সগিরা মোর্শেদ হত্যা : যাবজ্জীবন ২ খালাস ৩
১৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৫০ এএম | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় ৩৪ বছর আগে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে সগিরা মোর্শেদ সালাম (৩৪) নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর তিন আসামি খালাস পেয়েছেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবনদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন,আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে।
অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন। তারা হলেন, ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) এবং ও মন্টু মন্ডল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সগিরা মোর্শেদের পরিবার। তারা উচ্চ আদালতে খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামির বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম মোর্শেদ। তিনি বলেন, এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। আসামি মন্টু মন্ডল বাদে অপর দুই আসামির খালাসের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।
সগিরা মোর্শেদের মেঝ মেয়ে সামিয়া সারওয়ার চৌধুরী বলেন, তিন দশক ধরে ঘটনাটি চাপা দিয়ে রেখেছিলো। তারপর যদি এরকম স্বাভাবিক সাধারণ একটা রায় হয় তাহলে তো বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস করবে। সেটা তো হতে পারে না। এ রায়ে একেবারেই আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা অবশ্যই উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন। তবে ওই দিন রায় পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ১৩ মার্চ ধার্য করেন আদালত।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী। মামলাটি ২৫ জন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে গড়ে একজন করে আসামি গ্রেপ্তার করেন। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টু নামে একজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরপর মামলাটি উচ্চ আদালতে স্থগিত করা হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালে মামলাটি তদন্তের ভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) এর পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। গত ১২ ডিসেম্বর মামলার পাঁচ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থণা করেন।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত