অপরাধ প্রতিরোধ আইনের জমি মালিকরা সুবিচার পাবে: ঢাকা ডিসি
১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
দেশের সাধারণ জমির মালিকদের হয়ারি বন্ধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইনের বিচার শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। সারাদেশে ভূমির মালিকানা জমি অন্যায়ভাবে কেউ বেদখল করলে আবার জমির দলিল নিয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি, বেদখল বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নিতে পারবে। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইনের মামলার কার্যক্রম প্রথম ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শতাধিত আবেদন জমা পড়েছে। সে গুলো থেকে এ বিচার শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
আজ সোমবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এবং ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা-২০২৪ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশলায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী প্রশিক্ষণ কর্মশলা উদ্ধোধন করেন। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এবং ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা-২০২৪ কিনোট উপস্থাপন করেছেন ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর আহমেদ। বক্তব্য রাখেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আযম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বিশ্বাস রাসেল হোসেন এবং ভুমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শহীদুল ইসলাম। এছাড়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ ঢাকা বিভাগের সকল জেলার ভূমিসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সেমিনারে বলা হয়. ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এর বিধিমালা-২০২৩ জারি করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এটি জারি হওযায় এখন থেকে কোন ব্যক্তির জমি অন্যায়ভাবে বেদখল করা হলে, জমির দলিল নিয়ে জালিয়াতি করা হলে এই আইনে বিধিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কার্যক্রম শুরু হলো।আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিধিমামলা অপরিহার্য। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওযার ক্ষেত্রে কোন বাধা রইলো না। সারাদেশে ভূমি নিয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি, বেদখল বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী আপাতত বলবৎ কোনো আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলায় কোনো দলিল প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি প্রমাণিত হলে আদালত ওই মামলার আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠাবে। প্রতারণা বা জালিয়াতির অভিযোগ বিচারের জন্য পাঠাতে আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা এর উদ্দেশ্য পূরণে ভূমি হস্তান্তর, জরিপ, রেজিস্ট্রেশন, রেকর্ড হালনাগাদ বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে প্রদর্শিত বা উপস্থাপিত কোনো দলিল বা তথ্যের বিষয়ে প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হয়েছে এমন বিশ্বাস কবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জবাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দেবেন। অবৈধ দখল প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণে আইনের ধারা ৭ এর উদ্দেশ্য পূরণে আইনানুগভাবে দখলদার কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ছাড়া তার দখল করা ভূমি হতে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করবার চেষ্টা করা হলে বা হুমকি দেওয়া হলে অথবা তাকে ওই ভূমির দখল বা প্রবেশে বাধা দিলে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলসহ আবেদন করতে পারবেন। অবৈধভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধারের আবেদন পদ্ধতি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনের ধারা ৮ এর উদ্দেশ্য পূরণে, কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ছাড়া তার দখল করা ভূমি হতে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা হলে তিনি তাতে উল্লিখিত দলিলসহ তার পূর্ব-দখলীয় ভূমিতে দখল পুনর্বহাল করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করতে পারবেন।
দখল পুনরুদ্ধারে আইনের ধারা ৮ এর উদ্দেশ্যপূরণে নালিশি ভূমির দখল হস্তান্তরে প্রতিপক্ষ বরাবর প্রদত্ত আদেশ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রতিপক্ষ দখল হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনকারীকে দখলে পুনর্বহাল করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তার আদেশ দিতে পারবেন। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমির ক্ষতিসাধন বা শ্রেণি পরিবর্তন এবং অবৈধভাবে মাটির উপরিস্তর কর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণে আইনের ধারা ১১, ১২ ও ১৩ এর উদ্দেশ্য পূরণে যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কার্য করেন, তাহলে কেন তার বিরুদ্ধে আইনের ধারা ১৪ এর অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সেজন্য জেলা প্রশাসক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবেন। বিধিমালার অধীন কোনো নোটিশ বা আদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে, জিইপি বা অনুমোদিত কোনো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো যাবে। নকল সরবরাহ প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করে এ আইনের অধীন প্রদত্ত আদেশ, নথি ও দলিলাদির সার্টিফাইড কপি এবং সত্যায়িত ফটোকপি নকল হিসেবে সরবরাহ করা যাবে। বাস্তবায়ন প্রতিবেদন পাঠানো ও পর্যালোচনা আইন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে মাসিক প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে সরকারের কাছে প্রয়োজনে সুপারিশ দাখিলের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি থাকবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হাসিনাকে ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
আসাদের পতন, নিজের বেঁচে থাকার গল্প বললেন এক সিরিয়ান শরণার্থী
গভীর রাতে শীতার্ত মানুষের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক
বঙ্গতে আসছে 'ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ'
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন
পানামা খাল দখলের হুমকি ট্রাম্পের, ভর্ৎসনা পানামার প্রেসিডেন্টের
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
পাবনা-৩ এলাকায় অ্যাডভোকেট রবিউলের গণসংযোগ ও কম্বল বিতরণ
পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়
জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলায় ৯ বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া
স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭
রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ
ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা
উপদেষ্টা হাসান আরিফকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন
ডলার বাজারে অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৯ টাকা
উত্তরার বিপ্লবী জনতাকে যে কঠিন মূল্য দিতে হয়েছিল