উত্তর ও উপকূলীয় অঞ্চলের শিশুদের জন্য পূর্বাভাস ভিত্তিক বহু আপদ মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
১০ জুন ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
‘বাংলাদেশের উত্তর ও উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য স্থানীয় জনগণ ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিশুদের জন্য পূর্বাভাস ভিত্তিক বহু আপদ মোকাবিলায় কার্যকর পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর লেকশোর হোটেলের লা ভিটা সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও এর সেইভ দ্যা চিলড্রেনের যৌথ আয়োজনে, জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর সহযোগিতায় উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর প্রভাবে পূর্বাভাসভিত্তিক পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ৫টি জেলায় (বরগুনা, চট্টগ্রাম, খুলনা, পটুয়াখালী এবং সাতক্ষীরা) প্রয়োজনীয় জরুরী সহায়তা প্রদান করেছে। তারা ২৬,০০০ জনকে আগাম সতর্কবার্তা প্রদান, ৩,৪৫০ জনকে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রেরণ এবং ২,৯০০ জনকে আশ্রয়ণ সহায়তা প্রদান করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, লুৎফুন নাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মোঃ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ; জার্মান দূতাবাসের প্রতিনিধি সিল্কি শিমার এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্রোগাম অপারেশনস রিফাত বিন সাত্তার।
জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর সহায়তায় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে সৃষ্ট বহু-আপদ; বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধ্বসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে জনজীবনকে রক্ষা করতে শিশুকেন্দ্রিক কমিউনিটিভিত্তিক পূর্বাভাস ভিত্তিক সাড়াদান কর্মসূচীর মাধ্যমে কার্যকর প্রস্তুতি গ্রহণে উক্ত প্রকল্প বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা ও পটুয়াখালীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করবে।
প্রকল্প এলাকায় দুর্যোগের ফলে শিশুদের জীবনের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি তাদের বৃদ্ধি ও উন্নয়নের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া জলবায়ু এবং বহুআপদের ঝুঁকি নিরসনের জন্য আগাম সতকর্তা ব্যবস্থায় স্থানীয় জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রবেশগম্যতার সুযোগ বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় জনগণের ও প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাস ভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরি হবে যা শিশুদের ঝুঁকি ও ক্ষতি নিরসনে সহায়তা করবে।
উক্ত প্রকল্পের ফলে সৃষ্ট অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কর্মপরিকল্পনার সাথে একীভূত হবে বলে আশা করে হচ্ছে।
প্রকল্প কেন্দ্রিক সমন্বয়ের প্রচেষ্টা জোরদার করার উদ্দেশ্যে এই কর্মশালায় বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতিসংঘের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ মূল বাস্তবায়নকারী অংশীদারসহ অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং বহুমুখী আপদের পূর্ব প্রস্তুতির বিষয়ে উপলব্ধ জ্ঞান এই আয়োজনে তুলে ধরা হয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর-প্রোগ্রামস অপারেশন্স, রিফাত বিন সাত্তার এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর প্রকল্প বিষয়ে এবং বাংলাদেশে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সতর্কতা ব্যবস্থা -সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়ে সম্যক ধারণা দেয়া হয়। এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মো. মিজানুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, কে এম আবদুল ওয়াদুদ; জার্মান দূতাবাসের প্রতিনিধি, সিল্কি শিমার; এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্রোগাম অপারেশনস, রিফাত বিন সাত্তার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, লুৎফুন নাহার এই কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ বলেন ”দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে টেকসইকরণে পূর্বাভাসভিত্তিক আগাম সাড়াদান ব্যবস্থাকে আরো বিজ্ঞানভিত্তিক এবং তথ্যবহুল করার জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এবং কমিউনিটির সমন্বয় প্রয়োজন। মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষিত শিখনগুলি জাতীয় পর্যায়ে প্রস্তুতকৃত প্রটোকলে অন্তর্ভুক্তিকরণে যথাযথ ব্যবস্থা পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগের প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জার্মান দূতাবাসের প্রতিনিধি, সিল্কি শিমার বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগনের আগাম সাড়াদান পূর্বাভাস ভিত্তিক জ্ঞানের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুর্যোগে শিশুদের জীবনের ঝুঁকি কমানো সম্ভব এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মো. মিজানুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগের চেনা ধরণ প্রতিনিয়ক পরিবর্তিত হচ্ছে। পূর্বাভাস ভিত্তিক আগাম সাড়াদান কর্মসূচী পরিবর্তিত ধরনের দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় শিশু কেন্দ্রিক পূর্বাভাস ভিত্তিক আগাম সাড়াদান কর্মসূচী জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্তিকরণের এখনি উপযুক্ত সময়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, লুৎফুন নাহার তার সমাপনী বক্তেব্যে বলেন, সরকারের বিদ্যমান পূর্বাভাস ভিত্তিক আগাম সাড়াদান প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সকল মন্ত্রণালয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে । প্রয়োজনে সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশেষায়িত বাহিনীর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনদের মাঝে জ্ঞানভিত্তিক তথ্য বিনিমিয় এর সুযোগ তৈরি করতে হবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই ঘোষণা : কারা যাচ্ছেন আজকের বৈঠকে
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস-ইসরাইল
যে সব শর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি
এনসিটিবির সামনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীর সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু আটক
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী