সরকার ভালো নেই, আবোল-তাবোল বলছে: গয়েশ্বর চন্দ্র
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার ভালো নেই বলে ‘আবোল-তাবোল কথা’ বলছে। আমরা কেমন আছি সবাই জানি। কিন্তু যারা ক্ষমতায় আছে ওরা কেউ জানে না, চোররা জানে, তারা ভালো নেই। ভালো নেই বলেই মাঝে-মধ্যে আবোল-তাবোল কথা বলে। তাতে আমাদের কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। বরং এটাকে যদি অনুধাবন করতে পারি, তাহলে আমাদের মধ্যে ঐক্য বাড়বে, পথচলাটা সঠিক হবে।সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির মরহুম মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খোন্দকার দেলোয়ার স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, এক গৃরস্থ বাড়িতে আসছে, তো বাড়িতে আসার পর গরমের কারণে বউয়ের কাছে পানি চাইতেছে। বউরে বলেছে যে, মাগো এক গ্লাস পানি দাও, বউ বলে ধুর ঝি. কাকে কি কও। হইবো না, মাথা গরম হলে এমনি হয়। সরকারেরও এরকম অবস্থা হয়েছে কি কয় তারাও নিজেরা বুঝে কিনা সন্দেহ।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কে একজন এখানে বললেন সরকারের অপচয়ের কথা, লক্ষ-কোটি টাকা বিদেশে জমা করছে, সব জমা করছে ভবিষ্যতের জন্য। আল্লাহ তাদের তওফিক দিক সম্পদ জমাই যেন থাকে। সময়মত যেন আমরা লুন্ঠিত জমা করা ওইসব সম্পদ উদ্ধার করতে পারি।
গয়েশ্বর বলেন, তারা ইফতার করে খরচ বাড়াতে চায় না। কারণ তাদের ইফতারের প্রয়োজন হয় না। সুতরাং এজন্য বললাম যেখানে তকমা দেয় ইফতারে কি খাবে, বড়ই না খেজুর। এই ধরনের একটা অবার্চীন সরকারের অধীনে দেশবাসী বসবাস করছে। এর চেয়ে পীড়াদায়ক, যন্ত্রণাদায়ক, অপমানজনক আর কিছু একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য হয় না।
১/১১ ঘটনাবলী এবং খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ওই সময়ের অনেক কথা, অনেক সত্য আছে যা বলার সময় এখন নয়। আমি বলব লিখে রাখেন। আমার মনে হয় এই মুহুর্তে সকল সত্য কথা বলার সময় আসেনি, সেই পরিবেশ তৈরি হয়নি। কারণ আমরা এখন লড়াইয়ের ময়দানে আছি এবং আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের এখন ভালো-মন্দ খোঁজার থেকে লড়াইয়ের মাঠে সাহাদাত বরণ করা বড় কথা। যেমন ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতিশীলরা সকলে এক হলে জয়লাভ করা যায় এবং তেমনি কমিটমেন্ট যাদের নাই তাদের দিয়ে দীর্ঘ সংগ্রামে লড়াই করে জয়ী হওয়া যায় না।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মতো সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করে তার আদর্শ অনুসরণের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। পরে তার মরদেহ ঢাকায় এনে নিজের বাড়ি মানিকগঞ্জের পাচুরিয়ায় সমাহিত করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ারের ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বক্তব্য রাখেন।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস-ইসরাইল
যে সব শর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি
এনসিটিবির সামনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীর সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু আটক
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন