সউদীতে কোনও নিয়োগকর্তা কর্মী থেকে অর্থ নেয় না : সউদী রাষ্ট্রদূত
২৬ মে ২০২৩, ০৮:৪২ এএম | আপডেট: ২৬ মে ২০২৩, ০৮:৪২ এএম
বাংলাদেশে নিযুক্ত সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান বলেছেন, ভিসা কেনাবেচা বলে তেমন কিছুই নেই। সউদী কোম্পানি কিংবা নিয়োগকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ফি বহন করেন। সুতরাং কোনও কর্মীর কাছ থেকে কোনও প্রকার ফি নেওয়া হয় না। সউদী আরবে এখন ‘ফ্রি ভিসা’ বলে কিছু নেই। প্রত্যেকটি কর্মী নির্দিষ্ট পেশায় সউদী আরব যাচ্ছে। তবে সেখানে যাওয়ার পর কাজ না করা এবং নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সউদী রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা দিনে ৫ হাজারের বেশি ভিসা ইস্যু করি। আমাদের এখানে বাংলাদেশি ভাইদের সুবিধার্থে অনেক কঠোর পরিশ্রম করছি। এখানে ভিসা কেনাবেচা নিয়ে আলাপ হচ্ছে। আসলে ভিসা কেনাবেচা বলে তেমন কিছুই নেই। সউদী কোম্পানি কিংবা নিয়োগকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ফি বহন করেন। সুতরাং কোনও কর্মীর কাছ থেকে কোনও প্রকার ফি নেওয়া হয় না। ২ হাজার রিয়ালের মধ্যে বিমান টিকেট, মেডিকেলসহ পুলিশ রিপোর্ট, বায়োমেট্রিকের সমস্ত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ সমস্ত খরচ নিয়োগকর্তা বহন করেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা আর সমস্যা হচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালাল। তারা কর্মীদের ভুল বোঝাচ্ছে। দালালরা কর্মীদের বলছে- আমাদেরকে টাকা দাও ভিসার জন্য। সউদী আরবের কোনও নিয়োগকর্তা কর্মী থেকে অর্থ নেয় না। প্রতিটি কর্মী ফ্রিতে যাবে। আসলে আমাদের কর্মীদের সচেতন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সউদী আরবের উন্নয়নের বাংলাদেশি কর্মীরা অবদান রাখছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রম নতুন কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স এবং সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলছে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এখানকার দালাল এবং রিক্রুটিং এজেন্সি সেখানে উচ্চ বেতনের আশা দেখিয়ে লোক পাঠায়, কিন্তু তারা গিয়ে দেখছে ভিন্ন চিত্র। যার ফলে তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে অনীহা দেখায় এবং পালিয়ে যায়। এরপর তারা বলছে সেখানে কাজ নেই। কাজ আছে কিন্তু তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে না। প্রতি দুই বছর পর চুক্তি নবায়ন হয় এবং সেই ফি নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হয়। প্রত্যেক কর্মীর চুক্তি দুই বছরের জন্য হয়ে থাকে, সেটা নবায়ন করা কর্মীর দায়িত্ব। এখন নিয়োগকর্তার থেকে কর্মীর অধিকার বেশি সউদী আরবে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আরও বাড়ানো সম্ভব যদি সউদী আরবের স্বাস্থ্য খাতে কর্মী পাঠানো যায়। সউদীর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য কর্মীর চাহিদা আছে। যদি বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, নার্স সে দেশে যেতে চায় আমরা অবশ্যই তাদের স্বাগত জানাবো।
এ সময় তিনি সউদী আরবে চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোরও আহ্বান জানান।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ওড়িশায় ‘বাংলাদেশি’ বলে ২০ মুসলমান শ্রমিককে মারধর!
মেঘালয়ে সিএএ বিরোধী মিছিলের গণপিটুনিতে মৃত ২
বাগেরহাটে পানগুছি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
যেভাবে ইসলামিক স্টেট তাজিকদের দলে ভেড়াচ্ছে
স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা, জড়িত তারই দুই সহপাঠীসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ও বরিশালের মসজিদে তৃতীয় জুমাতেও মুসুল্লীদের ঢল
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশী যুবক নিহত
লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
মেট্রোর ওপরে টানা ইন্টারনেট ও ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে গবাদি পশু পুড়ে ছাই
ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কাপ্তাইয়ে বিউবো এলাকায় বন্যহাতির তান্ডবে লণ্ডভণ্ড আনসার ব্রাক ও অফিসার কোয়াটার
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের চার ওয়ার্ডের আংশিক কমিটি ঘোষণা
রাজবাড়ীতে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়লো দূস্থদের অ্যাম্বুলেন্স
মানুষ প্রশিক্ষিত না হলে এআই-এর অপব্যবহার বাড়বে: মোদি
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেখা মিললো ৮০ কেজি ওজনের এক জোড়া কচ্ছপ
হাইওয়ে থেকে ৩০০ ফুট নিচে পড়ল গাড়ি, কাশ্মিরে নিহত ১০
চোর-ডাকাতদেরকেই বিএনপি নিজেদের কর্মী মনে করে: হাছান মাহমুদ