রাতের শ্রমজীবী মানুষদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি
২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৭ পিএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৭ পিএম

জীবন ও প্রয়োজনের তাগিদে রাতেও রাস্তায় বছরের পর বছর ধরে আছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তাদের পায়েই সচল থাকছে নির্ঘুম ঢাকার নৈশ অর্থনীতি। রাতের পর রাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও বদলাতে পারেননি জীবনের রং, বরং স্থায়ীভাবেই তাদের গায়ে সেঁটে গেছে দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমজীবীর তকমা।
.
ঘুম বিধাতার একটি ঔশ্বরিক দান। ধনীদের ঘুমানোর জন্য খাট পালং থাকলেও অভাবী শ্রমজীবী মানুষের রাত কাটে রাস্তায়। নানা শ্রেণীর খেটে খাওয়া এসব মানুষের কাজ কাজ করতে করতে কখন রাত শেষে ভোর হয় বুঝে উঠতেই পারেনা।
রাত তখন প্রায় ২ টা। বুড়িগঙ্গায় যাত্রীর অপেক্ষায় মাঝি রফিকুল ইসলাম। ৩০ বছর ধরে নৌকা চালান এখানে।
তার সঙ্গে কথা হলে জানান, ৩০ বছর ধরে বুড়িগঙ্গায় নৌকায় যাত্রী পারাপার করি। সংসার তো এহন বড় হইছে, আগের চেয়ে আয় কিছুটা বাড়লেও ব্যায় বেড়েছে কয়েকগুণ।
মাঝি রফিকুল বলেন, ৩০ বছর ধরে নৌকা চালালেও ভ্যগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। তাই সারারাত ধরেই নৌকা চালাই। বাজারে সব জিনিসের যে দাম বাড়ছে আমাগো তো আয় বাড়েনি। সংসার চালাতেই হিমশিম।
রাজধানীর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাস্তার অপরপাশে সিদ্ধ ও কাচা ডিম বিক্রি করেন বাবুল মিয়া। ঘড়ির কাটায় তখন রাত আড়াইটা।
তিনি বলেন, ৭ বছর আগে সৌদি আরব যান। এর আগেও তিনি ডিম বিক্রি করতেন। ভাগ্যর পরিবর্তন ঘটাতে বিদেশ পাড়ি দেন। ৭ বছর পর ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরে আসেন। তবে সংসার চালাতে সন্ধ্যা রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ডিম বিক্রি করি।
৪৪ বছর ধরে পথে পথে রাস্তার ধারে পেটিস বিক্রি করেন সংসার চালান ষাটোর্ধ্ব হাসান। আয় দিয়ে থাকার মতো ঘর নিতে পরেনি।
তিনি বলেন, সংসারে ৪ ছেলে মেয়ে। জীবীকার তাগিদে এই বয়সেও বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত পেটিস বিক্রি করতে হয়৷ যে ইনকাম সেই টাকা গ্রামে পাঠাই। মাঝে মাঝে অসুস্থ হলেও দেখার মতো কেউ নেই এখানে।
মধ্যে রাতে পলাশী মোড়ে দাড়িয়ে থাকা রিকশা চালক আবুল হোসেন বলেন, প্রতিদিন রাতেই আমি রিকশা।চালাই। মাঝে মাঝে জমার টাকাও ওঠে না। এই বয়সে রাতে রিকশা চালিয়ে ঠান্ডায় অসুস্থ ও হয়ে যাই।
রাতে কারওয়ান বাজারে তবে তাদের ভাগ্য বদলায়নি একটুও। এমন অনেক অজানা গল্প জড়িয়ে আছে রাতের শ্রমিকদের।
মহাখালী বনানী এলাকায় ভাসমান চা বিক্রি করে সালাম মিয়া।
তিনি বলেন, করোনার পর থেকে কাজ হারিয়ে রাতে চা সিগারেট বিক্রি করি। দিনের বেলায় কোথায়ও বসতে গেলে টাকা দিতে হয়। এরপরও উঠিয়ে দেয়। তাই রাতেই কষ্ট হলেও বাধ্য হয়েই এই কাজ করতে হয়।
দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে বাজেট। অথচ আজও আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের তাল মেলাতে গিয়ে হাপিয়ে উঠছেন লাখ লাখ শ্রমজীবী।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

আশুলিয়ায় বাসে আগুন

রাজধানীতে অবরোধের সমর্থনে ছাত্রদলের মশাল মিছিল

মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে মিডলাইন পরিবহনের বাসে আগুন

রুহুল কবির রিজভীর মশাল মিছিলে পুলিশের হামলা, লাঠিপেটা

অবরোধের সমর্থনে গুলশানে শ্রাবণের নেতৃত্বে মশাল মিছিল

সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলগুলোর প্রয়োজনীয় স্থানে জেটি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

২০০৯ সালের পরে শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন : ওবায়দুল কাদের

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘আইইএলটিএস প্রাইজ ২০২৩’ পেলেন সাত বাংলাদেশি
অংশীদারদের ক্ষমতায়নে মাইক্রোসফট-এর ‘পার্টনার লিডারশিপ কনক্লেভ’

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রপ্তানিকারকদের দীর্ঘমেয়াদে ঋণ দেবে এনআরবিসি ব্যাংক

৭৫ তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে শিশু ধর্ষণ হত্যার বিচারে আইন প্রণয়নের দাবি

নারী-সিএমএসই উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ও আর্থিক-অন্তর্ভুক্তিতে
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রাখবেন কোহলি: ক্যালিস

আড়াইহাজারে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে পুলিশের উপর হামলা, ৭পুলিশ আহত

নোয়াখালীতে কৃষকের এক একর জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা

সদরপুরের ভুক্তভোগীদের আত্মচিৎকার শোনার কেউ নাই?

বটিআরসির নতুন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ
বিপিএলের সূচি প্রকাশ
টানা দ্বিতীয় জয়ে সেমিতে এক পা যুবাদের

সাংবাদিকদের সাথে শেরপুর সদরের নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় সভা