প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে এবি পার্টির উদ্বেগ
০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন করার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন আইনটি সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে পাশ হতে পারে। এ বিষয়ে ৯ আগষ্ট এক বিবৃতিতে এবি পার্টি উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এবি পার্টি মনে করে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর আগে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যখন বিরোধীদলগুলো আন্দোলন করছে, তখন নির্বাচনকালীন সময়ে তত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত আইন ও বিধি তৈরি না করে নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন করার ঘোষণাকে এবি পার্টি জনগণের মনোযোগকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ধারা নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে থাকছে যা সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে উত্থাপন করার কথা রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনটির খসড়া এখনও জনগণের সামনে প্রকাশ করা হয়নি। এমতাবস্থায় এবি পার্টির আশংকা আইনটি অংশীজনদের দ্বারা পর্যালোচনা করার পর্যাপ্ত সুযোগ ও সময় না দিয়েই সরকার আবার একটি নিপীড়নমূলক আইন করবার পাঁয়তারা করছে।
এটর্নি জেনারেলের বক্তব্য অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলাগুলো নতুন আইনের সেভিংস ক্লজ দ্বারা চলমান থাকবে। ইতিমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মী, নারী, শিশু, বৃদ্ধ সহ বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা ও বয়সের মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। নতুন আইনেও সেই নিপীড়নমূলক মামলাগুলো চলমান থাকলে সেটি হবে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। একমাত্র অগণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিশ্বাসী দেশের পক্ষেই নতুন আইনের মাধ্যমে এ ধরণের অন্যায় ও অনাচার চলমান রাখা সম্ভব।
এবি পার্টি মনে করে আইনটির শিরোনাম “সাইবার সুরক্ষা আইন” হলে যুক্তিযুক্ত হতো। আইনের শিরোনামে নিরাপত্তা শব্দটির উপস্থিতি বলে দেয় সরকার এখনও দেশ ও জনগণকে পুলিশি নজর দিয়ে দেখছে।
একারণে এবি পার্টি দাবী করছে-
অনতিবিলম্বে আইনটির খসড়া জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে এবং আইনটির শিরোনাম “সাইবার সুরক্ষা আইন” করতে হবে। অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে এবং এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত নিপীড়নমূলক সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিপীড়িত ব্যাক্তিদের রাষ্ট্র কর্তৃক ক্ষতিপূরণ ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করতে হবে।
প্রস্তাবিত নতুন আইনটিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে, মানহানি সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গন্য না করে দেওয়ানী ভুল হিসেবে গন্য করতে হবে। অস্পষ্ট ও ধোঁয়াশাপূর্ণ সংজ্ঞা, ইতিহাসের অমীমাংসিত বিষয়, ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়সমূহ ইত্যাদি যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে যেহেতু বিভিন্ন আইনে এগুলো বিচার করবার এখতিয়ার আছে।
প্রস্তাবিত নতুন আইনটি নিয়ে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে সকল অংশীজন, যথা সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষক, প্রযুক্তি বিশারদ, আইনজীবী, বিচারক, ব্যাবসায়ি, প্রশাসন ক্যাডারের আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সামরিক বাহিনীর সদস্য, রাজনীতিবিদ, এনজিও, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন অংশিদার ইত্যাদি, নিয়ে সংলাপ বা আলোচনার আয়োজন করতে হবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
স্টাবস-কোয়েটজির ব্যাটে সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ ওভারের থ্রিলারে কিউইদের নাটকীয় জয়
দফতর পুনর্বণ্টনের পর কে পেলেন কোনটি
গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা বন্ধ করেছে কাতার
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ চায় না ইইউ
ইয়েমেনের রাজধানীতে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনীর অভিযান
আড়াই হাজার লিটার বুকের দুধ দান করে বিশ্বরেকর্ড
পরাজয় নিয়ে ডেমোক্র্যাট শিবিরে উত্তাপ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
দলীয় পদে শামা ওবায়েদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
পরকীয়ার জন্য স্বামী আত্মঘাতী হলে দায় স্ত্রীর নয় : আদালত
ফের রাজপথে
মার্কিন-মেক্সিকো চুক্তি
বিশ্ব সেরা স্কুল
দুঃসংবাদ
৮৮ হাজার টাকা জরিমানা, ৯৩৬ কেজি পলিথিন জব্দ
তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে সিলেটে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিমের মতবিনিময়
শহীদ নুর হোসেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান
সিলেটের বন্ধ থাকা সকল পাথর কোয়ারী খুলে দিতে হবে: চরমোনাইর পীর
সাইবার বুলিং বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে : নাহিদ ইসলাম