ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা : নতুন ৬ দাবিতে মশাল মিছিল

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:২৬ এএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রক্টর মোস্তফা কামালকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহির আওতায় আনাসহ নতুন ৬ দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৭ মার্চ) রাত ৮টায় ক্যাম্পাসে এক মশাল মিছিল শেষে এ দাবি উত্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে তদন্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র আম্মান সিদ্দিকী ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে, অভিযুক্তদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডি, প্রক্টর মোস্তফা কামালসহ সবাইকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, পূর্বে ঘটে যাওয়া সকল নিপীড়নের বিচার দ্রুত সময়ের মধ্য নিশ্চিত করতে হবে, দ্রুত সময়ে নিরপেক্ষ নিপীড়ন দমন সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতি বিভাগে বিভাগে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেশালিস্ট মনোবিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে: ইন্টার্ন দিয়ে চলবে না, প্রশাসনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্য বাস্তবায়ন করতে হবে।

মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আল্টিমেটাম অনুযায়ী প্রশাসন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। প্রশাসন আমাদের আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আশা করি, তাও বাস্তবতায়ন হবে। অবন্তিকাকে টেকনিক্যালি হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট মুখে কালো কাপড় ও গলায় রশ্মি বেঁধে প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা ইভান তাহসিব বলেন, অবন্তিকার মৃত্যু সুইসাইড নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। এখন ভিকটিম ব্লেমিং চলছে। অবন্তিকা সাহসী ছিল। সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করত। প্রক্টর অফিসে দেওয়া অবন্তিকার অভিযোগপত্র কেন ভিসি পর্যন্ত যায়নি আমরা তা জানতে চাই।

এর আগে আজ দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন্দ্রীয় মসজিদে অবন্তিকার আত্মার মাগফেরাতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এসময় দোয়া অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীসহ শিক্ষক সমিতি ও প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত ছিলেন।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত