বিদেশিদের চাপে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হয়েছে : গণসংহতি আন্দোলন
১১ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেছেন, দেশ আজ ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে। সরকার ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিদেশিদের চাপে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট পরিবর্তন করেছে। মূলত সাইবার সিকিউরিটির নামে পুরো আইনটাই ফের চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার বিদেশি সংস্থা দিয়ে জরিপ করিয়েছে, যেখানে দেখানো হয়েছে ৭০ ভাগ লোক নাকি শেখ হাসিনার সরকারে খুশি। ভালো কথা, তাহলে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিক। ৭০ ভাগ কেন ৮০ ভাগ জনগণের সমর্থনে নির্বাচিত হলে আমরা স্যালুট দিয়ে মেনে নেব। তবে এসব রিপোর্ট যে ভুয়া তা আওয়ামী লীগও ভালোভাবে জানে। এজন্য সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজের অধীনে নির্বাচন জায়েজ করতে চায়।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত ‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি’তে গণমিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সরকারের হাত রক্তে রঞ্জিত। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে গত কয়েক মাসে সরকার ২০ জনকে হত্যা করেছে। মিছিলে গুলি করে হত্যা করা শুরু হয়েছে। যে সরকার মিছিলে গুলি করা শুরু করে, তাদের আয়ু বেশি দিন থাকে না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকারের আর আয়ু নেই। তার লক্ষণ এখন পরিষ্কার।
জোনায়েদ সাকী বলেন, উনারা বলছেন, বিরোধী দল নাকি বিদেশি হস্তক্ষেপ ডেকে আনছে। আমরা এখন দেখলাম, থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে নিজেদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ করে। আরো দেখলাম, আওয়ামী লীগের একটি দল ভারতে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে মিটিং করেন। রাষ্ট্রদূতদের এখন নানাভাবে খুশি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেন পুরো দেশ উজাড় করে দিয়ে এই ক্ষমতা তারা রাখতে চান।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের কিছুদিন আগে বললেন, তারা নাকি বিবেকের চাপ অনুভব করছেন। তাহলে ২০১৪-২০১৮ সালে আপনার বিবেকটা কোথায় ছিল?এখন বিবেকের চাপ অনুভব করা মানে সে সময়ে বিবেকের চাপ ছিল না। সাকী বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে অন্তত ১১ থেকে ১৪ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। শ্রমিকের, কৃষকের রক্ত ঘাম করা সম্পদ রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে পাচার করে। ক্ষমতা যারা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাদের প্রত্যেকেই এসবের ভাগবাটোয়ারা পেয়েছেন।
রাষ্ট্র-সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশের মানুষ আজকে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। যে পরিস্থিতি অর্থনৈতিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। আজকে দেশ এমন একটি জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বিচারের নামে সবচেয়ে বেশি অবিচার হচ্ছে। এখানে সবচেয়ে বেশি অন্যায় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যারা আছেন তারা। এখানে সবচেয়ে বেশি টাকা চুরি, আত্মসাৎ ও পাচার করেন সরকারের সঙ্গে যারা থাকেন, যারা ব্যাংকের মালিক, যারা ব্যাংকের রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা তারা।
তিনি আরও বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে এমন একটি অবস্থায় দাঁড় করিয়েছে, নির্যাতনের মুখে মানুষকে দাঁড় করিয়েছে, যেখানে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ চলতে পারবে না। সেজন্য আমরা বলেছি, এদেরকে (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার