ফাঁকা ও নিরাপত্তাহীন বাসা টার্গেট করে চুরি করতো চক্রটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৩:০৪ পিএম | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৩:০৪ পিএম

সম্প্রতি রাজধানীর লালবাগের একটি ভবনের ফাঁকা তিনটি বাসা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, নগদ ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে এ চোর চক্র। ফাঁকা বাসা ও যেসব বাসায় সিকিউরিটি থাকতো সেসব বাসায় টার্গেট করে করতো। সেসব বাসা থেকে বিভিন্ন ল্যাপটপ মোবাইল চুরি করে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের একটি দোকানে বিক্রি করতো চক্রটি। এই চোর চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারের পর চুরির এমন সব চঞ্চল্যকর অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে।

গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যরা হলেন-মো. সঞ্জীব (২৪), মো. হেলাল উদ্দিন (২৪), মো. রনি (৩০), মো. রিপন (৩২), মো. তরিকুল ইসলাম (৩০), মো. শামীম (২৩) ও মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩৩)।

তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৪৮টি ল্যাপটপ ৫টি মোবাইলফোন ও নগদ ৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তাররা প্রথমে একটি বাসা রেকি করে। বাসা ফাঁকা থাকলে সেই বাসায় টার্গেট করে চুরি করে। মূলত যে বাসাগুলোতে সিকিউরিটি থাকে না এমন বাসা টার্গেট করে তারা।

লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জাফর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে যেয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোর চক্রের চারজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর চুরি যাওয়া একটি মোবাইলের সূত্র ধরে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের একটি দোকানে চোরাই ল্যাপটপ কেনাবেচার কথা জানা গেছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া দুটি ল্যাপটপসহ চোরাই ৪৮টি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। দোকানদার সুমন গ্রেপ্তার রনির কাছ থেকে কম দামে চোরাই ল্যাপটপ কেনেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তাররা শনিরআখড়ায় একটি কারখানায় কাজ করতেন। সেখান থেকেই এভাবে চুরি করার জন্য একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হন গ্রেপ্তাররা। রাজধানীর কদমতলী, সূত্রাপুর, কলাবাগ, লালবাগ ও ওয়ারীসহ বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাসা-বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগালে এমন চুরি থেকে কিছু রেহাই মিলতে পারে অথবা চুরি হলেও সহজেই চোরদের ধরা যাবে বলেও জানান ডিসি জাফর হোসেন।

বিভাগ : মহানগর