ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

দেশের প্রবৃদ্ধির ধারাকে টেকসই করতে হলে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে : সাবের চৌধুরী

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৩ জুন ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের প্রবৃদ্ধির ধারাকে টেকসই করতে হলে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। এ লক্ষ্যে জীববৈচিত্রের ক্ষতি ও দূষণ রোধে আন্তরিকভাবে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে। আজ রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত “বাংলাদেশ সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন : একসাথে দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়ন” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী একথা বলেন। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয়ে এখন বিশ্বে রোল মডেল। বাংলাদেশ সবুজ প্রবৃদ্ধিতেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। সকলে মিলে কাজ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবুজ বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সফল হতে পারবো। সাবের চৌধুরী আরো বলেন, গ্রিন গ্রোথ বাস্তবায়নে বিভিন্ন সেক্টরকে পরিবেশবান্ধব করতে হবে। শুধু জিডিপি বাড়লেই হবে না, পরিবেশও ঠিক রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, দূষণ বেশি হলে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি হবে না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে। প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের দিকে যেতে হবে।
পরিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে সরকার বেসরকারি সেক্টরকে প্রণোদনা দিবে। আসুন সবাই মিলে একটি সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। সরকার দেশের উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ডেল্টা প্লান, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ইত্যাদি বাস্তবায়ন করছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এ কে এম মাকসুদ কামাল, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম প্রমুখ।
অতিথিবৃন্দ গ্রিন গ্রোথ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন। সেমিনারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থা, গবেষক ও পরিবেশবিদ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বাংলাদেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং দেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে মতবিনিময় করেন।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত