ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ঈদের দিনেও রাজধানী ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছেন মানুষ

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৭ জুন ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম

ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে নানা মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। বেশিরভাগ মানুষ ঈদের আগে রাজধানী ছাড়লেও বিভিন্ন কারণে যারা আগে যেতে পারেননি তারা ঈদের দিন নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন। বিশেষ করে ঈদের আগে চাপ বেশি থাকায় যারা পরিবার নিয়ে বাড়ি যাননি তারা ঈদের দিন বাড়ি যাচ্ছেন। আবার ছুটি না মেলায়, পরিবহন সংকটের কারণেও অনেকে ঈদের আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি। সেসব মানুষ ঈদের দিন গ্রামে যাচ্ছেন পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে। এদিকে বিভিন্ন রুটে ঈদের আগে তীব্র যানজট থাকলেও ঈদের দিনে সড়ক পুরো ফাঁকা। ফলে ভোগান্তি ছাড়া গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। সোমবার (১৭ জুন) সকাল থেকে সংখ্যায় কম হলেও মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। তবে ঈদের শেষে মঙ্গল ও বুধবারও অনেকে গ্রামে যাবেন। বিশেষ করে যারা কোরবানির সময় গোশত কাটাকাটির কাজে যুক্ত থাকেন সেসব নিম্ন আয়ের মানুষ ঈদের পরে বাড়িতে যান। ঈদের দিন সকালে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় অনেককে সড়কপথে বাড়ি যেতে দেখা গেছে। ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার মানুষ পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়ি যান। ঈদের দিনে সকালে এখান থেকে অল্প যাত্রী নিয়ে কিছু যানবাহন ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। এছাড়াও গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ থেকেও অনেকে ঈদের সকালে ঢাকা ছেড়েছেন। ফুলবাড়িয়ায় গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া রুটে চলা স্টার এক্সপ্রেস নামে একটি বাসে অল্প কিছু যাত্রী নিয়ে স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে ঢাকা-মাওয়া রুটে চলা প্রচেষ্টা পরিবহনের বাসও যাত্রী নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আগে মাওয়া পর্যন্ত প্রচেষ্টা গাড়ি চললেও পদ্মা সেতু চালুর পর এসব গাড়ি কোনটা ফরিদপুরের ভাঙা, কোনোটা মাদারীপুরের দিকেও যায়। গাবতলী দিয়ে যেসব যাত্রী ঢাকা ছাড়ছেন তাদের অনেকে পোশাক কারখানার শ্রমিক। অনেকে ঈদের আগের দিন ছুটি পাওয়া স্ত্রী- ছোট সন্তানকে নিয়ে মানুষের চাপ এড়াতে ঈদের দিন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ঈদের দিনেও যাত্রী পেয়ে খুশি পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য বকশিসের নামে ঈদের দিনেও বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। ঢাকা-বরগুনা রুটের এসি গাড়ি দিগন্ত পরিবহনে স্বাভাবিক সময় ৮শ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও ঈদের সময় এটি ১৫০০টাকা করা হয়েছে। জানতে চাইলে কাউন্টার ম্যানেজারের বলেন, ‘আমরা ২০ তারিখ পর্যন্ত ১৫০০টাকা করে নিচ্ছি। পরে আবার আগের ভাড়া নেয়া হবে।’


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত