বৃষ্টিতে ডুবছে উত্তরখান দক্ষিণখানের পাড়া মহল্লায় সড়ক,গর্তে পড়ে আহত অনেক
০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০০ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
গতকাল রাতে প্রায় টানা এক ঘন্টার বৃষ্টিতে ডিএনসিসি-র নতুন ওয়ার্ড গুলোর জলাবদ্ধতার চিত্র দেখে মনেই হয় না এটি সিটিকর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকা। গতকয়েক দিন যাবত রাজধানীর উত্তরাতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।বৃষ্টির সময়
অরক্ষিত সড়কের বড় বড় গর্তে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে অনেক নারী পুরুষ।
এ সময় চরম দুর্ভোগে পরেন গার্মেন্টস কর্মীরা।
হাটু পানিতে পায়ে হেঁটে চলতে গিয়ে গর্তে পড়ে কাপড় চোপড় নষ্ট হয়ে যায়
এমন চিত্র দেখা গিয়েছে গতকাল রাতে উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার মেইন সড়কে।
এছাড়াও শাখা রোডে চলতে গিয়ে বিকল হয়ে অনেক ইজিবাইক পানিনে পরে যায় সে সময় অনেকে আহত হয়।
গতকাল রাত ও আজ সকালের বৃষ্টিতে উত্তরার কয়েকটি সেক্টর সড়কে ও পানি জমেছে।
নতুন ১৮টি ওয়ার্ডকে মেইন স্টিমিংয়ের সাথে সংযুক্ত করতে এ সড়কে একনেক প্রকল্পের ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দে গুরুত্বপূর্ণ এই কাজটি তত্বাবধান করছে ২৪ বিগ্রেড বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সরেজমিনে দেখা যায়,
সড়কে তৈরি করা ফিড গুলোর মুখ রয়েছে এখনো উম্মুক্ত, কোন ধরনের দৃশ্যমান চিহ্ন না থাকায় বুঝার কোন উপায় নেই কোনটা গর্ত আর কোনটা সমতল। যার ফলে বৃষ্টির সময় পানি জমে যাওয়ায় পথচারীরা সড়কে পায়ে হেঁটে চলতে গিয়ে বড় বড় গর্ত ও ফীডে উপর ঢাকনা বিহীন অরক্ষিত ফিডের গর্তে পরে গিয়ে অনেকে গুরুত্বর আহত হয়েছে। কেউ হাতে ব্যথা পেয়েছে আবার কেউ কেউ কোমর ও পায়ে।
কেউ হারিয়েছে তাদের মোবাইল ফোন, কেউ মানিব্যাগ আবার কারো কারো গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক, বৃষ্টির পানি সুয়ারেজ লাইন দিয়ে নদীতে চলে যাবে। সেই পানি জমে থাকে কেনো তারা জানতে চায়।
এ সময় স্থানীয়রা বলেন,অপরিকল্পিত খুঁড়াখুঁড়ি ও কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে উত্তরখান দক্ষিণখান সড়কে মেঘা প্রকল্পের কাজটি ধীর গতিতে চলছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল ও সুয়ারেজ লাইনে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানকার পাড়া মহল্লার সড়কে হাটুপানি জমে যায়। গত দুই বছর ধরে সুয়ারেজ লাইন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা এই সমস্যা থেকে মুক্তি চায়।
উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকা ঘুরে দেখা যায় গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি এখানকার অনেক বাসা বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকে গিয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে টিন শেড বাড়ি গুলোতে পানি ঢুকে একাকার হয়ে আছে। নিচু এলাকা গুলোতে
বাড়ীর চারপাশে পানি জমে থাকায় অনেক মানুষ ঘর বন্দী, ঘর থেকে বের হয়ে হাট বাজার অথবা কাজে যাবে এমন সুযোগ নেই। এখানকার বাসিন্দারা না পারতেছে রান্না করতে, না পারতেছে খাইতে। অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।
মেঘা প্রকল্পের কাজ শুরুর পর থেকে মাসের পর মাস কসাইবাড়ী-কাঁচকুড়া সড়ক,আজমপুর-মাজার চৌরাস্তা সড়ক, মাজার -দক্ষিণখান বাজার সড়ক, বিমানবন্দর রেলস্টেশন-আসকোনা সড়কে এলোপাতাড়ি ভাবে ড্রেনের পাইপ, ইটা বালু ও মাটির স্তুপ পড়ে আছে।
সড়কে পরে থাকা এসব ইটা বালু, সিমেন্টের পাইপ, মাটির স্তুপ,বড় বড় গর্ত ও বিভিন্ন মালামাল পরে থাকার কারণে পথচারীরা চলাচল করতে নানান ভোগান্তি পরে।
এছাড়াও দীর্ঘদিন সড়ক উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকায় এখানকার সড়কে সুয়ারেজ লাইন গুলো ময়লা আবর্জনায় বন্ধ হয়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, কসাইবাড়ী হয়ে দক্ষিণখান বাজার কাঁচকুড়া সড়কের উন্নয়ন কাজ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর পূণরায় শুরু হয়েছে। তবে সঠিক জনবল না থাকায় কাজের ধীর গতির কারণে এখনো ভোগান্তিতে রয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
দক্ষিণখান আইনুসবাগ, প্রেম বাগান, নগইরা বাড়ী, চালাবন, মাঝি বাড়ী, আনোয়ার বাগ, আর্মী সোসাইটি ও কাওলা এলাকার অনেক জায়গায় রয়েছে হাঁটু সমান পানি।
পুলিশ পাড়ি রোড ও মাজার আটিপাড়া রোড অরুন তাজ ভিলার সামনে এখনো হাটু পানি থৈথৈ করছে। মানুষতো দুরের কথা সেখানে অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও চলাচল করতে পারে না।
আর্মি সোসাইটি এলাকার বেশির ভাগ বাড়ির নিচ তলায় পানি ঢুকে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার ধন্যদশার কারণে
বয়স্ক নারী পুরুষ ও অসুস্থ রোগীদের নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে এখানকার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়,মেঘা প্রকল্পের বেশির ভাগ অংশে পয়োনিষ্কাশন ড্রেন ও ফিড তৈরি করা হলেও অদৃশ্য কারণে গত ৪ মাস যাবত কাজ বন্ধ থেকে আবারও স্বল্প পরিসরে চালু হয়েছে। দ্রুত সড়কের বড় বড় গর্ত ও ফিডের মুখ বন্ধ করা নাহলে আরো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এখানকার স্থানীয় লোকজন জানান।
সড়কে পানি জমার কারণে
বেটারীচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকে চড়ে ১৫ মিনিটের রাস্তায় সময় লাগে ১ ঘন্টা । পুলিশপাড়ি এলাকায় হাটু পানি, পূর্ব আজমপুর, দক্ষিণখান মিজানের গ্যারেজ, মোল্লারটেক, আসকোনা ডিলার বাড়ি এলাকায় পানি বন্দি অনেক মানুষ।
পাড়া মহল্লায় সড়কে পানি জমার করণে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে।
সরেজমিনে উত্তরখান
দক্ষিণখান এলাকার নতুন ৭ টি ওয়ার্ড, সাবেক হরিরামপুর ইউনিয়নের ৩ টি ওয়ার্ডের শাখা রাস্তা গুলো ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে সড়ক গুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে, মনেই হয় না এগুলো সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা।
স্থানীয়রা জানান, মেঘা প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি ও কাজে ধীর গতির কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়ায় সড়কে জলাবদ্ধতা বেড়েছে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কায় ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগে বৌদ্ধ ভিক্ষু গনানসারার কারাদণ্ড
ট্রাম্পের ঘুষের মামলায় সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ
সৎ ভাইকে ফাঁসাতে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যায় অভিযুক্ত বাবার আত্মসমর্পণ
৭ ডিগ্রীতে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা,বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি
সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত : পতাকা বৈঠকে বিএসএফকে বিজিবির কড়া প্রতিবাদ
নিকোলাস মাদুরোর তৃতীয় শপথ, রাজনৈতিক দমন-পীড়নের আশঙ্কা
সুপার কাপ ফাইনালে বার্সা-রিয়াল মহারণ
কার সাথে সংসার করছেন জয়া?
২৪ বিপ্লবের শহীদদের মতো বিডিআরের নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
টানা চার ম্যাচে রোনালদোর গোল,নতুন বছর জয় দিয়ে শুরু নাসেরের
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র দেওয়া সম্ভব নয় : উপদেষ্টা মাহফুজ
টঙ্গীবাড়ীতে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে জখম
জার্মানিতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন
চীনে ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনআইডি : আইন পর্যালোচনায় রোববার বৈঠকে বসছে ইসি
কুমিল্লায় জনসম্মুখে শিশুকে দুগ্ধপান
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত লড়াই
টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর কথা ভাবছেন কিয়ার স্টারমার
আগুনে পুড়ল ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ, চলছে লুটপাট