রেমিট্যান্সের জোয়ারে পাচার হওয়া অর্থ ফিরছে কি-না, সিপিডির সন্দেহ
২৭ মে ২০২৩, ০১:৫৬ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ০১:৫৬ পিএম
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সউদি আরব থেকে এতদিন বেশি রেমিট্যান্স আসত। তবে এবার আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। চলতি বছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩.০৫ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২.৮৭ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই- এপ্রিল) সউদি আরব থেকে ৩.৮৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসলেও চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স কমে আসে ৩.০৪ বিলিয়ন ডলার। হঠাৎ আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়াকে সন্দেহের চোখে দেখছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
শনিবার (২৭ মে) ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২২-২৩ : তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক সভায় রেমিট্যান্সের এ চিত্র তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, এটা একেবারেই অস্বাভাবিক, কখনোই হয় না। কারণ আমরা জানি আমাদের বেশিরভাগ রেমিট্যান্স কোথা থেকে আসে। গত ১০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৯.২২ লাখ মানুষ গেছে। সেখান থেকে প্রত্যাশা মতো রেমিট্যান্স আসছে না। লোক যাওয়া ও রেমিট্যান্সের মধ্যে মিসম্যাচ হচ্ছে। সৌদি থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসলেও যুক্তরাষ্ট্র সেই জায়গাটা দখল করেছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা যায় তাদের বেশিভাগই হোয়াইট কালার জব করে। অনেকেই ঘর বাড়ি জমি জমা বিক্রি করে দেশ থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। অনেক শিক্ষার্থীও আছে। তারা তো আর টাকা পাঠাতে পারে না। তাহলে এই টাকা কোথা থেকে আসছে। তিনি আরও বলেন, এর একটা সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে, যেখান থেকে টাকাটা পাচার হয়ে গেছে সেই টাকাটা আবার ফেরত আসছে। রেমিট্যান্সের উপর যে আড়াই শতাংশ ইনসেন্টিভ বা সাবসিডি দেওয়া হচ্ছে সেটার সু্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গভীরভাবে গিয়ে অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে এমন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক সাময়িকভাবে কমানো হলে তারা স্বস্তি পাবে। সেক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং করাও প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য নিম্নমুখী হলেও দেশের বাজারে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, দরিদ্রদের প্রত্যক্ষ সহায়তার আওতা বাড়ানো দরকার। সঠিক ব্যক্তিরা পাচ্ছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। রপ্তানি বৃদ্ধির হার ইতিবাচক নয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হচ্ছে। মে ও জুনে ৪১ শতাংশ বাড়াতে হবে। যেটা খুবই কষ্ট সাধ্য। তৈরি পোশাক বহির্ভূত পণ্য কম রপ্তানি হচ্ছে। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে প্রতিযোগিতা বাড়ছে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভারত সরকার বাংলাদেশের ২০ কোটি জনগণের সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করে একটা রাজনৈতিক দলের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত : ডা. ইরান
বিখ্যাত আনসারি পরিবারের ছেলে মুখতার যেভাবে যোগীর শত্রুতে পরিণত হয়
প্রথমবার ইতালিতে মাইকে দেয়া হল আজান
তারাকান্দায় ফিসারী থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশী যুবক নিহত
মৌকারার আলা হযরত পীর সাহেব কেবলার ইফতার মাহফিল
দুইশ' উইকেটের খুব কাছে তাইজুল
মাইলফলক থেকে ২৫ রান দূরে মুমিনুল
লিটনের উপর চাপ আসে বাইরে থেকে: পোথাস
মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা থাকবে : কুমিল্লায় প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী
ঈদে বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা- আইজিপি
দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন শাভি
খানসামায় ২২ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক
আমতলীতে এক কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণঃ তিন ধর্ষক গ্রেপ্তার
ইউক্রেনে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে রাশিয়ার আক্রমণ- দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
‘নাইটহুড’ সম্মানে ভূষিত হলেন ‘ওপেনহাইমার’ পরিচালক
আর্থিক জালিয়াতির দায়ে এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের জেল
বিচারিক বিষয়ে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না: সিজেপি
কুয়েতে কুরআনে হাফেজদের সম্মাননা প্রদান