ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

প্রবাসী চিকিৎসকের সনদ ব্যবহার করে প্রতারণা, সিলেটে প্রসূতির মৃত্যু

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৩ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম

 

 

ডা. সাদিয়া চৌধুরী সিম্মি একজন প্রবাসী চিকিৎসক। তিনি মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্স বিভাগের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত। তবে তার বাংলাদেশ মেডকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন ব্যবহার করে গত তিন বছর ধরে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছেন মিলি নামের একজন। যিনি চিকিৎসক তো ননই, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গতকাল প্রতারকের সন্ধান পাওয়া গেছে সিলেটের জাফলং বাজার এলাকার সোনিয়া ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডক্টরস চেম্বারে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ মার্চ যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলেট জেলা সফরে যান, সেই সময় জাফলংয়ে এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয় এই প্রতারকের হাতে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ওই ডায়াগনস্টিকে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় চিকিৎসক নামধারী ওই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশলয় শাহ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি ডায়াগনস্টিক হিসেবে ২০২১ সাল পর্যাপ্ত নিবন্ধন করা আছে। গত ৬ মার্চ এখানে একজন প্রসূতির অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মা ও গর্ভের শিশুর মৃত্যু হয়। সেই অভিযোগে এখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় দেখা যায়, ডায়াগনস্টিকের নিবন্ধন নিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করাচ্ছে, যা আইনত দ-নীয়। তা ছাড়া যিনি চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন তিনি একজন প্রতারক। গত তিন বছর ধরে তিনি প্রতারণা করে আসছেন। ডা. কিশলয় শাহা বলেন, অভিযান চলাকালীন সময় দেখা গেছে, প্যাথলজি বিভাগের সব রিয়েজেন্ট ও র‍্যাপিড এ্যান্টিজেন কিটগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। এক্স-রে কক্ষের কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশ ছাড়পত্রও নবায়ন করা নেই। এমনকি তারা নিবন্ধন ছাড়াই ওষুধের দোকান পরিচালনা করে আসছে। এসব অনিয়মের কারণে ভোক্তা অধিকার আইনের ২০০৯ এর ৫১,৫২ ধারা এবং মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২২,২৯ অনুযায়ী অভিযুক্তকে কারাদ- এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে।

 


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত