ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

শাবিতে ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১১ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম

 

 

 

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের অভ্যন্তরে মাহে রমাযান উপলক্ষে ইফতার মাহফিল করা যাবে না বলে প্রজ্ঞাপন জারির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা জারি ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত। এ নিষেধাজ্ঞা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এধরনের নিষেধাজ্ঞা দেশে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে। হযরত শাহজালালের পূণ্যভূমিতে এধরনের নিষেধাজ্ঞা ইসলামী জনতাকে ভাবিয়ে তুলেছে। মাহে রমাযানের সাথে ইফতার এবং ইফতার মাহফিল ওতঁপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ইফতার মাহফিল নিষেধাজ্ঞা প্রকারন্তরে রোজা নিষিদ্ধের শামিল। তিনি অবিলম্বে এ প্রজ্ঞাপণ তুলে নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় রমাযান মাসে বদরী চেতনায় মুসলমানরা ময়দানে আন্দোলন গড়ে তুলবে।

আজ সোমবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ, মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, নিত্যপণ্য নিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করছে ডামি সরকার। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে মন্ত্রীরা গরিব মানুষ নিয়ে উপহাস করছেন। তিনি বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্য ইফতার খেজুর দিয়ে শুরু করা হয় অথচ শিল্পমন্ত্রী খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়ে রোজাদারদের সাথে উপহাস করেছেন। সুন্নত নিয়ে এধরনের মন্তব্য শিল্পমন্ত্রীর ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক। তিনি সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে অশ্লীলতা বেয়াপনা নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। মজুদদার, মুনাফাখোর ও সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এদের দমন করতে হবে। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

 

এদিকে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতা বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ সোমবার সারাদেশে জেলায় ও মহানগরে মাহে রমাযানকে গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে স্বাগত মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কোন কোন জেলা প্রশাসনের বাধাঁর মধ্য দিয়ে মিছিল পালন করে। যে সকল জেলায় একযুগে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রায়েছে, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর জেলা, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ মহানগর, ময়মনসিংহ উত্তর, মোমেনশাহী দক্ষিণ, রাজশাহী মহানগর, রাজশাহী জেলা, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা পূর্ব, পাবনা পশ্চিম, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ, চট্টগ্রামপূর্ব, চট্টগ্রাম পশ্চিম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী উত্তর, নোয়াখালী দক্ষিণ, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা মহানগর, কুমিল্লা উত্তর, কুমিল্লা দক্ষিণ, কুমিল্লা পশ্চিম, বি-বাড়ীয়া, খুলনা মহানগর, খুলনা জেলা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, রংপুরমহানগর, রংপুর জেলা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর উত্তর, দিনাজপুর দক্ষিণ, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী।

স্বাগত মিছিল পূর্ব সমাবেশগুলো থেকে জেলা নেতৃবৃন্দ বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন ‘রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে না’ অথচ তার ঘোষণার আগেই সরকার দলীয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বুর্জোয়া গোষ্ঠী শবে বরাতের আগেই বহুগুণ বাড়িয়ে জনগণকে নিষ্পেষণ করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী এ সিন্ডিকেট ভাংতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তারা রোজাদার সাধারণ মানুষকে স্বাভাবিকভাবে খেয়ে যেন রোজা পালন করতে পারে সে ব্যাপারে কার্যকরি উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান।

এদিকে দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২৭ থানায় স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত