ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

বন্যার্ত মানুষ খাদ্য ওষুধ চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে হাহাকার করছে -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২১ জুন ২০২৪, ০৭:২০ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৪, ০৭:২০ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ই্উনুছ আহমাদ বলেছেন, সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকা-ের কারণে সিলেট অঞ্চলে প্রতিবছর বন্যা হয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পরছেন এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ। তিনি বলেন, বৃহত্তর সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে পানিবন্দি মানুষের কাছে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। যা চরম উদ্বেগজনক। তিনি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা প্রবল সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দিদের দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় এবং দুর্গত এলাকায় খাদ্য সামগ্রী, অর্থ, ওষুধ এবং চিকিৎসাসামগ্রী ও চিকিৎসক দল পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
আজ শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলার নওয়াপাড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউট অডিটরিয়মে অনুষ্ঠিত থানা সদস্য সম্মেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল পীর সাহেব খুলনা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুল মজিদ পীর সাহেব মোড়লগঞ্জ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন। যশোর জেলা সভাপতি মিয়া মো. আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে এবং মুফতী আবু রায়হান ও মো. আব্দুল করিমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সিলেটে হাওর উন্নয়নের নামে চলছে অপরিকল্পিত কর্মকা-। বাঁধ দিয়ে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। যে কারণে বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের ভুল নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে বন্যা উপদ্রুত মানুষদের।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসী আর সিন্ডিকেটের অভায়ারণ্যে দেশ। এজন্য কোরবানির পশুর চামড়া এবার বিক্রি হয়নি। আড়তদারেরা কোরবানির পশুর চামড়া ফিরিয়ে দিয়েছেন। এটাও সিন্ডিকেটের কারসাজি। গরিবের হককে বঞ্চিত করে সিন্ডিকেটওয়ালারা কৌশলে চামড়াকে মূল্যহীন করেছে। ফলে দেশের গরিব, অসহায় এবং কওমি মাদরাসাগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যখন কোন জবাবদিহি থাকে না, তখন সব খাতই সরকারের দোসর সিন্ডিকেটরা নিয়ন্ত্রণ করে।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত