দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা খুনি হাসিনার, যা বলছেন নেটিজেনরা

রুহুল আমিন

২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৯ এএম | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৯ এএম

ভয়েস অব আমেরিকাকে (ভোয়া) দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আওয়ামী লীগের একজন নেতা দাবি করেছেন, গদিচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বাংলাদেশের রাজপথে উত্তেজনা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়েছেন।

গত শুক্রবার এই সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়। ভোয়া এই আওয়ামী লীগ নেতার নাম ও পদবি উল্লেখ করেছে। তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী।

তার ভাষায়, ‘আমরা রাজপথে মিছিল ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের যেসব নেতা গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন অথবা দেশেই পলাতক রয়েছেন, তাদের অন্যতম হচ্ছেন শফিউল আলম চৌধুরী।

ভোয়াকে মোবাইল ফোনে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে শফিউল আলম চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ এখন দলীয় নেতাকর্মীদের সংহত করার কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কর্মসূচি পালনই এই তৎপরতার মূল লক্ষ্য। রাজপথে কতটা দ্রুততম সময়ে আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দলটির পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপে বসলেও আওয়ামী লীগকে তারা সংলাপে ডাকেনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় না। কারণ আমরা মনে করি ডক্টর ইউনূসের সরকার অসাংবিধানিক। আমরা যদি দেশজুড়ে মাঠে নামতে পারি, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে এখন খুনি হাসিনাকে নিয়ে। সবাই বলছেন, এখনই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে রুখে দিতে হবে। কারণ তারা এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। হাজার হাজার লোককে হত্যার পরও তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই।

আহমেদ নিলয় নামে একজন লিখেছেন, এবার গ্রামে গ্রামে, বাজার-ঘাটে যেখানেই আওয়ামী লীগ পাওয়া হবে সেখানেই তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।

মো. মাসুদুর রহমান টুটুল নামে একজন লিখেছেন, স্বৈরাচারের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো বিবৃতি আশা করা যায় না। একজন দেশপ্রেমিক কখনও তার নেতাকর্মীদের এ রকম প্রতিহিংসাপরায়ন নাশকতার নির্দেশ দিতে পারে না। তিনি একজন অত্যাধুনিক নিকৃষ্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বেয়াদব। আওয়ামী লীগকে অচিরেই নিষিদ্ধ করতে হবে।

অ্যাড. রাজিব হাসান নামে একজন লিখেছেন, স্বৈরাচার তার কথা বার্তায় ফুটে উঠে। একজন আদর্শ নেত্রীর এমন নির্দেশ হতে পারে না। এই স্বৈরাচার যতদিন বেচে থাকবে, ততদিন এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাবে। কাজেই সময়ের দাবি হলো- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।

ফয়েজ কবির লিটু নামে একজন লিখেছেন, একজন স্বৈরাচারী খুনির কাজ থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না। ইনশাআল্লাহ দেশবাসী সতর্ক আছে, খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা দেশ এবং দেশের মানুষকে কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এখনই ফ্যাসিস্ট ও খুনি হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

বিভাগ : মহানগর