যানবাহনে সুরক্ষিত আসন ব্যবহারে শিশু মৃত্যুহার কমে ৭০ শতাংশ
২৩ জুলাই ২০২৩, ১১:২৯ পিএম | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১১:২৯ পিএম
গ্লোবাল রোড সেইফটি পার্টনারশিপের এক তথ্যানুযায়ী, যানবাহনে শিশুদের জন্য সুরক্ষিত আসন ব্যবহার করলে ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং বড় শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় ৫৪ থেকে ৮০ শতাংশ শিশু মৃত্যুর হার কমে।
রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীস্থ ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় এসব তথ্য উঠে আসে।
আলোচনাসভায় প্রতিষ্ঠানটির রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ৫-২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু অষ্টম বৃহত্তম কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অব রোড সেইফটি ২০১৮-এর তথ্যানুসারে বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ১০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ সড়কে মারা যাচ্ছে এবং আহত হচ্ছেন ৫ কোটি মানুষ।
ডব্লিউএইচও তথ্যমতে, প্রতি বছর দেশে রোড ক্রাশে আনুমানিক ২৪ হাজার ৯৫৪ জন মৃত্যুবরণ করে। আর এসব মৃত্যুও ৯০ শতাংশই নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে সংগঠিত হয়। রোড ক্রাশের ফলে দেশে শতকরা ৫ ভাগ জিডিপি কমে যাচ্ছে।
ইউএনবি এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসের তুলনায় দ্বিতীয় ভাগে (এপ্রিল-জুন) সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর হার ১৬.৬ শতাংশ বেড়ে গেছে।
দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গত ২৮ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৬৭৪টি শিশুর মৃত্যু হয়। সড়কে শিশুমৃত্যু ঠেকাতে গাড়িতে সিট বেল্ট বাঁধা, যানবাহনে শিশুদের উপযোগী সিটের ব্যবস্থা করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ৩ মাস থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ হাজার ১৪৩। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে তিনজনের বেশি শিশু সড়কে প্রাণ হারিয়েছে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, যানবাহনে শিশুবান্ধব আসনের ব্যবহার শিশুদের সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতের ঝুঁকি ৭১-৮২ শতাংশ হ্রাস করে।
গেল বছরের ২৭ ডিসেম্বরে গেজেট আকারে প্রকাশিত বিধিমালায় শিশুযাত্রীর জন্য সিটবেল্ট বাঁধা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিধান কর্তৃপক্ষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জারির কথা বললেও শিশু আসনের বিষয়ে কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। উচ্চগতির যুগে এবং গাড়িতে আটকে থাকা রাস্তা, চালকদের বেপরোয়াতায় ভ্রমণের সময় শিশুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অতএব, শিশুদের নিরাপদ পরিবহনের জন্য শিশুদের উপযোগী সুরক্ষিত আসন অত্যন্ত জরুরি। দেশে শিশু সুরক্ষিত আসনের অভাব। বাংলাদেশের সড়ক ও পরিবহন শিশুবান্ধব নয়। শিশুদের জন্য উপযোগী যানবাহন নেই।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ শিশুদের সুরক্ষিত আসন নিয়ে কোনো কিছু বলা নেই। কিন্তু আমাদের দেশের যানবাহনে শিশু আসন খুবই জরুরি। তাই এই বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে যানবাহনে (বিশেষ করে ছোট গাড়িতে) শিশুদের জন্য সুরক্ষিত আসন প্রচলনে আইন আবশ্যক। পাশাপাশি সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’ অনুযায়ী একটি আলাদা আইন প্রণয়নের দাবি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের। কারণ, বর্তমান আইনটি সম্পূর্ণরূপে মোটরযান সংক্রান্ত আইন যেখানে সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি অনুপস্থিত।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ