চামড়ার ন্যায্য মূল্য না থাকায় গরীব ও কওমি মাদরাসাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত
১৯ জুন ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম | আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম
সরকার পাটশিল্পকে ধ্বংসের পর এখন চামড়া শিল্পকেও ধ্বংস করে গরীব ও অসহায়দের হক থেকে বঞ্চিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, সরকার লোক দেখানো চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে যা তা খুবই সামান্য। কিন্তু এ দামেও কেউ চামড়া ক্রয় না করে পাটের মত চামড়াকেও ধ্বংসের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কোরবানির চামড়ার বাজারে এবারও দরপতন। লাখ টাকার গরুর চামড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। সেখানে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে না পারা সরকারের চরম ব্যর্থতা। আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবেই কোরবানির চামড়ার ভয়াবহ দরপতন হচ্ছে। সরকার আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে পাট শিল্পের মত চামড়া শিল্পকেও ধ্বংসে কাজ করছে। এতে দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠী এতিম, অসহায় মাদরাসার এতিমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়লো। অপরদিকে কওমি মাদরাসা যা সরকারের কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই দেশের শিক্ষাখাতে অসামান্য অবদান রাখছে, সে কওমি মাদরাসাগুলোকে ধ্বংসের ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, চামড়ার বাজার যদি মধ্যস্বত্বভোগীরা নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কী করছেন? এর পেছনে কোন চক্র কাজ করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা দরকার। পরিস্থিতি থেকে বোঝা যাচ্ছে, সরকার বাজার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, শিক্ষা ও সংষ্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা খলিলুর রহমান।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থের মালিক এতিম-গরীব ও মিসকিনসহ সমাজের প্রান্তিক দরিদ্রজনগোষ্ঠী। প্রতি বছর চামড়ার দরপতনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এতে বিঘিœত হয় দারিদ্র্য বিমোচন প্রক্রিয়া।
এদিকে, সেন্টমার্টিনে গোলাগুলির ব্যাখা দিতে না পারা সরকারের চরম ব্যর্থতা বলে করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মন্তব্য করেছেন। এধরনের ঘটনায় দেশবাসী চরমভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।
গতকাল এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে সেন্টমার্টিনের প্রকৃত ঘটনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে যেভাবে গোলাগুলি করা হচ্ছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর চরম হুমকি।
তারা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে সাগরে দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের বড় বড় যুদ্ধজাহাজ। একটি ভিন্ন দেশ থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সমুদ্রসীমানার যে পথ ওই পথে বাংলাদেশের জাহাজ যাতায়াত করতে পারছে না। সেখানে গোলাগুলি করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত একটি সিরিয়াস স্টেটমেন্ট পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। এটা আমাদের দেশের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির ফসল।
ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃদ্বয় আরও বলেন, এই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার জায়গা টুকু পর্যন্ত সরকার ধরে রাখতে পারছে না। দেশপ্রেমিক জনগণ সরকারের কাছে আশা করে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, স্বাধীনতা রক্ষা করবে, কিন্তু সেখানে মিয়ানমার ইস্যুতে কোনোরকম কথা নেই সরকারের। আমরা মনে করি এই সরকার দুর্বল একটি সরকার, যাদের ওপর জনগণের ম্যান্ডেট নেই এবং একটি নতজানু সরকার।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত