সরকার জনগণকে ভয় দেখিয়ে ঘরে রাখতে চায়: শামসুজ্জামান দুদু
০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৯ পিএম
সরকার দেশের জনগণকে ভয় দেখিয়ে ঘরে রাখতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, এই সরকার দেশে ভয়েস সাংস্কৃতি তৈরি করতে চাচ্ছে। এজন্য তারা জনগণকে ভয় দেখিয়ে ঘরে রাখতে চায়, আর সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে তাদের লেখার, বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাচ্ছে। আসলে কর্তৃতবাদী, স্বৈরাচারী সরকারের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক কোন কিছু পাব এটা আশা করা যায় না। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই দেশ যে জন্য স্বাধীন করা হয়েছিল তার সবকিছু আজ পদদলিত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন একটি দলের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশাসন যেন একটি দলের প্রশাসন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সারা জীবন গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করে এসেছে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি স্বৈরতন্ত্রের পক্ষ নিয়েছে। আমাদের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তাদের সংগঠন এই সৌরতন্ত্র সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে,বিবৃতি দিচ্ছে।
অন্ধকার যুগ মনে হয় আবার ফিরে এসেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ বছর দেশে একটি শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু মতিউর রহমানের উপর প্রথম আক্রমণ আসেনি। মাহমুদুর রহমানের উপর আক্রমণ, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক শফিক রেহমানের উপর আক্রমণ এসেছে। তিনি এমন আক্রমণের শিকার হয়েছেন যে এই বৃদ্ধ বয়সে দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম দেখলে সেই বাকশালের কথা মনে পড়ে যায়। যখন চারটি পত্রিকা রেখে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এক নেতার এক দেশ করা হয়েছিল। সে ছাড়া আর কেউ নেতা হতে পারবে না। আর কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না দেশে কোন সংবাদ মাধ্যম থাকবে না। সেই অন্ধকার যুগ যেন আবার ফিরে এসেছে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে ডিজিটাল আইন বাতিল করুন। আর আমাদের গণধিকৃত সরকার ও আইন মন্ত্রী বলেছে এটা বাতিল করার প্রয়োজন নেই । মানুষ খেতে পারছে না, কাজ নেই, চাকরি নেই। আর এই কথা মানুষ বলতে পারবে না। আর বললেও সাংবাদিকরা লিখতে পারবে না। কি ভয়ংকর ব্যাপার। তিনি সকল সম্পাদক ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা সকল মামলা বাতিলের দাবি জানান।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ভালোই ভালো দাবিগুলো মেনে নেন। দাবি মেনে না নিলে যখন আন্দোলন শুরু হবে বাতিল আপনাদের করা লাগবে না, আপনারা পুরোটাই বাতিল হয়ে যাবেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই কর্তৃতবাদী সরকারকে যদি হঠাৎ হতে না পারি তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।
সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সহ-সভাপতি বাছির জামাল, রাশেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ###
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পাবনা-৩ এলাকায় অ্যাডভোকেট রবিউলের গণসংযোগ ও কম্বল বিতরণ
পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়
জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলায় ৯ বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া
স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭
রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ
ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা
উপদেষ্টা হাসান আরিফকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন
ডলার বাজারে অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৯ টাকা
উত্তরার বিপ্লবী জনতাকে যে কঠিন মূল্য দিতে হয়েছিল
পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষকর্মী নিতে আগ্রহী লিবিয়া
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের
দক্ষিণ কোরিয়ার সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে বিপদের ফাঁদে পর্যটকরা
ঢাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ
হিরো নয় কারিনার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি