ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

রোজা ও ইফতার ইসলামের সৌন্দর্র্য পীর সাহেব চরমোনাই

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮ এএম

 


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সারাদিন রোজা রেখে ইফতার করার আনন্দই আলাদা। ইফতারও ইবাদত, ইফতার ইসলামের সৌন্দর্য। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করে নতুন প্রজন্ম রোজা থেকে দূরে রাখার কৌশল অবলম্বন করছে সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ ছাত্রদের ইফতার মাহফিলে ছাত্রলীগ আক্রমন করে রক্তাক্ত করেছে রোজাদার ছাত্রদের। এটা ভাল লক্ষণ নয়। আমি আশা করব, রোজাদার ছাত্রদের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে। অন্যথায় রোজাদার মুসলমানরা নিরবে বসে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী ইফতারে নিরুৎসাহিত করছেন কেন, তা না করে দুর্নীতি বন্ধ করতে বলেন, বিদেশে পাচারককৃত অর্থ দেশে আনলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ৩য় দিনের আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। এতে আরো বয়ান পেশ করেন দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বের দ্রুত গতির জীবনধারা, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের সৌন্দর্যের যে ব্যপ্তি তৈরি হয়েছে, মানবসভ্যতার বিকাশে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম এক শান্তিপূর্ণ ধর্ম। এ ধর্মের প্রতিটি নির্দেশ ও আমলের পেছনে যেমন রয়েছে আধ্যাত্মিকতা, ঠিক এর বিপরীতে রয়েছে বিজ্ঞানময় ব্যাখ্যা। ইসলামে যেসব বিধিবিধান সরাসরি মানুষকে সংযত, আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক চেতনা ও প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করে, মাহে রমজানের সিয়াম সাধনা তথা রোজা তার মধ্যে অন্যতম। রমজান পালন আধ্যাত্মিকতা, ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের আত্ম-উন্মেষের আলোকবর্তিকা হিসাবে কাজ করে। রমজান বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জন্য গভীর তাৎপর্য বহন করে, তবে এর প্রাসঙ্গিকতা ধর্মীয় সীমানা ছাড়িয়ে সমসাময়িক বিশ্বের জন্য অমূল্য আধ্যাত্মিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, রমজান মাসে রোজাদার মানুষকে যারা কষ্ট দেয়, তারা প্রকৃত মানুষ নয়। বেশি মুনাফার আশায় যারা নিত্যপণ্যের বাজারে সঙ্কট সৃষ্টি করে মানুষকে কষ্ট দেয়, তারা মানুষ নামের পশু। এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তিনি রোজাদার মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘবে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।

 


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত