন', চাপে ভিসি!

আশুলিয়ায় ২৪ ঘন্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার

আশুলিয়ায় ২৪ ঘন্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার

ফায়ার সার্ভিস ও আবহাওয়া অধিদপ্তরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ স্থায়ী কমিটির

ফায়ার সার্ভিস ও আবহাওয়া অধিদপ্তরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ স্থায়ী কমিটির

বিএনপি তাদের শাসনামলে পাকিস্তানের দালাল হয়ে জনগণকে শোষন ও অত্যাচার করত-আইনমন্ত্রী

বিএনপি তাদের শাসনামলে পাকিস্তানের দালাল হয়ে জনগণকে শোষন ও অত্যাচার করত-আইনমন্ত্রী

সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

আখাউড়ায় শঙ্কায় থাকা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর আকুতি

আখাউড়ায় শঙ্কায় থাকা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর আকুতি

বসুন্ধরায় নান্দনিক বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে জেসিএক্স

বসুন্ধরায় নান্দনিক বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে জেসিএক্স

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় ফিল ফোডেন

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় ফিল ফোডেন

স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করছে সরকার : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করছে সরকার : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

যে কোন মূল্যে জীবন দিয়ে দেশ বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : নাছিম

যে কোন মূল্যে জীবন দিয়ে দেশ বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : নাছিম

দালালীকে পেশা হিসাবে নেওয়া প্রসঙ্গে।

দালালীকে পেশা হিসাবে নেওয়া প্রসঙ্গে।

ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক বেলায়েত হোসেনের দাফন সম্পন্ন

ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক বেলায়েত হোসেনের দাফন সম্পন্ন

সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা

যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা

ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার

ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার