ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দুত্ববাদের দালালদের তাড়াতে হবে-মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী

Daily Inqilab বিশেষ সংবাদদাতা

১৮ মার্চ ২০২৪, ০২:১২ পিএম | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪, ০২:১২ পিএম

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চেয়ে এবং কেন তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে না এ ব্যাপারে লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়ে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। এ ঘটনায় বিস্মিত হয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

বিবৃতিতে মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সেক্যুলারদের নানারকম অনুষ্ঠান হয়, জগন্নাথ হলে ঘটা করে বিভিন্ন পূজা-পার্বণ চলে; কিন্তু মুসলিম শিক্ষার্থীদের কোরআন তেলাওয়াতের অনুষ্ঠান নিয়ে এত চুলকানি কেন? আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের দালালরা জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। এরাই মুসলিম শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এতদিন সেক্যুলারিজম ও প্রগতিশীলতার নামে এরা যে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতিপক্ষ বানিয়েছে, তা উদাম হয়ে পড়েছে। এদের মুখোশ খুলে গেছে। এদের রুখে দিতে হবে। মুসলিম শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার টিকিয়ে রাখতে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দুত্ববাদের দালালদের তাড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারো বাপের তালুক নয়। দেশের আপামর জনতার ট্যাক্সের টাকায় এর বরাদ্দ হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে ওলামায়ে কেরামসহ সমগ্র তৌহিদি জনতা তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ‘রমাদান প্রোডাক্টিভ’ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। দেশে ভারতীয় পণ্য বয়কট যখন তুঙ্গে উঠেছে, ঠিক তখনই হিন্দুত্ববাদের দালাল সেক্যুলার-প্রগতিশীলরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা মুসলিম শিক্ষার্থীদের ধর্ম পালনে হস্তক্ষেপ করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। আমরা সাধারণ মুসলিম শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, যারা আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়, তাদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ হোন। দেশের ওলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতা আপনাদের সাথে রয়েছে।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত