ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
স্বামীর সাড়ে ৫ কোটি, স্ত্রীর সম্পদ ২২ কোটি টাকার

রাজস্ব কর্মকর্তা জিয়াউল হক দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন

Daily Inqilab বিশেষ সংবাদদাতা

১৩ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম


কর আপিল ট্রাইব্যুনালের তৎকালিন সদস্য আ.জা,মু. জিয়াউল হক এবং তার স্ত্রী মোর্শেদা কুদ্দুসের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ (বুধবার) কমিশন মামলা দু’টির অনুমোদন দিয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে দায়ের হবে এ মামলা। এজাহারে রাজস্ব কর্মকর্তা আ.জা.মু. জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৫১৮ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হবে। স্ত্রী মোর্শেদা কুদ্দুসের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হবে ২২ কোটি ২০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের। দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে এ মামলা করবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধানেরও অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজস্ব কর্মকর্তা জিয়াউল হক ১৯৯১ সালে জাতীয় রাজস্ববোর্ডের চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে যান। এ সময়ের মধ্যে তার আয়কর ফাইলে প্রদর্শিত ্আয়-ব্যয়ের হিসেব থেকে ৫ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদ অতিরিক্ত পাওয়া যায়। দুদক অনুসন্ধান করে দেখতে পায়, স্বামী জিয়াউল হকের চেয়ে স্ত্রী মোর্শেদা কুদ্দুসের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ চার গুণ বেশি। আয়কর নথিতে মোর্শেদা কুদ্দুস রাজধানীর বড় মগবাজারস্থ এলাকায় মৃত্যুপথযাত্রী ভাইয়ের কাছ থেকে ৫৩ শতাংশ আয়তনের প্লট হেবামূলে পেয়েছেন-মর্মে উল্লেখ করেন। কিন্তু দুদকে হেবামূলে সম্পদ প্রাপ্তির পরিষ্কার কোনো রেকর্ডপত্র দাখিল করতে পারেন নি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, জিয়াউল হক তার অবৈধ সম্পদ আড়াল করতে অসুস্থ স্ত্রীর ভাইয়ের নামে প্রথমে প্লটটির দলিল করেন। যারা সমুদয় টাকা পরিশোধ করেন জিয়াউল হক। পরে ভাইয়ের কাছ থেকে পৃথক ২টি হেবা দলিল করে মোর্শেদ্ াকুদ্দুসের নামে আনেন। যার দলিল মূল্যই ২২ কোটি ২০ হাজার টাকা। প্রকৃত মূল্য কয়েক গুণ বেশি বলে ধারনা করা হচ্ছে। মামলার যথাযথ তদন্ত হলে এটিও উদঘাটন করা সম্ভব বলে মতামত দেয়া হয়েছে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে।

 


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত