রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিনগেটে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। নিহত যুবকের বিস্তারিত পরিচয় মেলেনি। তার আনুমানিক বয়স (২৫)। আহতরা হলেন,মো.আরিফুল (১৮), মো. জোবায়ের (১৮),মো. রনি (৩২), মো. মোবাশ্বের (১৮) অজ্ঞাত(২৫)। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেডিকেল সূত্র জানায়, গতকাল আওয়ামী লীগের সমাবেশ শেষে বাসায় ফিরছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা এড. কামরুল ইসলাম ও কেরানিগঞ্জের একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ধারালো ছুরি নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে ৫ জন ছুরিকাহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অজ্ঞাত যুবককে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এদিকে ছুরিকাহত রনি নিজেকে যুবলীগ কর্মী দাবি করেন। তার বাসা কেরানিগঞ্জ মডেল থানা এলাকায়। জোবায়ের একজন স্কুল ছাত্র। তার বাসা রাজধানীর বংশাল এলাকায়। স্থানীয় একটি স্কুলের ৮ম শ্রেনীতে পড়েন। তার দাবি মোবাইল ফোনের কাভার কিনতে সে গুলিস্তান এসেছিলো। পথে দু’পক্ষের হামলার মধ্যে পড়ে নিজে ছুরিকাহত হন। আরিফুলের গ্রামের বাড়ি নওগাঁয়। তিনি বাজার করতে গুলিস্তান এসেছিলেন দাবি করে নিজেকে শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দেন। এছাড়া মোবাশ্বর রাজধানীর আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা এবং নিজেকে দিনমজুর বলে দাবি করেন।
পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় সমাবেশ শেষে চলে যাওয়ার সময় মাজারের সামনে দুই গ্রুপে মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।