মানুষের কণ্ঠরোধ করতে সরকার একের পর এক কালাকানুন করছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য দেশে প্রচার হলে দেশের জনগণ আরও উদ্বুদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবে। এই সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আমাদের এই চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যিনি নেতা তার বক্তব্য যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য আইন করেছে। প্রযুক্তির এই উৎকর্ষতার যুগে কারো কণ্ঠ রোধ করা যায় না। হয়তো কন্ঠরোধ করার জন্য অনেক কালাকানুন তৈরি করেছে শেখ হাসিনা তবুও কণ্ঠ রোধ করতে পারবে না।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদেরকে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নবগঠিত কমিটি উপলক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন সময় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর আলম সনি, কাজী কামাল উদ্দিন আহমেদ বাঁধন মিঞা, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মোঃ শাহ আলম ও সদস্য সচিব কে এম সোহেল রানা, উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন ও সদস্য সচিব মোঃ বাকী বিল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে কাদের সোহেল, তানভির আহমেদ দুলাল, মোঃ রনি আক্তার, হাজী আনোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ, আজাদ হোসেন, হাজী আবু বক্কর সিদ্দিক, মহানগর দক্ষিণের ইয়াসিন মোল্লা, মনজুর রহমান ভূঁইয়া, হুমায়ুন কবির কাজল, জিয়াউল আহসান জুয়েল, জাহিদুল হক বিপ্লব, মহানগর উত্তরের তৌহিদুল ইসলাম মজুমদার শাহীন, এম সায়েম উদ্দিন সিয়াম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিরোধীদলকে দমন করার জন্য তাদের কণ্ঠরোধ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে সরকার। বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে একটি ভয়ংকর অগণতান্ত্রিক নির্বাচন করার জন্য। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দিনের ভোট রাতে করেছে। এই যে বেগম খালেদা জিয়া বন্দী, তারেক রহমানের কন্ঠরোধ করা এটা অগণতান্ত্রিক সরকার তাদের ভয় থেকে করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন আদালত থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার প্রকাশ করা নিষেধ করা হয়েছে তারপরেও তার বক্তব্য মানুষ যাতে শুনতে না পায় তার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। এটা গণবিচ্ছিন্ন সরকারের একজন মন্ত্রীর বক্তব্য। তারেক রহমানের বক্তব্য দেশে প্রচার হলে দেশের জনগণ আরো উদ্বুদ্ধ হয়ে এই সরকারকে পতন করবে এই ভয়ে ওবায়দুল কাদেররা এই ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, আজকের এই দিনে আপনাদের হুমকিতে তারেক রহমানের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে পারবেন না। জনগণের প্রতি তার যে দায়িত্ব, কর্তব্য জাতীয় নেতা হিসেবে তার যে অঙ্গীকার সেই অঙ্গীকারের কথা এদেশের জনগণ দলের নেতাকর্মীরা কোনো না কোনভাবে শুনবে। আপনাদের হুংকারে হুমকিতে সেটা কোনোভাবেই বন্ধ হবে না।
সরকারের বিরুদ্ধে গুম-খুনের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমাদের কত লোককেই তো গুম করা হয়েছে। ইলিয়াস আলী সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন তাকে গুম করা হয়েছে। গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর। তিনি বলেছেন আমি খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি আমাকে গুম করা হতে পারে। আওয়ামী লীগের একজন মেয়র সেও জানে সে যদি স্বাধীনভাবে কোনো কিছু করতে যায় তাহলে তার গুম হওয়া লাগতে পারে। সুতরাং আওয়ামী লীগ যে গুম করে এটা তার নেতারাই বলে দিচ্ছে।দলের বিরুদ্ধে কোন কাজ করলে তাকে শোকজ করা হয় বহিষ্কার করা হয় কিন্তু এখন তারা জানে গণতান্ত্রিকভাবে স্বাধীনভাবে কোন কথা বললে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে গুম করা হয়েছে আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হবে।
মৎস্যজীবী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, মৎস্যজীবী দল সব সময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে ছিল সামনের আন্দোলনগুলোতে আরো উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।