ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেটের আশঙ্কা রামরুর আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম


নতুন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আবারও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ সি আর আবরার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান থাকবে আর যেন সিন্ডিকেট না হয়। বিদেশি শ্রমবাজার দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টর। যা অতীতে ধুঁকে ধুঁকে নিঃশেষ করা হয়েছে। দয়া করে এই পথে আপনারা আর আগাবেন না। ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান থাকবে, সিন্ডিকেট হবে না এটা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট: ক্ষতি মূল্যায়ন জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস ইউনিট (রামরু)। অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, মালয়েশিয়া ইস্যুতে আর্থিক ক্ষতিতে অতীতের অন্যায় কেন হয়েছে, অন্যায় দূর করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে বায়রার সদস্যদের বড় রকমের ভূমিকা পালন করতে হবে। বায়রার সদস্যরা যদি মনে করেন, এই সেক্টর গতিশীল করতে হবে। তাহলে এখনই কাজ করতে হবে। বায়রা এক পক্ষ শ্রমিক আরেক পক্ষ এটা বন্ধ করতে হবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমবাজারে বাংলাদেশ যেহেতু বেশি ভুক্তভোগী, তাই এর দাবি জোরে তুলতে হবে। আমরা ক্ষতির পরিমাণ জানতে পেরেছি। যেহেতু আমাদের ভুক্তোভুগীর সংখ্যা বেশি, তাই আমাদের সরকারের উচিত, মূল দায়িত্ব পালন করা। দুই দেশের সঙ্গে যখন শ্রমিক পাঠানোর চুক্তি হবে সেখানে কোনো প্রকার গোপনীয়তা থাকা যাবে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দুই দেশের মধ্যে চুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। গোপনভাবে সবকিছু করলে জাতি মেনে নেবে না। অনুষ্ঠানে জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে আগের করা সমঝোতা স্মারক বাতিল করতে হবে। নতুন করে সমঝোতা করতে হবে। আর এখানে কোনো সিন্ডিকেট থাকবে সেটা আমরা চাই না। অভিবাসন ব্যয় কমানো দরকার। আমি মনে দেড় লাখ টাকার মধ্যে অভিবাসন নিয়ে আসা সম্ভব। অথচ ৫-৭ লাখ টাকা কর্মীদের থেকে নেওয়া হয়েছে। দেড় লাখ টাকার মধ্যে শ্রমিক পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে।
ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সায়েদ সাইফুল হক বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর অভিবাসন সেক্টরে গুরত্ব দেওয়া উচিত ছিল। অভিবাসন খাতকে কমিশন গঠনের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে। যারা এই সেক্টরে দুর্নীতি করেছে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে হবে। অন্যথায় তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে অভিবাসন ব্যয় কমাতে হবে, যেটা আমরা কমাতে ব্যর্থ হয়েছি। অথচ পাশের দেশ নেপাল-ভারত আমাদের চেয়ে কয়েকগুণ কমে কর্মী পাঠাচ্ছে, তাহলে আমরা কেন পারছি না?
বায়রার সাবেক সদস্য মোস্তফা মাহমুদ বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে যারা সিন্ডিকেট করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে এই সেক্টর ঠিক করা যাবে না। আজ যে মালয়েশিয়ার ভিসার দাম ১০ হাজার রিঙ্গিতে এসে দাঁড়িয়েছে এটা আমরা তাদের শিখিয়েছি। আগে ভিসার দাম ছিল তিন থেকে চার হাজার রিঙ্গিত। তাই ভিসার দাম কমাতে হবে। আগের মন্ত্রী খাইছে, সালেহীন (সাবেক প্রবাসী কল্যাণ সচিব) খাইছে। এখনও সিন্ডিকেট তৎপর, উপদেষ্টাদের সঙ্গে তাদের দহরম-মহরম। এখনো তারা ক্ষমতাধরদের সঙ্গে ওঠাবসা করছেন। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিমানবন্দরে যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জ চালু হচ্ছে সন্ধ্যায়
রাস্তায় নামার পর আহতদের দেখতে গেলেন হাসনাত, ফেসবুকে সমালোচনা
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সম্মেলন সফলের আহ্বান নেতৃবৃন্দের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আবদুল্লাহ মারা গেছেন
জুলুমের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে আসছে, "লাল মজলুম"
আরও

আরও পড়ুন

ভুল ত্রুটি হয়েছে বলেই আহতরা হাসপাতাল ছেড়ে সড়কে নেমে আসে

ভুল ত্রুটি হয়েছে বলেই আহতরা হাসপাতাল ছেড়ে সড়কে নেমে আসে

নির্বাচন কত দ্রুত হবে, তা ঠিক করবে সংস্কারের গতিই : এএফপিকে ড. ইউনূস

নির্বাচন কত দ্রুত হবে, তা ঠিক করবে সংস্কারের গতিই : এএফপিকে ড. ইউনূস

বিশ্বনাথ এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু

বিশ্বনাথ এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু

মানিকগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

মানিকগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছালো দিল্লির বায়ুদূষণ, স্থগিত ফ্লাইট

ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছালো দিল্লির বায়ুদূষণ, স্থগিত ফ্লাইট

হত্যা মামলায় কারাগারে সাবেক এমপি সোলাইমান

হত্যা মামলায় কারাগারে সাবেক এমপি সোলাইমান

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় আহত ৯

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় আহত ৯

বিমানবন্দরে যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জ চালু হচ্ছে সন্ধ্যায়

বিমানবন্দরে যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জ চালু হচ্ছে সন্ধ্যায়

বিশেষ পদ্ধতিতে নেয়া ৮টি স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার যুবক

বিশেষ পদ্ধতিতে নেয়া ৮টি স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার যুবক

বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টে ইলহাম আলিয়েভ

বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টে ইলহাম আলিয়েভ

বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ইঙ্গিত

বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ইঙ্গিত

রাস্তায় নামার পর আহতদের দেখতে গেলেন হাসনাত, ফেসবুকে সমালোচনা

রাস্তায় নামার পর আহতদের দেখতে গেলেন হাসনাত, ফেসবুকে সমালোচনা

দেশকে বিকলাঙ্গ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন শেখ হাসিনা: রিজভী

দেশকে বিকলাঙ্গ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন শেখ হাসিনা: রিজভী

বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন

বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন

ভারতে ‘মেনোপজ’ মহিলাদের জন্য একটি উপেক্ষিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ

ভারতে ‘মেনোপজ’ মহিলাদের জন্য একটি উপেক্ষিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ

দোয়ারাবাজারে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে একজনের মৃত্যু

দোয়ারাবাজারে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে একজনের মৃত্যু

কানাইঘাটে আলোচিত মুনতাহা হত্যাকান্ডের আসামী কুতুবজান বিবির মৃত্যু

কানাইঘাটে আলোচিত মুনতাহা হত্যাকান্ডের আসামী কুতুবজান বিবির মৃত্যু

শনিবার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সম্মেলন সফলের আহ্বান নেতৃবৃন্দের

শনিবার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সম্মেলন সফলের আহ্বান নেতৃবৃন্দের

সালথায় বিএনপি কর্মী হওয়ায় পায়নি ন্যায় বিচার, ৪ বছর পর একইভাবে কোঁপালেন আ.লীগ কর্মীকে!

সালথায় বিএনপি কর্মী হওয়ায় পায়নি ন্যায় বিচার, ৪ বছর পর একইভাবে কোঁপালেন আ.লীগ কর্মীকে!

ঠান্ডা মাথার পুলিশ কর্মকর্তা আলেপ, খুন গুম আয়না ঘরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ

ঠান্ডা মাথার পুলিশ কর্মকর্তা আলেপ, খুন গুম আয়না ঘরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ