কবি বন্দে আলী মিয়া'র ১১৭তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর কবি বন্দে আলী মিয়া' ১১৭তম জন্মবার্ষিকী। বন্দে আলী মিয়া তৎকালীন বৃটিশ ভারতের পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মুন্সী উমেদ আলী ছিলেন পাবনা জজকোর্টের একজন নিম্ন পদের কর্মচারী।
বন্দে আলী মিয়া ছিলেন একাধারে একজন স্বনামধন্য বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর। তিনি পাবনার রাধানগর মজুমদার একাডেমী থেকে ১৯২৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে। পরে কলকাতা আর্ট একাডেমীতে ভর্তি হন। সেখানে তিনি ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯২৫ সালে ইসলাম দর্শন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁর কলকাতা যাপনের কালে বন্দে আলী মিয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের সান্নিধ্য লাভ করেন।
পরবর্তীকালে দেশ-বিভাগের পর তিনি ঢাকা ও রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে চাকরি করেন। তিনি বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানীতেও কাজ করেন। তাঁর রচিত পালাগান ও নাটিকা রের্কড আকারে কলকাতার বাজারে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৬৪ সালের পর প্রথমে ঢাকা বেতারে ও পরে রাজশাহী বেতারে চাকরি করেন। বেতারে ছোটদের জন্য "সবুজ মেলা" নামে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন তিনি। এছাড়াও বেতারে "ছেলে ঘুমাল" নামে একটা শিশুতোষ অনুষ্ঠানে নিয়মিত গল্প লিখতেন।
তিনি তাঁর কবিতায় পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনায় নৈপুণ্যের পরিচয় প্রদান করেছেন। প্রকৃতির রূপ বর্ণনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ আজও অমর হয়ে আছে। বার্ধক্যজনিত কারণে ১৯৭৯ সালের ২৭শে জুন রাজশাহীতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শিশু সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), রাজশাহীর উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক (১৯৭৮) লাভ করেন। এছাড়াও পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার (১৯৬৭) এবং বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদক (১৯৮৮) ভূষিত করেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় ২০০ টি। তার গ্রন্থাবলীর মধ্যে রয়েছে কাব্যগ্রন্থ: ময়নামতির চর (১৯৩২), অনুরাগ (১৯৩২),পদ্মানদীর চর (১৯৫৩), মধুমতীর চর (১৯৫৩), ধরিত্রী (১৯৭৫)। গল্পগ্রন্থ: তাসের ঘর (১৯৫৪)।
উপন্যাস: বসন্ত জাগ্রত দ্বারে (১৯৩১), শেষ লগ্ন (১৯৪১), অরণ্য গোধূলি (১৯৪৯), নীড়ভ্রষ্ট (১৯৫৮) প্রভৃতি। নাটক: মসনদ (১৯৩১)। শিশু সাহিত্য: চোর জামাই (১৯২৭), মেঘকুমারী (১৯৩২), বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা (১৯৩২), মৃগপরী (১৯৩৭), বোকা জামাই (১৯৩৭), কামাল আতার্তুক (১৯৪০), ডাইনী বউ (১৯৫৯), রূপকথা (১৯৬০), কুঁচবরণ কন্যা (১৯৬০), ছোটদের নজরুল (১৯৬০), শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা (১৯৬৩), সাত রাজ্যের গল্প (১৯৭৭), হাদিসের গল্প প্রভৃতি।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান