ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে খেলাফত মজলিস

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম

 

 

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, মজলুম মানুষের আহাজারিতে চারিদিক ভারী হয়ে উঠেছে। বিগত ৫ মাস ধরে চলমান বর্বর ইসরাইলী আগ্রাসনে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মুসলিম জনপদ ফিলিস্তীনের গাজা। বিশে^র বিভিন্ন জনপদে শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা, আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে জনগণের উপর শোষণ জুলুমের স্টীম রোলার চালাচ্ছে। মানব রচিত বিভিন্ন মতবাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে বহু কিন্তু মানুষের প্রকৃত মুক্তি আসেনি। জুলুম-শোষণ থেকে মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলাম। মানুষের দুনিয়ার কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে। খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে দল-মত-পথের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

প্রতি বছর রমজান কাছাকাছি আসলে এদেশে সিন্ডিকেট চক্র যেভাবে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠে তাতে মনে হয় দেশে প্রশাসন বলতে কিছুই নেই। দলীয় পরিচয়ে বেড়ে উঠা এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা সর্বদা সরকারি আনুকূল্য পেয়ে এমন বেপরোয়া হয়ে উঠে। একদিকে এই চক্র মানুষকে জিম্মি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে অন্যদিকে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়ে সরকার তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে নিয়ে গেছে। খেজুরের মত ইফতারের নিত্য অনুষঙ্গ ও পুষ্টিকর ফলের আমদানী শুল্ক বাড়ানোর কারণে এর দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবিলম্বে মাহে রমজানের পূর্বেই দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন অপতৎপরতা সরকারকে অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। খেলাফত মজলিসের নির্ধারিত সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী তরবিয়তী মজলিসে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

৮ ও ৯ মার্চ ২০২৪ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত তরবিয়তী মজলিসে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, মুহাদ্দিস শেখ মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

 


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত