বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর বদলে গেছে রাজধানীর সেহরি নাইট!
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৬ এএম | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৬ এএম
গত ২৯ মার্চ রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয় ৪৬ জন। এরপর থেকেই বদলে গেছে রেস্তোরাঁ চেহারা। বেশ কয়েক বছর ধরে রমজানে রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি পার্টির চল তৈরি হয়েছিল। রমজান মাসে আত্মীয়, পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের ডেকে একসঙ্গে গভীর রাতে রেস্তোরাঁয় বা পুরান ঢাকার অভিজাত রেস্তোরাঁয় দল বেঁধে সেহেরি খাওয়া। কিন্তু এবার চিত্র একেবারেই পাল্টে গেছে। বেইলি রোড ট্র্যাজেডির পর রাতের ঢাকায় বন্ধ থাকছে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ। যে দু-একটি খোলা থাকছে সেখানেও নেই আগের মতো মানুষের আনাগোনা।
এবার রোজা শুরুর সপ্তাহখানেক আগে বেইলি রোড ট্র্যাজেডি সবকিছুই পাল্টে দিয়েছে। একদিকে রেস্তোরাঁগুলোতে চলছে প্রশাসনের অভিযান অন্যদিকে ভোক্তাদের মাঝে আতঙ্ক। রাতের ঢাকায় বন্ধ অধিকাংশ রেস্তোরাঁ। দুএকটি খোলা থাকলেও সেখানে সুনসান নীরবতা।
রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে রমজানে রেস্তোরাঁগুলোতে পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সেহেরি খেতে আসতো। তবে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর পরিচালিত অভিযানের কারণে বন্ধ বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট। আগের তুলনায় ভিড় অনেকটাই কম। তবে সামনের দিনগুলোতে সেহেরি-বিলাসীদের ভিড় আরও বাড়বে মনে করছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা।
বংশাল, ঠাটারিবাজার, হাটখোলা রোড, নর্থ সাউথ রোড ও রায় সাহেব বাজারের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সেহেরি করতে আসা মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর মানুষের মধ্যে সাময়িক একটা ভয় কাজ করেছে। একই পরিবারের অনেক মানুষ মারা যাওয়ায় তাই সবাই মিলে বের হচ্ছেন না।
একই চিত্র দেখা যায় পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারে। সবসময় ভোজনরসিক মানুষের গমগম করা এই এলাকায়ও পিন পতন নীরবতা। বিক্রেতারা বলছেন, বেইলি রোডের আগুনের আঁচ পৌঁছেছে এখানেও।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছিলেন পুরান ঢাকার হানিফ বিরিয়ানিতে। তিনি বলেন, আমার কর্মক্ষেত্র উত্তরাতে। গত বছর রমজানে বেশ কয়েকদিন বাইরে সেহেরি করেছি। তবে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর এবার বের হতে ভয় লেগেছে। দিনের বেলায় ব্যস্ত থাকার
কারণে এখানকার বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলোতে আসা হয় না। এই সময়টা রাস্তাঘাট খালি থাকে, তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে এসেছি সেহেরি খেতে।
ধানমণ্ডি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে হাজীর বিরিয়ানি খেতে এসেছেন সিয়াম মাহমুদ। তিনি বলেন, বেইলি রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় আগে ইফতার সেহরি করেছি। কিন্তু এবার অন্যবারের তুলনায় আনন্দ মজাটা হচ্ছে না। লোকজন ও বাইরে কম।
ভয় থাকলেও প্রাত্যহিক জীবনের একঘেঁয়েমি কাটিয়ে সেহেরিকে আরও প্রাণবন্ত-করার জন্যই অনেকেই বাইরে সেহেরি করতে আসে। তাদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের মতো সকল ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে যেমন সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি রেস্তোরাঁর মালিকদের তাদের কাষ্টমারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নোয়াখালীর সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু আটক
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়