ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে হবে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৪ জুন ২০২৪, ১২:২৮ এএম | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪, ১২:২৮ এএম



গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছে কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ। দেশ বিরোধী ও জাতি ধ্বংসে এনজিওদের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং কুরবানীর চামড়ার ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি দেওনার পীর প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান চৌধুরী এ আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের সহ সভাপতি মাওলানা জুবায়ের আহমদ,
মুফতি ইকবাল, মহাসচিব মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা শুয়াইব আহমদ আশরাফী, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, এনামুল হক আইয়ূবী, মাওলানা জালাল আহমদ, মাওলানা নাসির উদ্দিন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, শায়েখ ইসমাইল হোসাইন সাইফী, মুফতি মুয়াবিয়া আল হাবিবী, মুফতি রফি উদ্দীন মাহমুদ নুরী, মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ নোমানী। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল ৭৬ বছর যাবত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা, গুম, ধর্ষণ, কারাগারে বন্দি করাসহ নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
ইতিমধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ করেছে, কিন্তু এধরনের প্রস্তাব ও চুক্তি গাদ্দার ইহুদী গোষ্ঠি ইসরাইল কোন তোয়াক্কা করছে না। ফিলিস্তিনে বিশেষভাবে গাজার মুসলমানদের জন্য আর্থিক সহায়তা করার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে একটা নির্দিষ্ট পর্যস্ত মুসলিম সন্তানদের জন্য ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। বর্তমানে প্রচলিত বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা। ব্রিটিশদের প্রবর্তিত শিক্ষা কারিকুলামে মূল লক্ষ্যই ছিল ধর্মহীন কর্ম শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে ইসলাম শূণ্য করা তা বর্তমানে ৯৮% সফলভাবে কার্যকর হয়েছে। মুসলিম জাতিসত্ত্বা আজ হুমকির সম্মুখীন। এমন পরিস্থিতিতে দেশের প্রত্যেক গ্রামে পাড়া মহল্লায় মক্তব মাদরাসা কায়েম করে মুসলমান সস্তানদের বাল্যকালেই দ্বীনি শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত