‘যুবরাজ মোহাম্মদের ভিশন বাস্তবায়নে অবদান রাখছে বাংলাদেশি শ্রমিকরা’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ নিয়ে দিনভর আলোচনা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সংবাদটি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ১২ জুন প্রকাশিত হয়। একই সংবাদ অনলাইন ভার্সনেও প্রচারিত হয়।

ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের বৈঠকের এই প্রতিবেদনটি সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই শেয়ার করেছেন। নেটিজেনরা এটি শেয়ার করে সউদী ও বাংলাদেশের মধ্যকার ভ্রাতৃ-প্রতীম সম্পর্ক আরও গভীর করতে বরাবরের মতো ইনকিলাবকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। সউদী আরব বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজার হওয়ায় দেশটিতে কর্মরত লাখো বাংলাদেশি ও সম্ভাব্য অভিবাসন প্রত্যাশীরা নতুন আশার আলো দেখছেন বৈঠকটি ঘিরে।

বৈঠকে সউদী রাষ্ট্রদূত বলেন, সউদী আরবে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন। যারা বাংলাদেশ ও সউদী আরবের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশি শ্রমিকরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। প্রতি বছর সউদী আরব থেকে প্রবাসী কর্মী ও ব্যবসায়ীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্সের মাধ্যমে প্রায় দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে বাংলাদেশ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সউদী গমনেচ্ছু বাংলাদেশি কর্মীদের কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘেœ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। কোনো কোনো দিন ৬ হাজার কর্মীর ভিসা সরবরাহ করা হচ্ছে।

সউদী রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন গতকাল মঙ্গলবার তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এসব কথা বলেন। অত্যন্ত ফলপ্রসু আলোচনাকালে সউদী দূতাবাসের সহকারী রাষ্ট্রদূতও উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাজকীয় সউদী সরকারে অবদানের কথা স্মরণ করে সউদী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সউদী আরব এবং দেশটির জনগণ বাংলাদেশের হৃদয়ের খুব কাছের উল্লেখ করে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, সউদী আরব সব সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।

বৈঠকটির প্রসঙ্গ টেনে সামাজিক মাধ্যমে গাজী শরিফুল ইসলাম লিখেছেন, সৌদি আরব এবং ইনকিলাব পত্রিকার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সৌদি আরবের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র দৈনিক ইনকিলাব। ফলে ইনকিলাবের সাথে সম্পর্ক জোরদার হলে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সাথে সৌদি আরবের অত্যন্ত সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। এতে উভয় দেশই লাভবান হবে।

শহীদ চৌধুরী লিখেছেন, বর্তমান
সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তাই আমি মনে করি তার সাথে ইনকিলাব সম্পাদকের যোগাযোগ ও সম্পর্ক বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজারটি আরও প্রসারিত হবে। প্রিয় সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের কাছে অনুরোধ, তিনি যেন এই যোগাযোগকে ব্যবহার করে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।

মোঃ মুকিত লিখেছেন, রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান একজন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান কূটনীতিক। বাংলাদেশের জনগণকে অতি অল্প সময়ে তিনি আপন করে নিয়েছেন। আল্লাহ উনাকে নেক হায়াত এবং বরকত দান করুন। বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক এবং দুঃখী জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন উনি এই জন্য মনের অন্তস্থল থেকে উনাকে মোবারকবাদ জানাই।

জিসান মাহমুদ লিখেছেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় ও গভীর হোক। বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়ায় বর্তমান সৌদি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াই রাজকীয় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ। বিন সালমানের ভিশন বাস্তবায়নে আরো বেশি বাংলাদেশের শ্রমিক নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তুষার আব্দুল্লাহ লিখেছেন, সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি তুলে ধরাই আমার প্রিয় পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক মহোদয়কে ধন্যবাদ। বাংলাদেশ থেকে আরো শ্রমিক সৌদি আরবে নেওয়া হোক। শুধু বাংলাদেশ নয় মুসলিম বিশ্ব থেকে আরও শ্রমিক নেয়া হোক। একই সাথে ভারতসহ মুসলিম বিরোধী দেশগুলো থেকে শ্রমিকরা বন্ধ করুক।